Connect with us

অন্যান্য

বিয়ে করতে টিভি উপস্থাপককে অপহরণ করেন সেই তরুণী

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

এতোদিন ধরে শোনা যেতো বিয়ের জন্য তরুণীকে অপহরণ করেছেন কোনো পুরুষ। তবে এবার পুরো বিপরীত ঘটনা ঘটলো ভারতের হায়দরাবাদে। তরুণকে বিয়ে করতে রীতিমতো অপহরণ করলো এক নারী। শুধু তাই নয়,  ওই অপহরণ অভিযান চালাতে চারজনকে ভাড়া করেন ওই নারী। ঘটনা ঘটেছে ভারতের তোলাঙ্গানা প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদে।

একত্রিশ বছর বয়সী উচ্চবিত্ত এক নারী একদিন টিভি দেখছিলেন। একটি অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে ভালো লেগে যায় ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপককে। বিলাসবহুল ফ্যাশনেবল জীবন যাপনে অভ্যস্ত  ওই নারী জীবনে যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন। তাই উপস্থাপককেও তার পাওয়া চাই।

ডিজিটাল মার্কেটিং–সংক্রান্ত একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী ওই নারী  বিয়ে ও পাত্র-পাত্রীর খোঁজসংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটে খোঁজ নেন। একসময় ওই টিভি উপস্থাপকের ছবি দেখে তাঁকে পছন্দ করে ফেলেন। এরপর ওই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন, ওয়েবসাইটে পাত্রের প্রোফাইলে কেউ একজন নিজের ছবি ব্যবহার না করে ওই উপস্থাপকের ছবি ব্যবহার করেছেন।

এরপর তিনি প্রোফাইল ঘেঁটে ওই উপস্থাপকের ফোন নম্বর পান।  পরে একটি মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে ওই টিভি উপস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেই নারী। তখন জানতে পারেন, অন্য কোনো অচেনা ব্যক্তি ওই ওয়েবসাইটে পাত্রের প্রোফাইলে উপস্থাপকের ছবি দিয়েছেন। পাত্র-পাত্রীর ওয়েবসাইটে থাকা সেই অ্যাকাউন্ট আসলে ভুয়া। ওই টিভি উপস্থাপক তখন এ ব্যাপারে সাইবার অপরাধসংক্রান্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্রী নন সেই নারী। ক্রমাগত টিভি উপস্থাপককে মেসেজ দিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে ওই উপস্থাপক নারীর নম্বরটি ব্লক করে দেন। এরপরই সেই নারী ওই উপস্থাপককে অপহরণের সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

কিন্তু ওই নারী নাছোড়বান্দা। টিভি উপস্থাপককে তিনি  বিয়ে করেই ছাড়বেন। একপর্যায়ে উপস্থাপককে  অপহরণের পরিকল্পনা করেন ওই নারী। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি চার ব্যক্তিকে ভাড়া করেন। ওই উপস্থাপকের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে তাঁর গাড়িতে অবস্থান শনাক্তকারী একটি যন্ত্রও স্থাপন করেছিলেন ওই নারী।

শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি)  জি নিউজ, আনন্দবাজারসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। ভারতের  হায়দরাবাদ থেকে সেই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের জেরার মুখে অবশেষে ওই নারী মুখ খুলতে শুরু করেন।

পুলিশ জানায়, ১১ ফেব্রুয়ারি চার ভাড়াটে অপহরণকারী ওই উপস্থাপককে অপহরণ করে সেই নারীর অফিসে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। জীবন বাঁচাতে ওই উপস্থাপক তখন নারীর বিয়ের প্রস্তাবে হ্যাঁ বলেন।  এরপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পেয়েই উপস্থাপক উপ্পাল পুলিশ স্টেশনে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেত ওই নারীসহ চার অপহরণকারী সবকিছু স্বীকার করছেন।

Advertisement

অন্যান্য

রাজকীয় অভ্যর্থনা বলে কথা! প্রেমিকাকে হাঁটালেন টাকার কার্পেটে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

নিজের প্রিয়জন বলে কথা। প্রিয় মানুষের মন জোগাতে কত কিছুই না করে থাকেন প্রেমিক পুরুষরা। আর বিত্তশালী প্রেমিক হলেতো কথাই নেই। নিজের মনের মানুষকে স্বর্গীয় সুখের ভেলায় ভাসাতে  বিলাসিতা আর শখের বসে বিচিত্র কাণ্ড করে বসেন।

এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন রাশিয়ার এক ধনকুবের উদ্যোক্তা কাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে তাকে  হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে টাকার কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন ওই ধনকুবের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বেশ পুরোনো।সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক এই রুশ ব্যবসায়ী- উদ্যোক্তার এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনরা রুশ ইনফ্লুয়েন্সারদের এমন ভিডিওর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তারা এটিকে ‘জঘন্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাসরত রুশ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’’ নামেও পরিচিত। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে টাকার বান্ডিল দিয়ে সাজানো কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ ওই ইনফ্লুয়েন্সারের প্রেমিকা হেলিকপ্টার থেকে নামেন।  এরপর তার হাত ধরে তিনি নগদ টাকার স্তূপের তৈরি কার্পেটের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। ভিডিওর ক্যাপশনে ভালোবাসার ইমোজি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুরোনো এ ভিডিওটি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা টাকার কার্পেট ব্যবহারে বিরক্তি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘সম্পদের কুৎসিত প্রদর্শন করেছেন ওই জুটি।’

নেটিজেনদের অনেকে বলছেন, ‘ভিডিওতে ব্যবহার করা নোটগুলো জাল ছিল। তবে আসলে এগুলো জাল কি না তা স্পষ্ট জানা যায়নি।’

নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘টাকার মূল্য বুঝতে চেষ্টা করুন। তুমি ধনকুবের হতে পারো কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তুমি এভঅবে অর্থ খরচ বা অপচয় করবে। এর পরিবের্তে তুমি শতশত পরিবারের ভাগ্য বদলাতে সহায়তা করতে পারো। অথবা হাজারো ক্ষধার্তর মুখে খাবার তুলে দিতে পারো।’

শেয়ার করা ভিডিওতে ওই রুশ তরুণ ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তার চার কোটিরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

স্ত্রীকে গিলে খেলো অজগর, পেট কেটে বের করলেন স্বামী

Published

on

সংগৃহীত ছবি

গহীন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে  বাজারে যাওয়ার সময়  ফরিদা নামে এক নারীকে জীবন্ত গিলে খেয়েছে  একটি অজগর সাপ। পরে ওই অজগর সাপটিকে ধরে তার পেট  কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ইন্দোনেশিয়ার কালেম্পাংয়ে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার(৬ জুন) বাজারের উদ্দেশে বের হন ফরিদা নামে এক নারী ।  তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানান ফরিদার স্বামী ননি। এরপরই চার সন্তানের মা ফরিদার খোঁজে পরিবারের অন্যসদস্যসহ প্রতিবেশিরা বেরিয়ে পড়েন।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার ফরিদার স্বামী ননি বনের মধ্যে একটি গাছের নিচে ২০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ দেখতে পান। এটির পেট অতিরিক্ত ফোলা থাকায় ননির মনে সন্দেহ হয় সাপটি ফরিদাকে জীবন্ত গিলে খেয়ে থাকতে পারে। পরে প্রেতিবেশিরা সাপের পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করে আনেন।

ননি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ ওকে আমি একা বাইরে যেতে দিয়েছি-এটাই আমার আজীবনের দুঃখ। আমি ওর সাথে থাকলে সাপটা  হামলা করার সাহস পেত না।

গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি রোসি ডেইলি মেইলকে বলেন, ওই দিন ফরিদা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে বাড়ি না ফেরায় গ্রামের সবাই তার খোঁজ করতে থাকেন। ফরিদার স্বামী জঙ্গলে খোঁজ করার সময় একটি অজগর সাপ দেখতে পান। ওই সাপটির পেট অস্বাভাবিক ফোলা থাকায় তার মনে সন্দেহ হয়-সাপটি তার স্ত্রীকে হয়তো জীবন্ত খেয়ে ফেলেছে। তার সন্দেহের কথা জানালে সবাই মিলে ওই সাপটিকে ধরা হয় এবং চাপাতি দিয়ে সাপটির পেট কেটে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদার  মরদেহ বাড়ি নিয়ে কবর দেওয়া হয়।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

শচীনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর আত্মহত্যা

Published

on

ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের নিরাপত্তারক্ষী আত্মহত্যা করেছেন। দেশটিতে ভিভিআইপিদের জন্য যে নির্দিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করে থাকে, সেই দলের অংশ ছিলেন তিনি। নিজের সার্ভিস রিভলবার গলায় ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন এই জওয়ান।

নিরাপত্তারক্ষী এই জওয়ানের নাম প্রকাশ কাপড়ে। ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে নিজের কাছে থাকা রিভলবারটি দিয়ে গুলি চালিয়ে দেন প্রকাশ। তার পরিবারে বাবা-মা, স্ত্রী, দুই সন্তান, ভাই রয়েছেন।

ভারতের মহারাষ্ট্রের জামনের নামক জায়গায় এই ঘটনাটি ঘটে। রাজ্য পুলিশ ফোর্সের একজন সদস্য ছিলেন প্রকাশ। জামনের থানায় দায়িত্বরত থাকা পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ঘটনাটি সংঘঠিত হয়েছে। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণে প্রকাশ এই কাজ করে থাকতে পারেন।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত