Connect with us

লাইফস্টাইল

মুখ থেকে রোদে পোড়া দাগ তোলার সহজ উপায়

Avatar of author

Published

on

সানস্ক্রিন ব্যবহার

গরম না পড়তেই মুখের বেহাল দশা। সানস্ক্রিন মাখলেই দরদর করে ঘাম হয়। তাই মুখে সরাসরি রোদ না লাগলে সানস্ক্রিন মাখেন না। ফলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। রোদে ভাজা ভাজা না হলেও ‘ট্যান’ কিন্তু পড়ছে। এক বার ট্যান পড়ে গেলে তা চট করে উঠতে চায় না। পার্লারে গিয়েও যে খুব লাভ হয়, তা-ও নয়। তাই বাড়ির ছাদে গেলেও কিন্তু সানস্ক্রিন মাখতে বলেন চিকিৎসকেরা। সঙ্গে যদি ঘরোয়া কিছু টোটকা ব্যবহার করা যায়, তা হলে আরও ভাল। স্নানের আগে সেই সব ঘরোয়া মিশ্রণ নিয়মিত মাখতে পারলে ত্বক থেকে রোদে পোড়া দাগ উধাও হতে পারে।

বেসন ও হলুদ

বেসন ত্বকের খুব ভাল স্ক্রাবার। হলুদ ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে। দুই টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ, এক টেবিল চামচ দুধ ও এক টেবিল চামচ কমলালেবুরর শুকনো খোসা গুঁড়ো করে গোলাপজলে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগানোর আগে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। স্বচ্ছ ত্বকে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। মুখে হালকা পানির ছিটে দিয়ে ধীরে ধীরে ঘড়ির কাঁটার দিকে ও তার উল্টো দিকে মালিশ করতে থাকুন। সপ্তাহে দু’দিন অন্তর এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। ভাল ফল পাবেন।

ত্বকের যত্ন

পেঁপে ও মধু

পেঁপে ত্বকের পোড়া ভাব দূর করার জন্য খুবই উপকারী। অন্য দিকে, মধু ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। আধ কাপ পাকা পেঁপে চটকে নিয়ে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

শশা, গোলাপজল ও লেবুর রস

শশা ও লেবু, দু’টিই ত্বক ব্লিচ করার জন্য ভাল। ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল করে। এক টেবিল চামচ শশার রস, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, ও এক টেবিল চামচ গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তুলো দিয়ে সারা মুখে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। যখনই রোদে বেরোবেন, বাড়ি ফিরে এই প্যাকটি মাখতে পারেন।

Advertisement

লাইফস্টাইল

মাখন খেয়েও কমবে ভুঁড়ি

Published

on

পিনাট-বাটার

দিন দিন বেড়েই চলেছে ভুঁড়ির সাইজ। কিন্তু জিমে যাওয়ার সময় নেই? ডায়েট ঠিকঠাক ভাবে মেনে চললে কিন্তু ওজন ঝরানো সম্ভব। পুষ্টবিদদের মতে, নিয়ম করে পিনাট বাটার খেয়েও মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব।

ভাবছেন, মাখন খেয়ে কী করে কমতে পারে ওজন? শুনতে অবাক লাগলেও কথাটি সত্যি। জেনে নিন, কী করে তা সম্ভব। পিনাট বাটারে রয়েছে ট্রিপটোফান নামের উপাদান, যা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। তবে এতে ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকে। তাই ওজন ঝরানোর ডায়েটে এই মাখন রাখতে হলে পরিমাণের বিষয় সতর্ক থাকতে হবে।

রোজের খাদ্যতালিকায় পিনাট বাটার-

কলার সঙ্গে পিনাট বাটার খেলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে। কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। তা ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমায়। পিনাট বাটার ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ৷ ফাইবার-সমৃদ্ধ এই মাখনটি পরিপাক ক্রিয়ার জন্য ভাল। এই মাখন খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকে। টুকটাক অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতি ঝোঁক কমে।

প্রাতরাশে ওট‌্‌সের সঙ্গেও পিনাট বাটার খেতে পারেন। যারা ওজন ঝরাতে চাইছেন, তাদের জন্য ওটস-দুধ আর পিনাট বাটারের স্মুদি খুব ভাল নাস্তা। চাইলে স্মুদিতে কলাও দিতে পারেন।

অফিসে বসে কাজের মাঝে প্রায়ই খিদে পায়। তখন ভাজাভুজি, রোল, চাউমিন না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন পিনাট বাটারেই। আপেলের সঙ্গে খান পিনাট বাটার। বিকেলের হালকা খিদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর এই খাবার, সুস্বাদুও বটে।

Advertisement

হোল গ্রেন পাউরুটি টোস্টের সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন।

পিনাট বাটার খাওয়ার সময়ে যা মাথায় রাখতে হবে-

ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা থাকলে যে পিনাট বাটারে লবন থাকে, তা এড়িয়ে চলাই ভাল। বেশি মাত্রায় লবন শরীরে গেলে শরীরে বেশি মাত্রায় পানি জমতে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যায়। এ ছাড়া চিনি মেশানো আছে এমন পিনাট বাটারও না খাওয়াই ভাল।

পিনাট বাটার খেতে দারুণ সুস্বাদু। তাই অনেকেই প্রাতরাশ থেকে শুরু করে বিকেলের নাস্তা, নানা সময়ে এই মাখন খেয়ে থাকেন। ভাবেন, শরীরের মেদ দ্রুত ঝরবে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ভাল নয়। দিনে এক-দু’চামচের বেশি এই মাখন না খাওয়াই ভাল।

স্বাস্থ্যকর বলে আইসক্রিম বা চকোলেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে পিনাট বাটার খাবেন না। খেতে সুস্বাদু হলেও আখেরে শরীরের ক্ষতি করবে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে যা যা করবেন

Published

on

লিভার

লিভার ক্যানসার বেড়েই চলেছে ভারতীয়দের মধ্যে। ভারতে প্রতি বছর লিভার ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা কম করেও ৩৫ হাজার। বছর প্রতি ক্যানসারে মৃত্যুও হয় ৩০ থেকে ৩৪ হাজার মানুষের।  ‘ক্লিনিকাল অ্যান্ড হেপাটোলজি’ বিজ্ঞানপত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের চার রাজ্য– মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কেরল ও গোয়ায় লিভার ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রিপোর্ট অনুসারে, ৪০-৭০ বছর বয়স অবধি মহিলা ও পুরুষরা লিভার ক্যানসারে ভুগছেন।

চিকিৎসকদের মতে, মানুষজনের জীবনযাপনের অভ্যাসে পরিবর্তন হচ্ছে। শারীরিক পরিশ্রম কমছে। ডায়াবিটিস বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হার্টের রোগ। এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে শরীরের যে অঙ্গটি সবথেকে বেশি ধাক্কা খাচ্ছে, তা হল লিভার। সময়ে ধরা পড়লে এই রোগটির জটিলতা থেকে অনেকখানিই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগটি ধরতেই এত দেরি হয়ে যায়, তখন আর কিছু করা সম্ভব হয় না। ভারতে লিভার ক্যানসারের যে ধরন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে তার নাম ‘হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা’। এই রোগ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়লে, বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়।

কী কী লক্ষণ দেখে আগাম সতর্ক হবেন?

১) সারা শরীরে ঘন ঘন কালশিটে পড়তে পারে।

২) লিভার থেকে বের হওয়া হলুদ-কমলা রঙের পিত্ত বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়।

Advertisement

৩) আচমকা কমতে পারে ওজন।

৪) লিভারে ক্ষত তৈরি হলে পা ও গোড়ালিতে জ্বালা করবে। রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করবে।

৫) পেটের তলদেশে তরল জমা হয়ে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। খিদে কম হবে। বমিবমি ভাব থাকবে।

জীবন বাঁধুন নিয়মে

১) দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি থাকলে অ্যান্টিভাইরাল থেরাপির কোনো বিকল্প উপায় নেই। এতে লিভার ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ে। তাই হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন নিয়ে রাখা ভাল। লিভারে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা জানতে ‘লিভার ফাংশন টেস্ট’ (এলএফটি) করানো অতি জরুরি।

Advertisement

২) অতিরিক্ত মদ্যপান লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান ও মদ্যপানের নেশা এড়িয়ে চলাই ভাল।

৩) বংশগতভাবেও লিভারের রোগ হতে পারে। পরিবারে রোগের ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেয়া ভাল।

৪) ওজন কমাতে হবে। স্থূলত্ব শুধু ক্যানসার নয়, আরও বিভিন্ন রকম জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। লিভার ক্যানসারের লক্ষণ সকলের ক্ষেত্রে এক না-ও হতে পারে। আপনার লিভারে সমস্যা হচ্ছে কিনা তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডায়েট কেমন হবে তা পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেয়াই ভাল।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

খাওয়ার আগে-পরে যে ভুলের কারণে পেটে গ্যাস হয়

Published

on

খাওয়া

খাওয়ার পর পরই গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন? হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী। অথচ টুকটাক শরীরচর্চাও করেন, তেমন তেল-মশলা দেয়া খাবার খান না। তাও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই! গরমে হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার সময়ে, আগে বা পরে এমন কিছু অভ্যাস হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যে অভ্যাসগুলিকে আমরা ভুল বলে মনেই করিনি কখনও। কোন কোন অভ্যাস হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে চলুন জেনে নেয়া যাক।

১) খাবার ভাল করে চিবিয়ে না খেলে হজমের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। পেটের মধ্যে গিয়ে খাবার বিভিন্ন উৎসেচকের সঙ্গে মিশে তা টুকরো টুকরো হয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু ভাল করে চিবিয়ে না খেলে খাবারের বড় বড় টুকরোগুলি ভাঙতে সময় লেগে যায়। সেখান থেকে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। তাই খাবার সময় তাড়াহুড়ো নয়, ধীরেসুস্থে সময় নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাওয়ার আগে পানি ‌খান। খাওয়ার সময়ও অল্প অল্প পানি খেতে পারেন। তবে খাবার শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই পানি খাবেন না ভুলেও।

২) অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। খাওয়ার পর কমপক্ষে আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ক্যাফিন জাতীয় কোনও পানীয় খাওয়াই অনুচিত। এতে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কেবল দুধ চা কিংবা কফি নয়, ভেষজ চায়ের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন।

৩) খালি পেটে পানি আর ভরা পেটে ফল খাওয়ার চল বহু দিনের। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে ফল খেলে কিন্তু পেটের গোলমাল হতেই পারে। প্রাতরাশ ও দুপুরের খাবারের মাঝের সময়টা ফল খাওয়ারর জন্য আদর্শ। ইচ্ছে করলে বিকেলের দিকেও ফল খেতে পারেন।

৪) খুব বেশি পেট ভরে গেলে আর বসে থাকতে পারেন না? এই অভ্যাসই আপনার হজমের সমস্যার মূলে। খেয়ে উঠেই শুয়ে না পড়ে কিছু ক্ষণ বসে থাকলে বা হাঁটাহাটি করলে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি। খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিছানার দিকে ভুলেও যাবেন না।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত