Connect with us

বাংলাদেশ

বর্ষার দিনে জামা-কাপড়ে বাজে গন্ধ…

Published

on

শুরু হয়ে গেছে বর্ষাকাল। এতদিন যেমন কাঠফাটা রোদ ছিল, এখন প্রতিদিনই হচ্ছে থেমে থেমে বৃষ্টি। আার এ সময় জামা কাপড় ধোওয়া মানেই যেন  মাথায় প্রায় আকাশ ভেঙে পরার মতো অবস্থা। তার কারণ জামা-কাপড় ধোওয়া তো হল, কিন্তু এ বর্ষায় শুকাবেন কীভাবে? জামা-কাপড় ঠিকঠাক ভাবে না শুকালে ওগুলো থেকে সোঁদা গন্ধ বেরোতে থাকে। এখন তবে কী উপায়? কীভাবে জামাকাপড়ের বাজে গন্ধ দূর করা যায়? আসুন জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া সে উপায়গুলো।

একসঙ্গে জামাকাপড় জমিয়ে রাখবেন না

বর্ষাকালে কাপড়ে সাদা সাদা দাগ পরে যায়, একে ছাতা পরা বলে। জামাকাপড়ে ছাতা পরার দাগ যেমন দেখতে খারাপ লাগে, তেমন এর থেকে বাজে গন্ধও বেরোয়। বর্ষাকালে ভেজা কাপড়ের এ গন্ধ দূর করার কিছু প্রচলিত পদ্ধতি রয়েছে। অনেকেই সারা সপ্তাহের পরা জামা-কাপড় একসঙ্গে ওয়াশিং মেশিনের ভেতর বা লন্ড্রির ঝুড়িতে রেখে দেন। গরমকালে করলেও বর্ষাকালেও এ কাজটি করা যাবে না।

অনেকগুলো কাপড় জমিয়ে পরে একসঙ্গে ধুতে দেয়ার অভ্যাসটা এ সময়টা বাদ দিতে হবে। এভাবে রাখলে বর্ষাকালে কাপড়ের দুর্গন্ধ আরও বেড়ে যায়। বেশি কাপড় একসঙ্গে রাখা হলে তার সবই দুর্গন্ধময় হয়ে যায়। তাই পরা জামা-কাপড় একসঙ্গে না রেখে আলাদা আলাদা করে ঝুলিয়ে রাখাই ভালো। ঘরের দরজার পিছনে হুক করে করে নেয়া যেতে পারে। সেখানে হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখুন। সপ্তাহের শেষে জমিযে রাখা কাপড়গুলো ধুয়ে ফেলুন।

যত্ন নিন

Advertisement

বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর ঠিক এ কারণেই জামাকাপড়ের ভিজে ভাব সহজেই শুকাতে চায় না। এতে কাপড়ে জীবাণু বাসা বাধার সম্ভাবনা অনেক বেশি থেকে যায়। তখন জামা-কাপড় থেকে খারাপ গন্ধ বের হওয়াই স্বাভাবিক। এ জীবাণু ও ছত্রাকের হাত থেকে পোশাককে বাঁচানোর জন্য বর্ষাকালে  ঘামে ভেজা কাপড় কাচার আগে পাখার নীচে শুকিয়ে নিতে হবে। কিংবা কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে এরপর কাপড় ধোয়ার পর জীবাণু নাশক তরলে কাপড় ধুয়ে তারপর শুকোতে দিন। রোদ না উঠলেও ছাদে মেলতে পারেন বা বাড়ির বারান্দাতে শুকাতে দিন।

ঘরের ভিতর শুকিয়ে নিন

বৃষ্টির মৌসুমে রোদের দেখা পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। ধরেই নিন, আপনি কয়েকদিন পর পর রোদের দেখা পাবেন। তার মানে কি আপনি সেই রোদ ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন? তা না করে বরং ঘরেই কাপড় শুকনোর ব্যবস্থা করুন। ঘরের ভিতর বা বারান্দায় অস্থায়ী দড়ি টাঙাতে পারেন। মার্কেটে জামা-কাপড় শুকনোর স্ট্যান্ড কিনতে পাওয়া যায়। সেই স্ট্যান্ডেও মেলতে পারেন আপনার পোশাক। বারান্দা না থাকলে জানালার কাছাকাছি স্থানে বা পাখার নীচে কাপড় ঝুলিয়ে বাতাসে শুকনো যায়।

কীভাবে কাচবেন

জামা-কাপড় কাচার সময়েও একটু নজর দিতে হবে আপনাকে। এমন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন যা আপনার জামা-কাপড়ের থেকে জীবাণুনাশ করতে পারে। ডিটারজেন্টের সঙ্গে ভিনিগার ও বেকিং সোডা যোগ করে জামাকাপড় পরিষ্কার করুন। ফাঙ্গাস দূর করতে ভিনিগার ও বেইকিং সোডা বেশ কার্যকর। এছাড়াও দুর্গন্ধ দূর করতে এ উপাদানগুলো ভালো কাজ করে। এছাড়াও কাপড়ে সজীব ঘ্রাণ আনতে লেবু বা গোলাপের সুগন্ধযুক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। কারণ লেবুর মধ্যে থাকা অ্যাসিড কাপড়ের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ফাঙ্গাস দূর করতে সাহায্য করে। আলমারিতে চক বা সিলিকনের পাউচ রাখতে পারেন। সিলিকন পাউচ বাতাসের আর্দ্রতা টেনে নিতে সাহায্য করে। তাই কাপড়ের গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে। চক বা সিলিকন পাউচ কাপড়ের দুর্গন্ধ দূর করে।

Advertisement

অনন্যা চৈতী

Advertisement

আইন-বিচার

জামিনে মুক্তি পেলেন জবি শিক্ষক দ্বীন ইসলাম

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। বুধবার (৮ মে) বিকালে কুমিল্লা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান এই শিক্ষক।

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি বেশ আলোচিত ছিল। যে ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়। ঘটনাটি কেন্দ্র করে কারাগারে ছিলেন এই শিক্ষক। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে আজ  মুক্তি পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে আজ দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুরের পর আমরা কোর্টের অর্ডারটি হাতে পাই। এরপরই তাকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে গ্রহণ করে নিয়ে গেছেন।“

দ্বীন ইসলামের সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ফাইরুজ অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকেও আটক করে পুলিশ। আম্মান এখনো কারাগারে আছেন বলে জানা যায়। গত ১৭ মার্চ ফেসবুক পোস্ট দিয়ে নিজ বাড়ি কুমিল্লাতে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। তাঁর পোস্টে শিক্ষক দ্বীন ইসলাম এবং সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে অভিযুক্ত করেন অবন্তিকা। ঘটনার পর কোতোয়ালি থানায় অবন্তিকার মা একটি মামলা করেন। যে মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করা হয়েছিল।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য মোটরযানের গতিসীমা নির্ধারণ

Published

on

রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদর ও শহর এলাকায় মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। এছাড়াও এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ এবং মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মোটরসাইকেল চলাচলের এই নির্দেশনা দেয় হয়।

মোটরসাইকেলের পাশাপাশি অন্যান্য মোটরযানেরও গতিসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। প্রাইভেট কার, জিপ, মাইক্রোবাসের সর্বোচ্চ গতি এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। মহাসড়কেও একই গতিতে চলাচল করতে হবে। বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানও একই গতিতে এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে চলবে।

ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান,ট্রেইলরসহ অন্যান্য মালবাহী মোটরযানের সর্বোচ্চ গতি এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৫০ কিলোমিটার। মহাসড়কেও একই গতিসীমা মেনে চলতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৪ এর উপধারা-১ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি-১২৫ এর উপবিধি-৪ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সড়ক/মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪ সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জারি করা হলো।

Advertisement

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শহর, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরের মধ্য দিয়ে ব্যবহৃত জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক রাস্তার প্রস্থ: ১০.৩ মিটার কমপক্ষে ৬ লেনে বিভক্ত, পৃথক হাঁটা এবং পারাপার সুবিধা আছে এমন সড়কে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ছেলের ওপর অভিমান করে বাবা-মায়ের বিষ পান

Published

on

নাটোরের গুরুদাসপুরে ছেলের ওপর অভিমান করে বাবা-মায় একসাথে বিষ পান করার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বুধবার (৮ মে) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষ পানে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মো. আলম শেখ ও তার স্ত্রী মোছা. নাজমা বেগম।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবা আলম শেখ জানান, তার দুই মেয়ে এক ছেলে। একমাত্র সন্তান মো. সবুজ শেখকে তার শেষ সম্বল সকল জমি-জমা লিখে দিয়েছিলেন। ছেলে তাকে কথা দিয়েছিলো সংসারের সকল দায়িত্ব এবং তার সকল ঋণ পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু জমি লিখে নেয়ার পর ছেলে তার কথা রাখেনি। এদিকে ঋণের কারণে পাওনাদারদের অপমান-অপদস্ত নিরবে সহ্য করতে হতো । তাছাড়াও ছেলে ও ছেলের বউ তাদের স্বামী-স্ত্রী ২ জনের সাথেই খারাপ আচরণ করতো। একপর্যায়ে নিজেদের জীবনের ওপর অতিষ্ঠ হয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী বিষ পান করেছেন।

ছেলে সবুজ শেখের কাছে তার বাবা-মায়ের বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

তবে তার চাচাতো ভাই জুয়েল রানা বলেন, তার চাচা-চাচি ২ জনেই সুস্থ হলে পারিবারিক ভাবে বসে এ বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. স্নিগ্ধা আক্তার বলেন, বিষ পান করে স্বামী-স্ত্রী ভর্তি হয়েছে। ২ জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে আলম শেখের স্ত্রী নাজমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত