Connect with us

আন্তর্জাতিক

যে কারণে গাজায় অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Avatar of author

Published

on

ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য গাজা উপকূলে একটি অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। গেলো মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার স্টেট অব দা ইউনিয়ন ভাষণে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এর বন্দর দিয়ে গাজার মাটিতে কোন মার্কিন সেনা পাঠানো হবে না বলে জানা গেছে। শুক্রবার ( ৮ মার্চ) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বন্দর নির্মাণ করা হলে ফিলিস্তিনিদের কাছে পাঠানো ত্রাণ সহায়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে। প্রতিদিন অতিরিক্ত কয়েকশ ট্রাকে করে এসব ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন এই বন্দর নির্মাণ করতে ইউরোপিয়ান ও দেশটির আঞ্চলিক মিত্রদের নিয়ে কাজ করবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

তবে বন্দরটি নির্মাণ করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ বন্দরে খাদ্য, পানি, ঔষধ ও অস্থায়ী আশ্রয় সামগ্রী নিয়ে বড় জাহাজ আসতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এসব জাহাজগুলো সাইপ্রাস হয়ে গাজায় যাবে। সাইপ্রাসেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সেগুলোর নিরাপত্তা তল্লাশি সম্পন্ন করবে।

গেলো বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় বলে জানায় ইসরাইল। এ হামলার পরে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। আর এ হামলায় এখন পর্যন্ত নারী শিশুসহ ৩০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাটিতে দেখা দিয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। খাদ্য,পানি ও চিকিৎসার অভাবে প্রতিনিয়ত মারা  শিশুসহ অনেক ফিলিস্তিনি।  পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ সপ্তাহেই বলেছে, উত্তর গাজায় অনাহারে শিশুরা মারা যাচ্ছে। ত্রাণ পাওয়ার জন্য গাজাবাসী মরিয়া হয়ে ওঠায় গতসপ্তাহে ত্রাণবহরে হামলে পড়ে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

Advertisement
Advertisement

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় ৩৪৮৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

ফিলিস্তিন-হত্যা,-ইসরায়েলি-হামলা

গাজায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার শিকার হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনবাসী। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। এবার রাফা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। ইতোমধ্যেই রাফা ক্রসিং নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জনে।

এছাড়া গেলো অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

বুধবার (৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এছাড়া গেলো সাত মাস ধরে চলা হামলায় আরও অন্তত ৭৮ হাজার ৪০৪ জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Advertisement

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৫ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

এর আগে গেলো সোমবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের একাংশ খালি করে দিতে সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্দেশের পর রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে বহু মানুষ সরে যেতে শুরু করেন।

পরে গাজার সঙ্গে মিসরের সীমান্তে অবস্থিত রাফা ক্রসিংয়ের দখল নেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। রাফা ক্রসিংয়ের একপাশে গাজা, অন্যপাশে মিসরের সিনাই উপদ্বীপ।

গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর আগ পর্যন্ত এই সীমান্তপথটিকে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ বলে বিবেচনা করা হতো। এটি মূলত অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে মানবিক সহায়তা সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ।

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

Advertisement

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

উত্তর আমেরিকা

ইসরায়েলের ওপর চটলেন বাইডেন, অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি

Published

on

ইসরায়েলের ওপর চটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েল যদি দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে আক্রমণ চালায় তবে তিনি তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন। হামাসের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন প্রথমবারের মতো এটাই ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা। খবর এএফপির।

বুধবার (৮ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন বলেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মার্কিন বোমা নিক্ষেপের ফলে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানিয়েছেন।

মিশরীয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ অসহায় ফিলিস্তিনি। তাদের এখন আর কোথাও যাওয়ার মতো জায়গা নেই। গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। এখন যদি ইসরায়েল রাফায় পূর্ণ মাত্রায় হামলা চালায় তবে আশ্রয়হীন এসব মানুষ কোথায় যাবে?

Advertisement

রাফা শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুত এমন উদ্বেগ থেকে গেলো সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে বোমার একটি চালান বন্ধ করার পরেই নতুন করে সতর্কবার্তা দেয়া হলো।

ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেন, যদি তারা রাফায় হামলা চালায় তবে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। রাফায় হামলা চালানোর জন্য যেসব অস্ত্র এবং কামানের গোলা ব্যবহার করা হয়েছে তা সরবরাহ করা হবে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি রাফায় আক্রমণ করবেন।

ব্যক্তিগতভাবে বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত নন। তিনি রাফায় হামলা চালানোর পক্ষপাতি নন।

ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে প্রশাসন এবং নিজ দলের মধ্যেও বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে। সে কারণেই গত সপ্তাহে অস্ত্রের এক চালান ইসরায়েলে পাঠানো হয়নি।

Advertisement

কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাফায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের অভিযানে সেখানে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে বলে শুরু থেকেই সতর্ক করছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

‘শেনজেন’ স্টাইলে ভিসা দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ

Published

on

সংগৃহীত ছবি

এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মতো ‘শেনজেন স্টাইলে’ পর্যটকদের ভিসা দিতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা বিষয়ক কাউন্সিল জিসিসি। তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্য খাতকে শক্তিশালী করতে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো হলো-সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বুধবার (০৮ মে) ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেনজেন স্টাইলের এই ভিসা নিয়ে একজন জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো ছাড়া অন্য দেশের পর্যটক এক মাসে জিসিসিভুক্ত ছয়টি দেশ সফর করতে পারবেন।

গত সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে এরাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া এক বক্তব্যে এমন তথ্য জানান দেশটির অর্থমন্ত্রী আবদুল্লা বিন তুক আল মারি। নতুন প্রস্তাবিত এ ভিসার নাম হবে- ‘জিসিসি গ্রান্ড ট্যুরস’।

ওই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আরও জানান, মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণকে যৌক্তিকভাবে সহজ করতে এবং পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘শেনজেন স্টাইলের ‘ মতো ভিসা চালুর ব্যাপারে জিসিসির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবুজ সংকেত দিয়েছে উল্লেখ করে আবদুল্লা বিন তুক আল মারি বলেন, ‘এই ভিসা নিয়ে একজন পর্যটক ৬টি দেশই সফর করতে পারবেন।’একজন পর্যটক জিসিসির এ ভিসা নিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবেন।’ মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা খুব শিগগিরই এ ভিসা চালুর আশা করছেন বলেও তিনি জানান।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত