ক্যাম্পাস
বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠী তৎপর কি না তদন্ত করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) কোনো জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করলে তা তদন্ত করা হবে। চলমান আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীসহ উভয়পক্ষকে আহ্বান জানাবো, সেখানে (বুয়েট) শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বললেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেছেন, কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে সেখানে (বুয়েটে) কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমন একটি আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সে বিষয়ে সরকার আরও গভীরভাবে তদন্ত করবে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ যদি এমন মানসিকতা রাখেন এবং সেটা যদি মনে হয় যে মৌলবাদী ও জঙ্গবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার মতো কার্যক্রম হচ্ছে, সেটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং প্রতিহত করতে হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে, এসব তদন্ত তারা করছেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে।
বুয়েটের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পেছন থেকে কেউ ইঙ্গিত দিচ্ছে কিনা, পেছন থেকে কেউ কি জঙ্গিবাদী কিংবা উগ্রবাদী মানসিকতার কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে কিনা, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ এই আলোচনাটা বারবার আসছে।
ক্যাম্পাস
‘শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্বের সুযোগ দেয়া হবে না’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উভয়ের পদত্যাগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কুবি শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য মাহমুদুল হাসান বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আমাদের আজকের অবস্থান কর্মসূচি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে৷
এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, উপাচার্য শিক্ষকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেন৷ এবং সিন্ডিকেটে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ করে দিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে এডিটিং ভিডিও দেখিয়ে শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ভুল তথ্য দিচ্ছেন৷ গুরুতর অভিযোগ পাশ কাটিয়ে তিনি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ নাই। ওনি মনে করছেন পুনরায় ফিরে আসবেন। কিন্তু একজন শিক্ষকও তাকে গ্রহণ করবে না। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে প্রতিহত করবে। দাবি আদায় না হলে আমাদের আন্দোলন আরো তীব্র হবে।
উল্লেখ্য, গোলো ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও ট্রেজারার ড. মোঃ আসাদুজ্জামানের সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, আবু ওবায়দা রাহিদ ও জাহিদ হাসান, স্বপন চন্দ্র মজুমদার, আসাদুজ্জামান শিকদার, জিল্লুর রহমান, এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখসহ ২০-৩০ জন বহিরাগত শিক্ষার্থী।
এএম/
ক্যাম্পাস
ডিন পদ ফিরে পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক রহমত উল্লাহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ডিন পদ ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে পুন:বহাল করার জন্য আদালতের আদেশ আছে। এটা হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছে। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে, অর্থাৎ তাকে পুনরায় ডিন পদে বহাল করা হবে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অভিযোগে, অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করলে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে হাইকোর্ট। ফলে রহমত উল্লাহ সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে পুনরায় অংশ নেন।
কেএস/
অপরাধ
‘কোন পায়ে গুলি করবো’ ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নির্দেশে একই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক কর্মী ও তার বন্ধুকে তুলে তার কক্ষে আনা হয়। তারপর ওই কক্ষে আসেন শাখা ছাত্রলীগের ওই সাধারণ সম্পাদক। তারপর ছাত্রদলের ওই দু্ই কর্মীকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। তিন ঘণ্টা ধরে এভাবে নির্যাতনের পর শাখা ছাত্রলীগের ওই সাধারণ সম্পাদক একটা পিস্তল দেখিয়ে ছাত্রদলের ওই কর্মীকে জিজ্ঞেস করেন, তার কোন পায়ে সে গুলি করবে। পরে রাত একটার দিকে হলের সহকারী প্রক্টরদের হাতে ছাত্রদলের ওই কর্মীকে তুলে দেওয়া হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। সোমবার(৬ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। ফাইল ছবি
ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতার নাম নাফিউল ইসলাম জীবন। তিনি রাজশাহী শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক। তার সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ইউনুস খান। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৭ মে) ভুক্তভোগী নাফিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাতে আমি ও আমার বন্ধু মিলে তাপসী রাবেয়া হলের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের তিন নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ আমাদের ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথরোধ করে তাদের বাইকে আমাকে ও আমার বন্ধুকে তুলে মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়।’
ভুক্তভোগী নাফিউল আরও বলেন, ‘ কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ওই কক্ষে এসে দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে আমাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও মাথার ওপর কিল-ঘুসি মারেন। এরপর একটা পিস্তল বের করে গুলি লোড-আনলোড করতে করতে আমাকে বলেন, ‘তোর কোন পায়ে গুলি করব, ডান পায়ে না বাম পায়ে।’ এমন করতে করতে একবার শুট করেন। তবে গুলি তখন আনলোড করা ছিল। এছাড়া তারা জোরপূর্বক আমার মোবাইল চেক করেন। পরে রাত ১টার দিকে তারা আমাকে সহকারী প্রক্টরদের হাতে তুলে দেন।’
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একা পেয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতন করে সন্ত্রাসীদের সংগঠন ছাত্রলীগ কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে। সেই সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রকাশ্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল সহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত আহত ও নির্যাতন করছে।’ রাবি প্রশাসন ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি প্রক্টরের পদত্যাগও দাবি করেন।
তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ বলে জানিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এর আগে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। আমরা সন্দেহজনকভাবে তাকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করি।’
গুলি করার হুমকি প্রসঙ্গে রাবি শাখা ছাত্রলীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারণ অস্ত্রের রাজনীতি ছাত্রদল করে, ছাত্রলীগ করে না। ছাত্রলীগের হাতে কলম থাকবে, অস্ত্র নয়।’
এবিষয়ে সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ফোন পেয়ে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই। তারা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে বিনোদপুরে পৌঁছে দেন।”
অভিযোগের ব্যাপারে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে রাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রক্টর জানান, মারধর বা নির্যাতন করা হয়েছে কিনা জানি না। তাছাড়া মারধর কিংবা নির্যাতনের কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মারধরের প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এমআর//
- ঢালিউড7 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
- আন্তর্জাতিক7 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- ঢালিউড7 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- পরামর্শ7 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
- জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা