Connect with us

রাজনীতি

‘দেশে এখন আওয়ামী স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে’

Avatar of author

Published

on

দেশে আওয়ামী লীগের স্টাইলে গণতন্ত্র চলছে। সংসদের ৩৫০টি আসনের মধ্যে সরকারের দয়ায় বিরোধী দল মাত্র ১৩টি আসন পেয়েছে। আবার স্বতন্ত্র ও অন্য দল থেকে যারা এসেছে তারাও সরকারপ্রধানকে স্যালুট দিয়ে এসেছে। এটা হলো বাংলাদেশ স্টাইলে গণতন্ত্র, আওয়ামী স্টাইলের গণতন্ত্র। কিন্তু এটা সত্যিকারের গণতন্ত্র নয়।

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।

তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মাওলা খান বাবলুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান ও সিনিয়র সদস্য মিলন ইসলাম খানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, গণ ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন ইসলাম খান, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। ’৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করে সেই গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে ’৭৯ সালে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। এরপর ’৮২ সালে স্বৈরাচার এরশাদ আবারও জোর করে ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। তার বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশে স্বৈরাচার এরশাদ পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন খালেদা জিয়া। তাই এবারও বিএনপি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে বিএনপির মতো এতো ত্যাগ অন্য কোনো দল স্বীকার করেনি। আজকে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক মাসে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এক এগারোর সময়েও অসংখ্য নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তীতে সেগুলো টেকেনি। আগামী দিনেও লড়াইয়ের মুখে এসব মামলা ও সাজা টিকবে না। বিএনপির এই সিনিয়র সদস্য বলেন, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনুসন্ধান না করে তা আমদানি করছে সরকার। আজকে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য রাতারাতি বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তাই সরকার পরিবর্তন ছাড়া, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া লুটপাট ও দুর্নীতি বন্ধ হবে না। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নজরুল ইসলাম বলেন, আজকে তাঁতী সমাজ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তাঁতী শ্রমিকরা যন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়ে বেকার হয়েছে। আমাদের তাঁতের কাপড়ের ঐতিহ্য সেটাও লুট হয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল শাড়িও আজকে বাংলাদেশের সম্পদ নয়, পাশের প্রতিবেশী বন্ধু দেশ তাদের বলে দাবি করছে। অথচ সেই সময়ে সরকার প্রতিবাদ না করে চুপ থেকেছে। তাই তাঁতী শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামী দিনের আন্দোলনে রাজপথে নামার জন্য সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দাবি করেন, দেশ শাসন করে দীর্ঘদিন ক্ষততায় থাকবে, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বুকে হাত দিয়ে বলেন, ২০২৪ সালে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন কি না? তাই এই সরকারকে আমরা মানি না, তাদের আচার-আচরণ মানি না। সময় বেশিদিন দূরে নয়, হিসাব-নিকাশের দিন সামনে। আগামী দিনে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

শিল্পমন্ত্রীর বরই দিয়ে ইফতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মাথা পুরোই মাথা খরাপ হয়ে গেছে। তারা যে ফল বা জিনিসের নাম আপনারা নেন, সেই জিনিসের দাম বেড়ে যায়। জনগণ খেজুর নাকি ফল দিয়ে ইফতার করব আপনারা ঠিক করে দিতে কে? দেশের মানুষ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতার করবে। পুলিশ নিরপেক্ষ হলে একদিনও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

Advertisement

আওয়ামী লীগ

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক : কাদের

Published

on

ওবায়দুল-কাদের

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং এতে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার (৮ মে) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নিন্দুকেরা বিশেষ করেবিরোধীদল যে বক্তব্য রেখেছে তা হাস্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।  অনেকের আশঙ্কা ছিল ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন খুনোখুনি, মারামারি, রক্তারক্তি অবস্থায় সমাপ্ত হবে। এই নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে কোথাও ক্যাজুয়্যালিটি নেই, প্রাণহানির ঘটনা নেই।

তিনি বলেন, কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, কিছু আহত হয়েছে, কিন্তু প্রাণহানির ঘটনা নেই। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০% ভোটার উপস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনে করি নির্বাচনে ভোটার টার্ন আউট সন্তোষজনক। প্রাণহানি নেই নির্বাচনে- এটাকে শান্তিপূর্ণই বলতে হবে। নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন খুবই দৃঢ় অবস্থা নিয়েছে। দলের নেতা কর্মীরাও যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। যে কারণে প্রথম ধাপে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজনীতি

উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে জনগণ : রিজভী

Published

on

উপজেলা

একতরফা আওয়ামী নির্বাচন বিএনপি আগেই বর্জন করেছে। উপজেলা নির্বাচন বর্জন যে সঠিক সিদ্ধান্ত তা জনগণের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে এক ব্রিফিংয়ে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল পূর্বনির্ধারিত। জনগণ উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। আর এই বর্জনের মধ্য দিয়ে মানুষ স্বৈরাচারী সরকারের দুঃশাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণ নিশ্চুপ থাকতে পারে না। ভোটকেন্দ্রে যাবার জন্য ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এ সময় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানান রিজভী।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজনীতি

বিএনপির সমাবেশের ব্যাপারে যা জানালো ডিএমপি

Published

on

ডিএমপি

বিএনপির সমাবেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

আগামী শুক্রবার (১০ মে) নয়পল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি।

খন্দকার মহিদ বলেন, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১০ মে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ডিএমপি।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২৬ এপ্রিলের স্থগিত হওয়া সমাবেশ আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত