Connect with us

অপরাধ

ভুয়া সনদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস

Avatar of author

Published

on

দুর্নীতি দমন কমিশন

ভুয়া পিএইচডি সনদে  ২০০৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক নিয়োগ । এরপরে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং তৃতীয় সচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ১৮ বছর চাকরি। অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে বের হয়ে এলো অভিযুক্ত এস এম আলমগীর কবীরের  থলের বিড়াল।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ এনে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহিদুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, এস এম আলমগীর কবীর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদ থেকে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং তৎপরবর্তীতে তৃতীয় সচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মকালীন সরকারি কর্মচারী হয়ে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে অবৈধ পন্থায় জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়,পিএসসির সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদের  নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে  চারটি শর্ত ছিল। যার মধ্যে রয়েছে- প্রার্থীদের ডক্টরেট ডিগ্রিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা দ্বিতীয় শ্রেণির সম্মান ডিগ্রিসহ কলেজ যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম ৮ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, প্রার্থী যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক চরিত্রগত সনদ, প্রার্থী যেসব সরকারি/বেসরকারি কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন সেসব কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/ডিগ্রি কলেজ/অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের হতে হবে এবং তার অর্জিত শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ডিগ্রি পর্যায়ের অভিজ্ঞতার সনদে তা অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে। এ ছাড়া অভিজ্ঞতার সনদে কলেজটি ডিগ্রি কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা ডিগ্রি পর্যায়ের না থাকলে এবং অভিজ্ঞতার সনদ জমা না দিয়ে যোগদানপত্র জমা দিলে প্রার্থিতা বাতিল হবে বলেও শর্ত ছিল।

Advertisement

কিন্তু দুদকের তদন্তে দেখা যায়  এস এম আলমগীর কবীর কামডেন ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসের পিএইচডি ডিগ্রি সংযুক্ত করে যে সনদ দাখিল করেছেন, তা ভুয়া । এমনকি মালয়েশিয়ায় ওই নামের কোনো রেজিস্টার্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক পদে চাকরির আবেদনের জন্য ন্যূনতম আট বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার শর্ত থাকলেও এ ক্ষেত্রে ২ বছর ৩ মাস ১১ দিনের ঘাটতি ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা বর্তমানে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ইমপ্যাক্ট তৃতীয় পর্বের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

Advertisement

অপরাধ

এমপি আজীম হত্যা মামলায় একটি কনক্লুসিভে এসেছি: ডিবি প্রধান

Published

on

ডিবি-হারুন

প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি কলকাতায় উদ্ধারকৃত মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে এলে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। জানালেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এমপি আজীমের হত্যার তদন্ত শেষে বিকেলে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ আর ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের আলামতসহ সব মিলিয়ে এমপি আজীম হত্যা মামলায় একটি কনক্লুসিভে এসেছি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

এমপি আজীম হত্যা: সাফল্য নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন ডিবি হারুন

Published

on

ডিবি-হারুন

কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের বিইউ ৫৬ ফ্ল্যাটের সেফটিক ট্যাংক থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহ খণ্ডাংশ উদ্ধারের সাফল্য নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ৩ কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ছয়টি গাড়ি বহর নিয়ে ডিবি হারুন নিউটাউনের দ্য ওয়েস্টিন হোটেল থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

এখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। ডিবি হারুন তাদের জানান, এমপি আনার হত্যার অন্যতম দুজন আসামি নেপাল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি ও কলকাতা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের গ্রেপ্তারের আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃত মাংসের দ্রুত ফরেন্সিক পরীক্ষা ও ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতীয় প্রশাসনের কাছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে বিভিন্ন খাল ও জলাভূমি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন সিআইডি, বিধান নগর কমিশনারেটের নিউ টাউন থানার পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ডুবুরি ও কর্মীরা। এজন্য সবাই ধন্যবাদ জানাই।।

আশাবাদ ব্যক্ত করে ডিবি হারুন বলেন, এই খুনের কিনারা হবে খুব দ্রুত এবং যা যা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এভিডেন্স আছে সেগুলো পর্যবেক্ষণে রেখেই তদন্ত চলবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

তিন বছর পর পুলিশ জানালো চিকিৎসক সাবিরার খুনি তার স্বামী

Published

on

তিন বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানালো চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমানের খুনি তার নিজ স্বামী এ কে সামছুদ্দিন আজাদ। পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে চিকিৎসক সাবিরার খুন হওয়ার কথা জানা গেলেও খুনি কে তা জানানো হয়নি। অবশেষে এ ঘটনার প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর খুনির সন্ধান দিলো পিবিআই। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সাবিরা হত্যায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সামছুদ্দিনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি সাবিরা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সামছুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সাবিরা ও সামছুদ্দিনের আগের পক্ষের সন্তান ছিলো। কিন্তু স্বামীর সন্তানকে মেনে নিতে পারেননি সাবিরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩০ মে সকালে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসায় শোবার ঘর থেকে চিকিৎসক সাবিরা রহমান ওরফে লিপির (৪৬) রক্তাক্ত ও দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলা কাটা, পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পোড়া ছিল। তিনি রাজধানীর বেসরকারি গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (সনোলজিস্ট) ছিলেন।

পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা জানান, সাবিরার বাসায় তিনটি কক্ষ ছিল। একটি কক্ষে সাবিরা নিজে এবং বাকি দুটিতে কানিজ সুবর্ণা ও নুরজাহান নামে দুই তরুণী থাকতেন। সাবিরাকে আরবি পড়াতেন নুরজাহান। হত্যাকাণ্ডের আগে তিনি বাড়িতে গিয়ে আর ফেরেননি। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনে (বিবিএ) পড়তেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আবার সাবিরার সঙ্গে বিয়ের আগে সামছুদ্দিন আরও দুটি বিয়ে করেন। কিন্তু তিনি একটি বিয়ের তথ্য গোপন করেন। বিষয়টি জানার পরই স্বামীর সঙ্গে সাবিরার বিরোধ চরমে পৌঁছায়। সাবিরা কলাবাগানে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে তার ওপর সামছুদ্দিনের ক্ষোভ ছিল। এ কারণে তিনি সাবিরাকে খুন করেছেন। তার সঙ্গে আর কেউ ছিলেন কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে।

Advertisement

সূত্র বলছে, স্বামীর সঙ্গে সাবিরার কলহের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার দিনও রাত ১০টা ২৮ মিনিট থেকে দীর্ঘ সময় মেসেঞ্জারে দুজনের ঝগড়া হয়েছিল। ওই দিন সামছুদ্দিনের গাড়িচালক সাইফুল তার শান্তিনগরের বাসায় ছিলেন। এর আগে গাড়িচালক কখনো সামছুদ্দিনের বাসায় ছিলেন না।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পরিদর্শক জুয়েল দেওয়ান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পিবিআই নিশ্চিত, সাবিরাকে তার স্বামীই হত্যা করেছেন। আগের দিন রাতে দুজনের মেসেঞ্জারে ২৬ মিনিট ঝগড়া হয়। পরদিন মরদেহ উদ্ধারের সময় সামছুদ্দিনের মুঠোফোন বন্ধ ছিল। তিনি গোপনে কলাবাগানে সাবিরার বাসায় যেতেন। তদন্ত শেষে মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে পিবিআই।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত