ঢাকা
২১ ফুট লম্বা কাঁঠাল দেখতে মানুষের ভিড়
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অভ্যন্তরে একটি কাঁঠালের ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১ ফুট বা ২ ফুট নয়, ২১ ফুট লম্বা ও ৯ ফুট প্রশস্ত বিশাল আকৃতির কাঁঠালের ওই ভাস্কর্য রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে। এটি এত নিখুঁতভাবে করা হয়েছে যে দূর থেকে বোঝার উপায় নেই, এটি ভাস্কর্য। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী কাঁঠালের ভাস্কর্যটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন। ভাস্কর্য দেখতে এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের চারাগাছ।
বিএডিসির কর্মকর্তারা জানান, ‘কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। ফলটি বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। কাঁঠাল ইউরোপে মাংসের বিকল্প হিসেবে খাওয়া হচ্ছে। দিন দিন ইউরোপে কাঁঠালের চাহিদা বাড়ছে। গুণগত মানেও সেরা ও সুমিষ্ট ফল হিসেবে দেশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও এ ফল রপ্তানি করা হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষকদের মধ্যে উৎপাদন বৃদ্ধির উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ানোর জন্যই মূলত কাশিমপুরে বিএডিসি অভ্যন্তরে কাঁঠালের ভাস্কর্যটি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়।
কাঁঠালের ভাস্কর্য দেখতে আসা একটি কারখানার কর্মী জেসমিন আক্তার বলেন, এখানে কাঁঠালের বড় একটি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে, এমন খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। তাঁর মতো আরও অনেকেই ভাস্কর্যটি দেখতে ভিড় করছেন।
বিএডিসির উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রে যুগ্ম পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমে বলেন, ‘গাজীপুরে প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। আমরা জাতীয় ফলের প্রতি মানুষের উৎসাহ সৃষ্টির জন্য ভাস্কর্যটি তৈরি করেছি। এটি দেখতে দর্শনার্থীরা আসছেন। পাশাপাশি কাঁঠালের চারারও বিক্রি বেড়েছে। তারা ভাস্কর্য দেখা শেষে কাঁঠালের বিভিন্ন জাত সংগ্রহ করছেন।’
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (উদ্যান) মো. ইসবাদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘কাঁঠাল গাজীপুরে বেশ প্রসিদ্ধ। এই কাঁঠাল কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের মধ্য দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই কাঁঠালের ভাস্কর্য দেখে দেশের মানুষ কাঁঠালের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হবে। এতে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।’
উল্লেখ্য, গেলো ১৫ জানুয়ারি বিএডিসির অভ্যন্তরে কাঁঠালের ভাস্কর্যটি তৈরির কাজ শুরু হয়। এটির কাজ শেষ হয় ২১ ফেব্রুয়ারি। এক মাসের কিছু বেশি সময়ে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। কাজ শেষ হওয়ার পর সাধারণ মানুষের জন্য এটি খুলে দেয়া হয়। এখন প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভাস্কর্যটি দেখতে ভিড় করছেন।
ঢাকা
বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষে
বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় আজ শীর্ষ স্থানে রয়েছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২০৩। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৭০, ১৬৭ ও ১৫০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।
বায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেন, শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ‘ভালো’। ৫১ থেকে ১০০ ‘মোটামুটি’, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে।
কেএস/
ঢাকা
খেলার সময় ওড়নায় ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু
ওড়না নিয়ে খেলার সময় জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। মৃতের নাম নুসরাত জাহান (১০)।
বুধবার (৮ মে) রাতে রাজধানীর দনিয়ার আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নুসরাতের গ্রামের বাড়ি বরিশালের নলচর গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি। নুসরাত একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নুসরাতের মামা মো. রিয়াজ বলেন, নুসরাতের মা-বাবা তাকে বাসায় রেখে দরজায় তালা দিয়ে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পরে বাসায় এসে তালা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখেন জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে নুসরাত।
তিনি বলেন, পাশের লোকজন জানান ওড়না নিয়ে নুসরাত জানালার গ্রিলের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। খেলতে খেলতে ওড়না গলার সঙ্গে প্যাঁচ লেগে ঝুলে থাকে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা আছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
এসি//
ঢাকা
রাজধানীর সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিএমপি কমিশনারের অনন্য উদ্যোগ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার দায়িত্বভার গ্রহণ করেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে, যা মহানগরবাসীর জন্য ছিল আস্থার এক অনন্য নেতৃত্ব। তারই নেতৃত্বে ইতোমধ্যে মহানগরীর ট্রাফিক যানযট সহনীয় পর্যায়ে এসেছে এবং ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনায় নতুনত্ব এসেছে, স্বস্তিতে সহজেই যাতায়াত করতে পারছে নগরবাসী। বিশেষ করে গেলো পবিত্র রমজান মাসে ও পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঢাকা মহানগরীর ৮টি ট্রাফিক বিভাগের সকল রাস্তায় বিশেষ অভিযান ও কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে মহানগরীর যানযট সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। নগরবাসীও ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন ডিএমপি কমিশনারের এরকম মহতী উদ্যোগের। বললেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-এ্যাডমিন এন্ড রিসার্চ) ও প্রকল্প ম্যানেজার, ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) মো: জাহাঙ্গীর আলম।
সম্প্রতি পুলিশ কমিশনারের নানা উদ্যোগ নিয়ে গণমাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বিপিএম-বার, পিপিএম-বার মহানগরবাসীর নিরাপদ যাতায়াত ও সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর হতে বিশেষ চেকপোস্ট এবং বিশেষ অভিযানের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ৮টি ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারগণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে কেউ যেন ছদ্মবেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে।
অতিসম্প্রতি ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত যানবাহন, অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি ট্রাফিক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স এবং মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক সদস্যগণ প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ এবং প্রশংসিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এছাড়াও ঢাকা মহানগরীতে রাতে যেসব কাগজপত্রবিহীন ট্রাক বালি, মাটি ও ইটসহ নানাবিধ মালামাল বহন করে সেসব ট্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিটি ট্রাফিক জোন ও বিভাগের সদস্যগণ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সম্মানিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো: মুনিবুর রহমান ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণের (ট্রাফিক) সার্বিক সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে সম্মানিত ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে এবং প্রতিদিনের অভিযানের ফলাফল সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর যানযট নিরসনে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ নির্দেশনায় যেসব হকার ও গাড়ির ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাস্তা ও ফুটপাতে যানচলাচল ও জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে ঢাকা মহানগর এলাকাকে।
এছাড়াও অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মূলসড়কে যেন অযান্ত্রিক যানচলাচল না করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশিত ছক অনুযায়ী ৮টি ট্রাফিক বিভাগ হতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সা, অবৈধ যানবাহন, মাটির ট্রাক ও হকারদের তালিকাও সংগ্রহ করা হচ্ছে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের জন্য। নিরাপদ যাতায়াত ও জনসেবায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
- ঢালিউড7 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
- আন্তর্জাতিক7 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- ঢালিউড7 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- পরামর্শ7 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা