Connect with us

বাংলাদেশ

১১ বছর বয়সেই ‘সিরিয়াল কিলার’!

Published

on

১৯৬৮ সালের ২৪ মে। মার্টিন ব্রাউন নামে এক চার বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার হয় ইংল্যান্ডের স্কটউডে। একটি পরিত্যক্ত বাড়ির নীচ থেকে শিশুর দেহটি উদ্ধার হয়।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অনুমান করে ছাদ থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছিল শিশুটির। ফলে তদন্ত আর এগিয়ে নিয়ে যায়নি পুলিশ। এর ঠিক কয়েক সপ্তাহ পর আরও একটি নৃশংস খুন হয় ওই এলাকায়। যাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর ১৯৬৮ সালের ৩১ জুলাই ব্রায়ান হাওয়ে নামে এক তিন বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ এ খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে। দ্বিতীয় খুনে তিন বছরের শিশু ব্রায়ানের চুল কেটে নেয় আততায়ী। তার পা এবং যৌনাঙ্গ কেটে ক্ষতবিক্ষত করে। কিন্তু পুলিশ কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিল না কে এ খুন দু’টি করেছে? আর কেনই বা করেছে?

ব্লেড দিয়ে তিন বছরের শিশুর পেটে ‘এম’ লিখে দিয়েছিল আততায়ী। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর নিজেদের সন্তানকে নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পরেন বাবা-মা।

তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে দু’টি খুনের পিছনে রয়েছে একটি ১১ বছরে বালিকা। নাম মেরি বেল।

Advertisement

প্রথমে সে চার বছরের শিশু মার্টিন ব্রাউনকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর তাকে বাড়ির ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেয়।

খুনের পর সে একটি হাতে লেখা কাগজ রেখে দেয় মৃতদেহের পাশে। প্রথম দিকে পুলিশ সেই কাগজকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। পরে সেই কাগজ থেকেই দু’টি খুনের যোগসূত্র খুঁজে পায় পুলিশ।

দু’টি খুনেই মেরিকে সাহায্য করেছিল নরমা বেল নামে এক ১৩ বছরের মেয়ে। পদবিতে দু’জনের মিল থাকলেও দু’জনের মধ্যে ছিল না কোনও আত্মীয়তার সম্পর্ক । পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী প্রথমে তারা খুন করে দেহটি ফেলে চলে যেত। পরে আবার ফিরে এসে মৃতদেহের পেটে নিজেদের নামে প্রথম অক্ষর লিখে দিত। 

কী ভাবে এ জোড়া খুনের রহস্য ফাঁস করল পুলিশ? তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এলাকার অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। জোর দেয়া হয় এলাকার শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদে। এই জেরার সময় অদ্ভুত আচরণ করে নরমা এবং মেরি।

যখন নরমাকে খুনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন অদ্ভুত ভাবে এ খুনের ঘটনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। তদন্তকারীরা লক্ষ করেন তাদের প্রশ্নগুলির উত্তর সে স্বাভাবিক ভাবে দিচ্ছে না। পুরো বিষয়টি রসিকতা হিসেবে নিচ্ছে। 

Advertisement

একই আচরণ লক্ষ করা যায় মেরির মধ্যেও। সে-ও প্রশ্নগুলিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছিল না। তার বদলে সে নতুন নতুন তথ্য জুড়ে দিচ্ছিল।

সে পুলিশকে বলে, প্রথম খুনের দিন সে শিশুটি একটি ছেলের সঙ্গে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে মাঠে খেলতে দেখেছে। এর পরই পুলিশের সন্দেহ হয় মেরি এ খুন সম্পর্কে সব জানে । তবু আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করে তারা।

অবশ্য সেই তথ্যগুলো পুলিশকে দেয় নরমা। সে জানায় কী ভাবে খুন করা হয়েছিল প্রথম জনকে। পরিত্যক্ত ওই বাড়িতে প্রথম শিশুর দেহ দেখানোর জন্য নরমাকে নিয়ে যায় মেরি।

নরমার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ মেরিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আরও তথ্য। পুলিশ জানতে পারে খুনের দু’দিন পর একটি নোটে সে লেখে ‘আমি খুন করেছি যাতে আমি ফিরে আসতে পারি।’ অন্য একটি নোটে সে লেখে ‘আমরা মার্টিন ব্রাউনকে খুন করেছি।’

পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে নোটগুলি তারই লেখা। ১৯৬৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয় মেরি। নরমাকে মুক্তি দেয় আদালত।

Advertisement

মেরির এ অদ্ভুত আচরণের পিছনে কারণ কী? 

এর পিছনে রয়েছে এক নষ্ট শৈশবের গল্প। মেরির মা ছিলেন এক জন যৌনকর্মী। জন্মের পর মা তাকে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি চাইতেন না তার ‘ক্লায়েন্ট’দের জন্য দেয়া সময় কেড়ে নিক শিশু মেরি। এ কারণে সারাক্ষণ তাকে অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতেন মেরির মা। 

তার পরিবারে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ দেয়ার ফলে যে ছোট শিশুটির ক্ষতি হতে পারে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত ছিলেন না তিনি।

এমনকি চার-পাঁচ বছর বয়সে মেরিকে তিনি ঠেলে দিতেন তার ‘ক্লায়েন্ট’দের কাছে। দুঃসহ এ অভিজ্ঞতাগুলিই মেরিকে ঠেলে দিয়েছিল তার অদ্ভুত আচরণের দিকে, করে তুলছিল ‘সিরিয়াল কিলার’।

বন্দি থাকাকালীন মেরি এক বার জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করে এবং ধরাও পড়ে।

Advertisement

১২ বছর জেল খাটার পর ১৯৮০ সালে ছাড়া পায় সে। তখন তার বয়স ২৩। নতুন নামে নতুন জীবন শুরু করে সে। মুক্তির চার বছর পর বিয়ে করে মেরি। তার একটি মেয়েও হয়। তবু অতীত ইতিহাস তাকে পিছু ছাড়ে না। তার পুরনো পরিচয় জেনে ফেলার আগেই তাকে জায়গা পরিবর্তন করতে হত।

একবার তাকে সংবাদিকদের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে বিছানার চাদর গায়ে জড়িয়ে পালাতে হয়েছিল। এ ঘটনার পর  থেকে সে তার মেয়ের পরিচয় নিয়ে চিন্তিত ছিল। মেয়েকে যাতে ‘পরিচয়হীন’ রাখা যায় তার জন্য ব্রিটেনের আদালতে আবেদন করে মেরি।

২০০৩ সালের ২১ মে আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে। তার মামলাটির রায় পরবর্তী কালে আইনে পরিণত হয়। এটি ব্রিটেনে ‘মেরি বেল নির্দেশ’ নামে পরিচিত। আদালত পরবর্তী কালে তার নাতনির ক্ষেত্রে এ সুরক্ষা প্রদান করে। আজও তাকে তাড়িয়ে বেড়ায় নষ্ট শৈশবের ইতিহাস। এখন মেরি বেল কোথায় থাকে কেউই তা জানে না।

অনন্যা চৈতী

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

হটলাইনে কল পেয়ে ৯৪ স্থানে পানি অপসারণ করলো ডিএনসিসি

Published

on

হটলাইনে কলের সূত্র ধরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীর ৯৪টি স্থানে জমে থাকা পানি অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়া

সোমবার (২৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালে অতি ভারী বর্ষণে ডিএনসিসি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচ হাজার ৩০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে ১০ জন করে মোট ১০০জন সদস্য কাজ করছেন। এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন নম্বর ১৬১০৬-তে প্রাপ্ত কলের সূত্র ধরে ৯৪টি স্পটের জমে থাকা পানি অপসারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের সড়কে উপড়ে পরা বড় ও মাঝারি মিলিয়ে মোট ১০৮টি গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরো কার্যক্রম নগর ভবনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।

Advertisement

ডিএনসিসি মেয়র গণমাধ্যমে বলেন, সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এত ভারী বৃষ্টিতেও ডিএনসিসি এলাকার প্রধান সড়কগুলোর কোথাও দীর্ঘসময় পানি জমে থাকেনি। জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডিএনসিসির পাঁচ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। পাশাপাশি কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। হটলাইন নম্বরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজার অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়ায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এই বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এবার মেট্রোরেল চলাচলে সিগন্যাল সিস্টেমে সমস্যা হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

এছাড়া জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিলের উভয় অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রেখে উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার উভয় অংশে সচল রাখা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘এখন উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল করছে। শাহবাগ-সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ভায়াডাক্টের ওপর ঝড়ে গাছের ডাল এবং মতিঝিল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সোলার প্যানেল পড়ায় এই অংশে মেট্রোরেল চলাচল আপাতত বন্ধ আছে। শিগগিরই চালুর চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির জন্য কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। কর্মব্যস্ত শহরে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সকাল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু হঠাৎ ট্রেন বন্ধ হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের ৩ লাখ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। একইসঙ্গে প্রচণ্ড ঝড়ে ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ১০০টিরও বেশি আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিটিআরসি মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপরাশেনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে গেলো রোববার (২৬ মে) আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে এ মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল।

আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা ওই সেলের আইএসপি অপারেটরদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট বলছে, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে গাছপালা ভেঙে পড়া, বিদ্যুৎ না থাকা এবং ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ইন্টারনেট ক্যাবলের ক্ষয়ক্ষতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর ১০০ এর অধিক আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আইএসপি অপারেটরদের প্রায় ৩২০টি ইন্টারনেট গেটওয়ে পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) রয়েছে। ঝড়ের কারণে বর্তমানে প্রায় ২২৫টি পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। সবমিলিয়ে উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রায় ৩ লাখ আইএসপি গ্রাহক ফিক্সড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

Advertisement

তবে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, সেসব জায়গায় বিভিন্ন পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত