Connect with us

বাংলাদেশ

বন্যাকবলিত মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছি, সেখানেও বাধা : টুকু

Published

on

সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যস্ত। দেশের একটি বৃহৎ অঞ্চলের মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে। বিরোধী দল হয়েও সীমিত সম্পদ নিয়ে আমরা বন্যাকবলিত মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছি, সেখানেও আমাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারাও জারি করা হচ্ছে। বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

আজ সোমবার (৪ জুলাই) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

টুকু বলেন, সারাদেশে বিশেষ করে সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে বানভাসি মানুষের হাহাকারে যখন আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। বন্যার্তদের জন্য সরকারি সাহায্য যখন নিতান্তই অপ্রতুল। এই সময় সবাইকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। বিরোধী দলে থাকলেও জনগণের দল হিসাবে বিএনপি এরইমধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, ফেনী, নেত্রকোণা এবং কুড়িগ্রামসহ সারাদেশে যথাসাধ্যভাবে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে সরকারি দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনী আসন ফেনীর ফুলগাজীতে ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি সভায় বিনা উস্কানিতে লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

তিনি বলেন, হামলায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ফের হামলা চালায়। ঘটনাস্থলের পাশেই ফুলগাজি থানা থাকা সত্ত্বেও তারা সময়মতো হস্তক্ষেপ করেনি। করলে এমন ঘটনা ঘটা সম্ভব ছিল না। বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ অনাহারে ভুগছে। চিকিৎসার অভাবে নানা ধরনের রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সরকারি ত্রাণ দেওয়া তো দূরের কথা বিএনপির মানুষের কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ কর্মকাণ্ডকে পুলিশ পণ্ড করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত ফ্যাসিস্ট সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় সচেতনভাবেই বিএনপির ত্রাণ তৎপরতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় আশেপাশের জেলাগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ও আলোকসজ্জার জন্য প্রায় শত কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে কনসার্ট করে আর ঢাকায় আতশবাজি ফুটিয়ে বিপুল অর্থ নষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু সারাদেশে বন্যার্ত ও বানভাসি মানুষ না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। সেজন্য সরকারের অর্থ বরাদ্দ দিতে পারছে না। জনগণের কল্যাণ এখন এ সরকারের লক্ষ্য নয়। করোনা সময়েও ‘হেল্পসেল’ গঠন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিএনপি। এবারও পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ, চিকিৎসা ও ওষুধ, গৃহনির্মাণ এবং কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্নভাবে বন্যার্তদের সহযোগিতা করছে বিএনপি।

Advertisement

বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের এ দুঃসময়ে ক্ষমতাসীন মহলকে সব ধরনের সংকীর্ণ রাজনৈতিক কূটকৌশল পরিহার করে আর্তমানবতার সেবায় আত্মনিয়োগের উদাত্ত আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

মেহা

Advertisement

জাতীয়

বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাক বিএনপির

Published

on

প্রতীকী ছবি

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরীকদল ও জোট, বাম-ডান দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে দলের প্যাডে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ঐক্যের আহবান জানানো হয়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা নূন্যতম এক দফার ভিত্তিতে ও দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল ও জোট, বাম-ডান সকল রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ এবং জাতির মুক্তি তরান্বিত করতে ইনশাল্লাহ।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, ‘সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। ওই সময়ে জামায়াতে ইসলামী আলাদাভাবে সরকার পতনের আন্দোলন থাকে। উল্লেখযোগ্য  অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হলো-গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, এনডিএ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

তদন্তকাজে বেরিয়ে সাপের কামড় খেলেন পুলিশ কর্মকর্তা

Published

on

দিনাজপুরের বিরামপুরে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) সাপের দংশনে আহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বিজুলডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট থানার (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনা গণমাধ্যমকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম আব্দুর রশীদ। তিনি বিরামপুর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক শাহরিয়ার পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাকে বিষধর কোনো সাপ কামড় দেয়নি।

আহত এসআই আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, সকালে উপজেলার দিওড় বটতলি এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর জানতে পারি। দ্রুত সেখানে গিয়ে চেয়ারে বসে আহত ড্রাইভার ও হেলপারের নাম ঠিকানা লিখছিলাম। এ সময় চেয়ার বেয়ে একটি সাপ উঠে ডান হাতের আঙুলে কামড় দেয়। সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ভালো আছি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত