Connect with us

উত্তর আমেরিকা

নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনকেই দূষছেন বাইডেন

Avatar of author

Published

on

রাশিয়ার পুতিনবিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নাভালনির মৃত্যুর পর গেলো শুক্রবার এই প্রতিক্রিয়া দেন বাইডেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নাভালনির মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদকে ভর্ৎসনা করেন যারা ইউক্রেনের জন্য অর্থায়ন আটকে রেখেছে।

হোয়াইট হাউজের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন অব্যাহতভাবে পুতিনের বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য নাভালনির প্রশংসা করেন। এমন কী তার উপর বিষ প্রয়োগ, বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করে দেশে ফিরে এসে তাকে কারারুদ্ধ করার পরেও তিনি তার অবস্থান থেকে নড়েননি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০২০ সালে নাভালনিকে হত্যা করার প্রচেষ্টার পর তিনি প্রবাসে নিরাপদেই থাকতে পারতেন কিন্তু এটা জেনেও যে তিনি যদি তার কর্মকান্ড চালিয়ে যান তাহলে তিনি সম্ভবত কারারুদ্ধ হবেন, এমন কী তাকে হত্যাও করা হতে পারে, তিনি দেশেই ফিরলেন কারণ নিজের দেশের প্রতি তার গভীর বিশ্বাস ছিল।

বাইডেন বলেন, নাভালনির মৃত্যু এই মুহুর্তের ঝুঁকিগুলোর কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এ সময় তিনি আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের কাছে এ সপ্তাহে সিনেটে অনুমোদিত দ্বিদলীয় সহায়তা প্যাকেজের পক্ষে ভোট প্রদানে আহ্বান জানান।

Advertisement

বাইডেন বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ইউক্রেনকে সমর্থন করার ব্যর্থতা কখনই ক্ষমা করা হবে না।

রাশিয়ার ফেডারেল পেনিটেনশিয়ারি সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার হাঁটাহাঁটি করার পর নাভালনি অসুস্থ বোধ করেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার চিকিৎসার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স এসেছিল, কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ বলেছেন, নাভালনির মৃত্যু সম্পর্কে পুতিনকে অবহিত করা হয়েছে এবং কারা বিভাগ নিয়মিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

বাইডেন বলেন রুশ কর্মকর্তারা তাদের কাহিনী বলবে কিন্তু , এ ব্যাপারে ভুল করার কোন অবকাশ নেই নাভালনির মৃত্য়ুর জন্য পুতিনই দায়ী।

Advertisement
Advertisement

উত্তর আমেরিকা

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দিলেন কামলা হ্যারিস

Published

on

গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা হ্যারিস।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) হোয়াইট হাউজে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করেন। এর মধ্য দিয়ে কামলা প্রেসিডেন্ট হলে ইসরাইল ইস্যুতে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আনবেন তা স্পষ্ট হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কামলা বলেন, ‘ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু সেটি কীভাবে করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘আমি গাজায়  ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার উৎকণ্ঠা জানিয়েছে। আমি চুপ করে থাকব না।’

হ্যারিসের এই তীক্ষ্ণ ও জোরালো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি কিভাবে নেতানিয়াহুকে মোকাবেলা করছেন সে বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে তার পার্থক্য পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

Advertisement

এর কয়েক ঘন্টা আগে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন। গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর বাইডেনের ইসরাইলে সফর শেষে এটিই নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। এই আলোচনায় গাজায় ৯ মাস ধরে চলা সংঘাতে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দেন বাইডেন।

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনও ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে ব্যবধান রয়ে গেছে তবে আমরা আগের চেয়ে এখন চুক্তির কাছাকাছি আছি। যা আগে কখনও ছিলাম না।

নেতানিয়াহুর এই সফর এমন সময় হলো যখন মার্কিন রাজনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। রোববার ( ২১ জুলাই) ৮১ বছরের বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের চাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং দলের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য হ্যারিসকে সমর্থন করেন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

উত্তর আমেরিকা

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌঁড়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকছেন বাইডেন

Published

on

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে জো বাইডেন সরে যাচ্ছেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌঁড় থেকে কেউ তাকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সব চাপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমেরিকার এই প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জুলাই) ডেমোক্রেটিক দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে থাকা কিছু কর্তা ব্যক্তির সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জো বাইডেন গেলো সপ্তাহে তার দুর্বল বিতর্কের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। নির্বাচনী দৌঁড় থেকে সরে যেতে তার ওপর চাপ কার্যত বেড়েই চলেছে। এমনকি নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেও চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতেই বাইডেনের এই ফোনকল।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে ফোন কলে কথা বলেন এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Advertisement

আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

বিতর্কে পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সীমান্ত ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তা, চাইল্ড কেয়ার, কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত দুর্বল। অনেকেই বলছেন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী বাইডেনের এবার আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়। কারণ, তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। বিতর্কের সময় প্রতিপক্ষের কথার জবাবও দিতে পারছেন না।

নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই বাইডেনের বয়স এবং কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

এমন অবস্থায় বুধবার প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা ও গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত গেলো সপ্তাহের বিতর্কে নড়বড়ে পারফরম্যান্সের পরে তাকে নির্বাচনী লড়াই বাদ দেয়ার আহ্বানগুলো ঝেড়ে ফেলেন।

তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকেই মনে করছেন, দলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জো বাইডেনের আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত হবে না।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নির্বাচনী বিতর্কে গাজায় যুদ্ধ নিয়ে যা বললেন বাইডেন

Published

on

নির্বাচনী বিতর্ক শুরুর কিছুক্ষণ পরেই জো বাইডেন ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। এই ইস্যুতে বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সমর্থকের একাংশের বিরোধিতার মুখেও রয়েছেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়, হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ করতে বাইডেন কী করবেন। উত্তরে বাইডেন বলেন, একমাত্র হামাসই এই যুদ্ধের শেষ চায় না। বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি তার জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, হামাসকে নির্মূল করতে হবে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন চ্যানেলে এক বিতর্কে মুখোমুখি হন এ দুই প্রার্থী।

বাইডেন বিশ্বকে নতুন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,তিনি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করতো না। এর জবাবে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চায়।

এসময়ে পররাষ্ট্র নীতি, অর্থনীতি, সীমান্ত ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তা, চাইল্ড কেয়ার, কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলার সময় তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ আনেন এবং পরস্পরকে তীব্র বাক্যবাণে জর্জরিত করার চেষ্টা করেন।

আমেরিকার মানুষ সাড়ে তিন বছর ধরে জাহান্নামে বাস করছে বলে ট্রাম্প তাঁর বিতর্ক শেষ করেন।

Advertisement

অন্যদিকে বাইডেন তার শেষ বক্তব্যে আমেরিকানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, তিনি কর কমিয়ে আনতে চান। একই সাথে তিনি দাবি করেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে কর বাড়িয়ে দিবেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ডেমোক্র্যাট দলের বাইডেন ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্প পরস্পরের মুখোমুখি হলেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত