Connect with us

জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Avatar of author

Published

on

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স (এমএসসি) ২০২৪-এর সাইডলাইনে হোটেল বেয়েরিশার হফে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ লিপ্ত দেশগুলোর জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং তাদের জনগণকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ এবং তিনি নিজেও যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন তার স্মৃতি স্মরণ করেন। তিনি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিদশায় তার অমানবিক কষ্ট এবং তার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের কথা স্মরণ করেন।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন আমরা সব ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সময় কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, সে বিষয়েও তিনি বারবার আলোচনা করেছেন।’

ড. হাছান বলেন, বৈঠকে তারা গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

Advertisement

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ স্পষ্টভাবে উঠে আসে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’ তিনি বলেন, তারা শুধু যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনা করেছেন।

জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূর এলাহী মিনা ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেন। সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামীকাল রাতে মিউনিখ ত্যাগ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

রাজধানীতে ‘ছাত্রলীগ নেতার বসানো’ সেই ছাগলের হাট উচ্ছেদ

Published

on

সংগৃহীত ছবি

সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায় অবৈধভাবে বসানো সেই ছাগলের হাট উঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।  রোববার(১৬ জুন) মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের তৎপরতায় দিনের ব্যবধানে হাটটি উচ্ছেদ করা হয়।

এসময় পুলিশ হাসিলসহ দুই যুবককে আটক করেছে।  তারা হলেন- পারভেজ আহমেদ (৩০) ও মো. ফাহিম (২২)।

রোববার (১৬ জুন) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘টাউন হল এলাকার ফুটপাতে অবৈধভাবে ছাগলের হাট বসানো হয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সেখান থেকে হাটটি উচ্ছেদ করে দিয়েছি। বর্তমানে সেখানে কোনো হাট নেই এবং পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় আমরা ওই ছাগলের হাট থেকে হাসিলসহ দুই যুবককে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, অবৈধভাবে এই ছাগলের হাট বসিয়েছিল মোহাম্মদপুর থানা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান রাসেল। তবে হাটের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।

Advertisement

নাইমুল হাসান রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাটের সঙ্গে ছাত্রলীগ বা আমি জড়িত নই। এখানে আসলে কোনো হাট নেই। কিছু মানুষ ফুটপাতে ছাগল বিক্রি করে। এটা অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে। আমি যখন ছাত্রলীগের কোনো দায়িত্বে ছিলাম না, তখনো এখানে ছাগল বিক্রি হতো।’

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ঈদকে ঘিরে নাশকতার হুমকি নেই : র‍্যাব ডিজি

Published

on

র‌্যাব-ডিজি-ব্যারিস্টার-মো.-হারুন-অর-রশিদ

পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা রয়েছে র‍্যাব। বলেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।

রোববার (১৬ জুন)  জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন র‍্যাব ডিজি।

ঈদের জামাতে র‍্যাবের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের দিনে ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, শোলাকিয়া, রংপুর, দিনাজপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে।

র‌্যাব ডিজি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এবারের ঈদ সামনে রেখে কোনও জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা সার্বক্ষণিক সময়ের জন্য বজায় থাকবে।

হারুন অর রশিদ বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটকেন্দ্রীক মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে র‍্যাব সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে, জাল টাকা শনাক্তের জন্য ডিভাইস রয়েছে। প্রতিটা বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশনে র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ১০ জনের একটি দলকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশুবাহী গাড়ি ঢাকায় আসছে। এসব গাড়ি যাতে কোথাও বাধাগ্রস্ত না হয় আমরা নজর রাখছি।

Advertisement

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ দুটি হেলিকপ্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা প্রতিরোধ করতে র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে, যেকোনো গুজব প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি রয়েছে।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয় ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার

Published

on

জাতীয়-ঈদগাহে-নিরাপত্তা,ডিএমপি-কমিশনার

এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামায়াতের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঈদ কেন্দ্রিক সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সারা দেশের মতো ঢাকা মহানগরীতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে সব জামাতের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পার্কিং ও ডাইভারশন থাকবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পেট্রোলিং, সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবের পেট্রোল টিম দায়িত্ব পালন করবে। আশা করি, ঈদের জামাত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সারা শহরে প্রায় ২৫ লাখ পশু কোরবানি হবে। পশু কোরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে নগরবাসীকে সেই নিয়ম-কানুন মেনে চলার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনকে সহায়তা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

চামড়া ব্যবস্থাপনার জন্য এবার সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে পুলিশ ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে সেখানে কাজ করবে। কোনোভাবে যাতে চামড়া পাচার হতে না পারে, দালাল-ফড়িয়া চক্র যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব থানা কেন্দ্রিক সেই ব্যবস্থাপনা থাকবে। যে কেউ এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে আমরা তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

যারা ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে আসবেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু, বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু ও ধারালো কিছু নিয়ে আসবেন না।

তিনি আরও বলেন, ফাঁকা ঢাকায় বাইক রাইডিংয়ের নামে কেউ যেন এ মরণ খেলায় মেতে না উঠেন। আমরা অতীতে অনেক দুর্ঘটনার কথা জানি। এবার পুলিশের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে কেউ রেসিং করতে না পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের চামড়া প্রসেসিং এলাকা ঢাকা জেলার সাভারে। ঢাকা কেন্দ্রিক যে চামড়া সেগুলো কালই সেখানে যাবে। আর ঢাকার বাইরেরগুলো সাতদিনের মধ্যে সেখানে আসবে। এ কাজ যাতে সুন্দরভাবে সম্পাদন করা হয় সেজন্য ডিএমপি সহায়তা করবে।

Advertisement

চাঁদাবাজির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, অনেককেই গ্রেপ্তার করেছি। পরে এ ধরনের কাজ যারা করবেন, তারা সতর্ক হবেন এবং ভবিষ্যতে এসব থেকে তারা নিবৃত থাকবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আমরা সব সময় সর্বাত্মক ও সর্বোচ্চ ব্যবস্থাটাই নিয়ে থাকি। এবারও সেটি করা হয়েছে।

জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট থ্রেট নেই, তারপরও আমরা সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়ে থাকি- যোগ করেন তিনি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত