Connect with us

টুকিটাকি

সিজারে জন্ম নিল গরিলার বাচ্চা

Avatar of author

Published

on

গরিলা

সিজারের মাধ্যমে মানুষের বাচ্চা হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু যদি শোনেন কোনো গরিলার বাচ্চা হয়েছে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, তবে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। এমনই চমকপ্রদ কাণ্ড ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি চিড়িয়াখানায়।

টেক্সাসের ফোর্ট ওয়র্থ জুতে জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম হয় অপরিণত গরিলাশাবকটির। প্রিঅ্যাক্লাম্পশিয়ায় ভুগছিল মা গরিলাটি। জমিলা নাম দেয়া গরিলাশাবকটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে ধারণা করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

জমিলার ‘ঐতিহাসিক ও আবেগময়’ জন্মের বিষয়টি ফোর্ট ওয়র্থ চিড়িয়াখানা তার ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করেছে। গরিলাশাবকটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাহায্যে নির্দিষ্ট সময়ের চার থেকে ছয় সপ্তাহ আগেই জন্ম নেয়। চিড়িয়াখানার ১১৫ বছরের ইতিহাসে এটিই প্রথম গরিলা, যেটি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে।

সোয়াহিলি ভাষায় জমিলা অর্থ সুন্দর। ৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয় গরিলাটি। এর মা সেকানির বয়স ৩৩ বছর, সে একটি ওয়েস্টার্ন লোল্যান্ড গরিলা। বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় মা এবং শিশু উভয়কে বাঁচানোর জন্য একটি সিজারিয়ান অপারেশন জরুরি। ভালোবাসা দিবস, অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে গরিলা শাবকের জন্মের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

Advertisement

সেকানির মতো ওয়েস্টার্ন লোল্যান্ড গরিলাদের বাস মধ্য আফ্রিকায়। শিকার ও রোগের কারণে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এদের চরম সংকটাপন্ন ঘোষণা করেছে।

ওয়ার্ল্ড লাইফ ফান্ডের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২০-২৫ বছরে এই গরিলাদের সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি কমেছে। এদিকে এই গরিলাদের জন্মহার কম হওয়ায় জনসংখ্যা হ্রাস থামাতে এটি বড় ভূমিকা রাখতে পারছে না।

এই অস্ত্রোপচার ও পরবর্তীতে বড় ভূমিকা ড. জেমি আরউইনের। তিনি জানান, জমিলার ডেলিভারি তার কর্মজীবনের বড় ঘটনাগুলোর একটি।

‘সেকানির অ্যানাটমি আমার মানবরোগীদের সঙ্গে যেভাবে মিলেছে, তা আমাকে অবাক করে।’ এক বিবৃতিতে বলেন ড. আরউইন।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জমিলার অপরিণত জন্মের কারণে তার জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন হয়। চার থেকে ছয় সপ্তাহের আগে জন্ম নেয়ায় জমিলার অবিলম্বে চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ ও মনোযোগ প্রয়োজন হয়।

Advertisement

নবজাতক বিশেষজ্ঞ রবার্ট উরসপ্রুং গরিলা শাবকটির অবস্থা স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছিলেন। এর একটি সুষম খাবারের তালিকাও তৈরি করে দেন।

‘এই গরিলা মা-শিশুর পরিস্থিতির সঙ্গে একই পরিস্থিতিতে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য হাসপাতালে যা দেখি তার অবিশ্বাস্য রকম মিল ছিল।’ ড. উরসপ্রুং বলেন, ‘প্রসবের পরে কয়েক ঘণ্টার জন্য শিশুটির শ্বাস নিতে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু সে যখন গর্ভের বাইরে জীবনের সঙ্গে একটু অভ্যস্ত হয়, বেশ চমৎকারভাবে উন্নতি হয় তার অবস্থার।

চিড়িয়াখানাটি জানিয়েছে, মা সেকানি তারপর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে এখনো তার নতুন শিশুর জন্য প্রস্তুত হয়নি।

‘মা এবং শিশুর পুনর্মিলনের বারবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সেকানি তার শিশুর যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে খুব কমই আগ্রহ দেখিয়েছে।’ জানায় চিড়িয়াখানাটি।

তারা যোগ করে, কেন সঠিকভাবে মা এবং শিশুর বন্ধন হচ্ছে না তা জানা কঠিন। তবে চিড়িয়াখানা বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ করেন যে সেকানি হরমোনের সংকেত অনুভব করেনি যা একটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক জন্মের সঙ্গে আসতে পারে।

Advertisement

স্টাফরা তখন থেকে তাদের মনোযোগ গ্রেসি নামের ২৪ বছর বয়সী একটি গরিলার দিকে সরিয়ে নিয়েছে। তাকে জমিলার পলক মা হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

Advertisement

টুকিটাকি

বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে

Published

on

যুগলের বিয়ের আগে বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে। অনেক খুঁজেও তাদের হদিস মিলল না। অগত্যা পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।

ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্চ জেলার। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে যুগলের বাগ্‌দান পর্ব সারা হয়েছিল। বাকি ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। তারই তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন আগে হঠাৎই উধাও হয়ে যান বরের বাবা। ওই একই সময় থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না কনের মায়েরও। দুই পরিবার এ নিয়ে বিভ্রান্ত হয়। নানা জায়গায় দু’জনের খোঁজ করা হয়। কী থেকে কী হয়েছে, কারও সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না।

প্রায় এক মাস ধরে দু’জনের খোঁজ করে পরিবার। এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন কনের বাবা। তার অভিযোগ, তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন তার হবু জামাইয়ের বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। তাতে অভিযুক্তের নাম শাকিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার নিজেরই ১০ সন্তান। এ ছাড়া, ওই মহিলার আরও ছয় সন্তান রয়েছে। মোট ১৬ সন্তান রেখে তারা পালিয়েছেন।

কনের বাবা থানায় জানিয়েছেন, গেলো ৩ জুন থেকে তার স্ত্রী নিখোঁজ। একই সময় থেকে পাওয়া যাচ্ছে না হবু জামাইয়ের বাবাকেও। তিনি মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা অভিযোগকারীর।

তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দু’জন স্বেচ্ছায় একে অপরের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন। তবে বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ মনে করছে, যুগলের বাগ্‌দানের পর থেকেই বরের বাবা এবং কনের মা নিজেদের মধ্যে কথা বলা শুরু করেন। গোপনে তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন। ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরেই দু’জন পালানোর সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসার বিনোদ কুমার বলেছেন, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গেলো ১১ জুলাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারা অনুযায়ী অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, মহিলা নিজের ইচ্ছাতেই পালিয়েছেন। তবু পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি স্বেচ্ছায় না হয়ে থাকলে ওঁকে ফিরিয়ে আনা হবে।’

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

টুকিটাকি

স্বামীর গায়ের রং কালো, তাই বাপের বাড়ি চলে গেলেন স্ত্রী

Published

on

স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন স্ত্রী! বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে গেছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবক। তার অভিযোগ, সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে বাপের বাড়ি চলে গেছেন স্ত্রী। আর ফিরতে চাইছেন না। চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে স্বামীর গায়ের রংকে দুষছেন তিনি। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মহিলাও স্বামীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে পাল্টা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।

ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের। ২৪ বছর বয়সি যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৪ মাস আগে তার বিয়ে হয়েছে। কিছু দিন আগে তার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্মও দিয়েছেন। এর পরেই সন্তানকে ফেলে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন তিনি। কিছু দিন পর বাপের বাড়ি থেকে যুবক স্ত্রীকে নিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মহিলা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় তার সঙ্গে ঘর করতে চান না।

এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ আপাতত আগামী শনিবার দম্পতিকে থানায় তলব করেছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দু’জনের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে গোলমাল মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে। তাতেও যদি মিটমাট না হয়, তবে অভিযোগ অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।

গোয়ালিয়রের ভিকি ফ্যাক্টরি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্ত্রী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে একাধিক বার ঝামেলাও হয়েছিল। কিছু দিন আগে সন্তান জন্ম দওয়ার পরেই স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। যদিও মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, স্বামী তার উপর অত্যাচার করেন। সেই কারণেই তিনি বাড়ি ছেড়েছেন।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

টুকিটাকি

ক্যান্সার চিকিৎসায় ঋণের বোঝা, দিতে না পেরে দম্পতির আত্মহত্যা

Published

on

বিষপানে আত্মহত্যা

স্ত্রীর ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসার বিপুল খরচ আর বইতে পারছিলেন না তিনি, তাই সপরিবারে আত্মহত্যার প্ল্যান! ১১ বছরের মেয়েকেও সেই গণ-আত্মহত্যায় সামিলের চেষ্টা করেছিলেন, তবে ভাগ্যগুণে বেঁচে যায় সেই খুদে। ঘটনাটি ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের। সেখানেই থাকতেন আদতে কেরালা নিবাসী দম্পতি রিজু এবং প্রিয়া নায়ার। বৃহস্পতিবার নারা রোডের ভাড়াবাড়িতে উদ্ধার হয় তাদের দেহ।

প্রেম করে বিয়ে মানেনি পরিবার। অশান্তি লেগেই থাকত। তার মধ্যে প্রিয়ার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। কেরালা থেকে মাস তিনেক আগে নাগপুরে চলে আসেন নায়ার দম্পতি। পেশায় পেন্টার রিজু ভেবেছিলেন নাগপুরে ভালো কাজ পাবেন, সেই সঙ্গে স্ত্রীর চিকিৎসাও চালাবেন। কিন্তু নাগপুরে আসার পর সে ভাবে কাজ পাননি রিজু। তা ছাড়া অসুস্থ স্ত্রীর পাশে থাকতে গিয়ে বাইরে কাজের বেশ কিছু সুযোগও হাতছাড়া হয়।

এদিকে, প্রিয়াকে প্রতি সপ্তাহে সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে একটা ইঞ্জেকশন নিতে হতো, যার দাম ১৭শ’ টাকা। ইঞ্জেকশন না নিলে কান এবং নাক দিয়ে রক্তপাত শুরু হতো। চিকিৎসার খরচ চালাতে অনেকের থেকে টাকা ধার করেছিলেন নায়ার দম্পতি। এমনকী তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রিকসা চালকের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন!

প্রত্যেককেই বলেছিলেন, কেরালার পরিজনের থেকে অর্থসাহায্য এলে ধার মিটিয়ে দেবেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা আর আসেনি।

পুলিশের ধারণা, বেড়ে চলা আর্থিক অনটনের কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন নায়ার দম্পতি। ম্যাঙ্গো জুসে কীটনাশক মিশিয়ে খান তারা। আর মেয়ে বৈষ্ণবীর পছন্দের মাংস-ভাতেও মিশিয়ে দেন বিষ। রাতে মাংস-ভাত খেয়ে বৈষ্ণবী ঘুমোতে গেলেও শরীর খারাপ লাগায় সে উঠে বমি করে। আর তাতেই বেঁচে যায় ছোট্ট মেয়েটা।

Advertisement

এদিকে, রিজু এবং প্রিয়া কীটনাশক মেশানো পানীয় খাওয়ার পাশাপাশি ছুরি দিয়ে হাতের শিরা কাটার চেষ্টাও করেন। সকালবেলা উঠে রান্নাঘরে বাবা-মাকে নিশ্চল হয়ে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের ডাকে বৈষ্ণবী। প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন। রিজুদের বাড়িতে কীটনাশক মেশানো ম্যাঙ্গো জুসের গ্লাস উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।

রিজু এবং প্রিয়ার দেহ মেয়ো হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। মেয়ো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বৈষ্ণবীকেও। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। পুলিশ জানায়, পরিজন এবং বন্ধুদের অধিকাংশের নম্বর ফোন থেকে ডিলিট করে ফেলেছিলেন নায়ার দম্পতি। ফলে তাদের ব্যাঙ্কের পাসবুক এবং আধার কার্ড দেখে কেরালার বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করতে হয় পুলিশকে।

ঠিকানা পেয়ে কেরালা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে মহারাষ্ট্রের পুলিশ। নায়ার দম্পতির পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ট্রান্সলেটর বা অনুবাদকের সাহায্য নিতে হয় পুলিশকে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত