Connect with us

লাইফস্টাইল

মোবাইলে টানা ভিডিও দেখে যাচ্ছেন, শরীরে বাড়ছে ভয়ঙ্কর বিপদের ফাঁদ

Avatar of author

Published

on

মোবাইলে

বর্তমানে টিভি, মোবাইল গেমসের সীমানা ছাড়িয়ে মানুষের এন্টারটেনমেন্টের এখন একটাই পরিভাষা, রিলস। কয়েক সেকেণ্ড থেকে কয়েক মিনিটের এই ধরনের ভিডিও এখন সকলের নয়নের মণি। বুড়ো আঙুলের স্লাইডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ওই এক স্ক্রিনে আবদ্ধ ছোট থেকে বড় সকলের দুই চোখ। এইসঙ্গে এই রিলস বানানোর নেশা ধরেছে অসংখ্য মানুষের। তবে রিলস নিয়ে উদ্বেগের এটাই একমাত্র কারণ নয়। আর যে বিপদগুলি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা সাবধান করছেন দেখে নিন।

রিলসের ফলে মানসিক সমস্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে

শুরুর দিকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু, বর্তমানে নতুন প্রজন্ম এর নেশায় আসক্ত। ভালো প্রভাবের বদলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জেরবার একটা জেনারেশন।

ভারতের ডাঃ বিপ্লব দাস সোশ্যাল মিডিয়ার রিলসের বিষয়ে সাবধান করে বলেন, শুধুমাত্র এই কারণে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষ। সময়ের কোনও ভ্রুক্ষেপ না করেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মোবাইল স্ক্রিনে স্ক্রল করে যাওয়ার ফলে চোখের সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হচ্ছে শরীরও। দেহে বাসা বাঁধছে একাধিক অসুখ। ইনসোমিয়া, স্লিপ ডিসঅর্ডার, অ্যাংজাইটির সমস্যা এসে জুড়ে বসছে শরীরে। সারাদিন একজায়গায় বসে রিল দেখার ফলে জমছে মেদের পাহাড়ও।

সিগারেট অ্যালকোহলের নেশার থেকেও ভয়ঙ্কর

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রিলসের নেশায় জীবনে একের পর এক বিপদ ডেকে আনছেন ব্যবহারকারীরা। বেশি রিলস দেখার ফলে সবথেকে সমস্যা হয় মনসংযোগে। সমানে স্ক্রল করে এক ভিডিও থেকে অন্য ভিডিওতে যাওয়ার ফলে মনসংযোগ ও ধৈর্য মারাত্মক কমে যায়। এর সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী ছোটরা। তবে যুব সমাজও এই বিপদের জালে আটকে।

সমস্যা এখানেই শেষ নয়…! 

আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে যুব সমাজের বিপদ কম নয়। বিশেষত, বেশ কিছু সমীক্ষায় সামনে এসেছে রিলসের ফলে বেশি প্রভাব পড়ছে মহিলাদের উপর। বিউটি রিলস বা সুন্দরী যুবতীদের রিল দেখে নিজের রূপ নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। শিশুরা রিলসের ভার্চুয়াল দুনিয়াকেই সত্যি ভেবে ভুগছে মানসিক সমস্যায়।

শুধু মন নয়, ভুগছে শরীরও

লাগাতার হাতে ফোন ধরে ঘাড় গুঁজে শুধুই স্ক্রলিং। এর ফলে মেরুদণ্ডে পড়ছে চাপ। অসময়ে ঘাড়, কোমর ও পিঠের ব্যথায় ভুগছেন ভুক্তভোগীরা।

Advertisement

সিনিয়র অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ বি এস মূর্তি, এভাবে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল চালানো নিয়ে সতর্ক করে বলেছেন, স্পাইনের সমস্যা তো বটেই হাতের আঙুল মুড়ে যাওয়ারও সমস্যা দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ একভাবে আঙুল মুড়ে ফোন চালালে হাতের আঙুলের গঠন ও কার্যকারিতায় চাপ পড়ে।

সবথেকে আগে সমস্যা হয় চোখে

বিছানায় শুয়ে অন্ধকারে মোবাইল চালানো সবথেকে খারাপ অভ্যেস। এর ফলে চোখের উপর দারুণ চাপ পড়ে ও সহজেই খারাপ হয়ে যায় চোখ। দীর্ঘক্ষণ উজ্জ্বল স্কিনে তাকিয়ে থাকার ফলে ড্রাই আইজের সমস্যা এসে জোটে। এছাড়া এক টানা মোবাইল দেখার ফলে মাথা ব্যথা, চোখ টনটনের মতো সমস্যা তো আছেই।

Advertisement

লাইফস্টাইল

ফুরফুরে থাকুন জাপানি টোটকায়

Published

on

অফিসে-অবসাদ

দিনের বড় একটা অংশ কর্মজীবীদের অফিসেই কাটাতে হয়। ব্যক্তিগত সমস্যা, কর্মক্ষেত্রের নানা জটিলতা, সহকর্মীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, আত্মবিশ্বাসের অভাব ইত্যাদি কারণ মনের ওপর চাপ বাড়ায়। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে একসময় ক্লান্তি আর অবসাদ গ্রাস করে নেয়।

মনে একবার ক্লান্তি জেঁকে বসলে তা আর সহজে যেতে চায় না। অনেকে এই অবসাদ দূর করতে মুঠো মুঠো ওষুধ খান। এতে সাময়িক সমাধান পাওয়া গেলেও ক্ষতি হয় শরীরের। তার চেয়ে বরং মন ফুরফুরে রাখতে পারেন জাপানি কিছু পদ্ধতিতে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-

মেডিটেশন বা ধ্যান

আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় হাঁটু মুড়ে পদ্মাসনে বসে চোখ বন্ধ করে ধ্যান করুন। জাপানি সংস্কৃতিতে এই পদ্ধতিকে ‘জাজেন’ বলে। প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যানমগ্ন থাকলে মন আর মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত থাকবে। ভালো থাকবে মন।

ইকেবানা

Advertisement

বাড়িতে অতিথি এলে কিংবা বিশেষ উৎসবের দিন অনেকেই ফুল দিয়ে ঘর সাজান। অন্দরে প্রবেশ করেই যদি এক গোছা ফুলে চোখ পড়ে তাহলে মন ভালো হয়ে যায়। পছন্দের ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। জাপানিরা একে ‘ইকেবানা’ বলেন।

ওনসেন

মনের গোপনে জমা মেঘ দূর করতে ভরসা রাখুন জাপানি ‘ওনসেন’ পদ্ধতিতে। উষ্ণ পানিতে গোসল করে মন ভালো করার এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় দেশটিতে। হালকা গরম পানি দেহের পেশিগুলোকে শিথিল করে, রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। এই পদ্ধতি উদ্বেগ দূর করে।

কিনহিন

হাঁটার সময় মন চঞ্চল হতে দেয়া যাবে না। মনকে স্থির রেখে হাঁটতে হবে। জাপানি ভাষায় এই অনুশীলনকে ‘কিনহিন’ বলা হয়। ধীরে ধীরে পথ হাঁটলে মন শান্ত হয়। স্থির থাকে। সুফল পেতে নিয়মিত কাজটি করতে হবে, নয়তো সুফল মিলবে না।

Advertisement

শিনরিন-ইয়োকু

জঙ্গল ভালবাসেন? তাহলে মন খারাপ লাগলে কদিন জঙ্গলে বেড়িয়ে আসুন। বুনো গাছের গন্ধ আর জঙ্গলের আলো-আঁধারিতে মন শান্ত হতে বাধ্য। জাপানি ভাষায় এই টোটকাকে ‘শিনরিন-ইয়োকু’ বলা হয়। গবেষকদের মতে,সবুজ গাছপালার মধ্যে বেশিক্ষণ থাকলে কর্টিসল হরমোন কম ক্ষরিত হয়। অবসাদের কারণ এই হরমোন।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

মশা তাড়াবার ৫টি কৌশল জেনে নিন

Published

on

মশা

একে গরম, তার উপর ঘন ঘন লোডশেডিং। তার উপর মশার উপদ্রব! মশা তাড়ানো ধূপ কিংবা স্প্রে ব্যবহার করাই যায়। কিন্তু রাসায়নিক দেয়া এই সব জিনিস শরীরের জন্য ভাল নয়। অনেকে আবার ধূপ বা স্প্রে-র গন্ধই সহ্য করতে পারেন না। তাদের দম শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শিশুদের জন্যেও এই ধরনের জিনিস নিরাপদ নয়। তা হলে উপায়? গরমে মশার হাত থেকে রক্ষা পাবেন কী ভাবে?

১. কর্পূর

মশার ধূপের গন্ধে অনেকেরই কষ্ট হয়। তার বদলে ঘরে কর্পূর জ্বালাতে পারেন। কর্পূর জ্বালালে ঘরে তেমন ধোঁয়াও হয় না। যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যেও কর্পূর নিরাপদ।

২. পোশাক

মশাকে বোকা বানাতে পারেন হালকা রঙের, গা-ঢাকা পোশাক পরে। গাঢ় রঙে মশা আকৃষ্ট হয়। শরীরের অনাবৃত অংশে মশা কামড়ায় বেশি। তাই গা ঢাকা পোশাক পরলেই ভাল।

Advertisement

৩. বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা

বাড়ি আশপাশে গাছপালা থাকলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই সময় করে আগাছা ছেঁটে ফেলাই ভাল। চার পাশে কোথাও যেন জল না জমে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। জমা জলে মশা বংশ বিস্তার করে। তাই সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

৪. আলোর সঠিক ব্যবহার

ঘরে সাদা আলো ভাল লাগে না বলে সর্বত্র হলুদ ‘মুড’ লাইট লাগিয়েছেন। কাজ থেকে ফিরে সেই হলুদ আলোতে ভেসে যেতে মন্দ লাগে না। এই হলদে আলো মশাদের বড়ই প্রিয়। তাদের দাপট কমাতে চাইলে সাদা আলো ব্যবহার করাই ভাল।

৫. প্রাকৃতিক উপায়

Advertisement

প্রাকৃতিক বেশ কিছু অয়েল যেমন ইউক্যালিপটাস, নিম, ল্যাভেন্ডার, সিনামন, থাইমের গন্ধে মশা পালিয়ে যায়। গায়ে, পোশাকে কিংবা ঘরের কোণে এই অয়েল ছড়িয়ে রাখতে পারেন।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

দিনের যে সময়ে মিষ্টি খেলে শর্করা বাড়বে না

Published

on

মিষ্টি

বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে কোন সময়ে কি খাচ্ছেন সেই দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালে চিনি দেয়া চা, কফি থেকে দুপুরে কাপকেক কিংবা বিকেলে আইসক্রিম— যাই খান না কেন, তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ভাল না। তা জেনেও এই ধরনের খাবার খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। তবে, ক্ষতি এড়াতে চাইলে জানতে হবে মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময়।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মিষ্টি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খালি পেটে একেবারেই খাওয়া যাবে না। খালি পেটে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে দুম করে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে। তাকে কোনও মতেই সামাল দেয়া যাবে না। তবে সকলের ক্ষেত্রেই যে এই নিয়ম কাজ করবে, এমন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারের মতো খাবারের সঙ্গে মিষ্টি খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

তবে, শুধু যে রসগোল্লা, কেক, পেস্ট্রির মধ্যেই চিনি থাকে, এমন তো নয়। নরম ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটজাত কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যেও চিনি থাকে। তাই সারা দিন কী খাচ্ছেন এবং কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন, তার উপরেও রক্তে শর্করার ওঠা-নামা অনেকটাই নির্ভর করে। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর যদি মিষ্টি খান, সে ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা কম। কারণ, এই সময়ে বিপাকক্রিয়া ভাল থাকে। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। তাই খুব যদি ইচ্ছে হয়, দিনের বেলাতেই মিষ্টি খেয়ে নিন। রাতে শেষপাতে মিষ্টিমুখ না করাই ভাল। সকালের দিকে মিষ্টি খেলেও খেয়াল রাখবেন যেন, পেট খালি না থাকে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত