Connect with us

আফ্রিকা

মালিতে সেতু থেকে নদীতে পড়ল বাস, নিহত ৩১

Avatar of author

Published

on

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেতু থেকে একটি বাস নদীতে পড়ে তলিয়ে গেলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার মালিতে একটি বাস উল্টে সেতু থেকে নিচে নদীতে পড়ে তলিয়ে যাওয়ায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। বাসটি মালিয়ান শহর কেনিয়েবা থেকে প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো যাওয়ার পথে বাগোই নদী পার হওয়ার সময় সেতু থেকে উল্টে যায়।

অন্তত দশজন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘চালকের গাড়ি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা’ এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

মালির পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কেনিয়েবা থেকে বুরকিনা ফাসোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস সেতু থেকে ছিটকে পড়ে। সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন।

Advertisement

এতে আরও বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে মালিয়ান এবং পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য দেশের নাগরিকও রয়েছেন।

বিবিসি বলছে, মালিতে সড়ক দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ বিষয়। দেশটির অনেক রাস্তা এবং যানবাহনের অবস্থা বেশ খারাপ। এর পাশাপাশি ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ওঠানো এবং গণপরিবহনে নিয়মকানুন মানতে শিথিলতাও মালিতে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

বার্তাসংস্থা এএফপি’র তথ্য অনুসারে, এই মাসের শুরুতে রাজধানী বামাকো অভিমুখে যাওয়ার সময় একটি বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত এবং আরও ৪৬ জন আহত হয়েছিলেন।

Advertisement

আফ্রিকা

মালিতে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা, নিহত ৪০

Published

on

পশ্চিম আফ্রিকার মধ্যাঞ্চল মালিতে গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসি বাহিনী। এতে প্রায় ৪০ গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্রোহে জর্জরিত মধ্য মালির একটি গ্রামে অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার মোপ্তি অঞ্চলের ডিজিগুইবোম্বো গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ব্যাঙ্কাসের মেয়র মৌলেয়ে গুইন্দো বলেছেন, সশস্ত্র লোকেরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে লোকজনকে গুলি করতে শুরু করে।

তিনি মৃতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। তবে দুই স্থানীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

Advertisement

‘এটি গণহত্যা ছিল’ উল্লেখ করে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামলার আগে সন্ত্রাসীরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে। সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল… হামলার ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, কিছু লোক পালিয়ে যেতেও সক্ষম হয়। কিন্তু অনেককে হত্যা করা হয়েছে।’

নিহতদের বেশিরভাগই পুরুষ বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

মালির কর্মকর্তারা হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেননি। এছাড়া কোনো গোষ্ঠী এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আফ্রিকা

নাইরোবিতে ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন, নিহত কয়েকজন

Published

on

কেনিয়ায় ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করেছে। এই বিক্ষোভ থেকে দেশটির সংসদ ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধা টপকে দেশের সংসদ ভবনে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হলে পুলিশ গুলি চালায়।

বুধবার (২৬ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সংসদ ভবনের বাইরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এমন পাঁচজন বিক্ষোভকারীর মরদেহ গুণে দেখেছেন রয়টার্সের একজন সাংবাদিক। তবে প্যারামেডিক ভিভিয়ান আচিস্তা বলেছেন, কমপক্ষে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

আরেকজন প্যারামেডিক রিচার্ড এনগুমো বলেছেন, গুলিতে ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি সংসদের বাইরে দুজন আহত বিক্ষোভকারীকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

Advertisement

ডেভিস তাফারি নামে একজন বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, আমরা সংসদ বন্ধ করে দিতে চাই। প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ করা উচিত। আমাদের একটি নতুন সরকার দরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কাঁদনে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে পুলিশ শেষ পর্যন্ত সংসদ ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করতে পেরেছে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ টানেল দিয়ে এমপিদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুধু নাইরোবি নয়, এদিন ট্যাক্স বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য শহর ও নগরেও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি করা হচ্ছে। যদিও আন্দোলন শুরু হয়েছিল ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরোধিতা করে।

আফ্রিকার এই দেশের মানুষজন করোনো মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, ইউক্রেনের যুদ্ধ, টানা দুই বছরের খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে সৃষ্ট বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের এমন অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেই রাজস্ব আয় বাড়াতে আরও প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের করের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

ইতিমধ্যে নতুন এই অর্থ বিলের অনুমোদন দিয়েছে সংসদ। এখন তৃতীয় বারের মতো এটি আবারও সংসদে উঠবে। এই ধাপে পাস হলে তা স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে। কোনো আপত্তি থাকলে তিনি তা সংসদে ফেরত পাঠাতে পারেন। আর আপত্তি না থাকলে তিনি সই করলেই তা আইনে পরিণত হয়ে যাবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আফ্রিকা

কঙ্গোতে নৌকাডুবি, ৮০ জনের বেশি নিহত

Published

on

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআরসি) একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ৮০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি এক ঘোষণায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (১২ জুন) মাই-এনডোম্বে প্রদেশের মুশি শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪৩ মাইল) দূরের কোয়া নদীতে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, রাতে যাত্রার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অন্ধকারে কিছু দেখা না যাওয়ায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের বিপর্যয় আর না ঘটে সেজন্য এসব ঘটনার পেছনের প্রকৃত কারণ তদন্তের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স।

Advertisement

কঙ্গোতে নৌকাডুবির ঘটনা যেন সাধারণ হয়ে উঠেছে। সেখানে ছোটবড় নৌকা এবং জাহাজে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করার কারণেই বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। মধ্য আফ্রিকার দেশটির বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলজুড়ে অল্প কিছু পাকা রাস্তা রয়েছে। সেখানে বেশিরভাগ মানুষ নদীপথেই যাতায়াত করে থাকে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত