রাজশাহী
একসঙ্গে বিষপান, ২২ ঘন্টার ব্যবধানে প্রেমিক প্রেমিকার মৃত্যু
![জয়পুরহাটে-প্রেমিক-প্রেমিকার-বিষপান](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/04/জয়পুরহাটে-প্রেমিক-প্রেমিকার-বিষপান.jpg)
দুজনের পরিবারই তাদের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় একসঙ্গে বিষপান করেছিলেন মুরাদ শেখ (১৭) ও তাজমিন আক্তার (১৫)। বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় প্রেমিকের মৃত্যুর ২২ ঘণ্টা পর মারা গেলেন প্রেমিকাও। ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের খাঁড়িতা গ্রামে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়ার একটি হাসপাতালে প্রেমিকা তাজমিন আক্তার মারা যান।
এর আগে সোমবার (০৮ এপ্রিল) ভোর ৫টায় জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রেমিক মুরাদ মারা যান। গেলো ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে তারা বিষপান করেন।
মুরাদ খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে এবং তাজমিন একই গ্রামের তোজামের মেয়ে।
পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, মুরাদ এবার বড়তারা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আর তাজমিন বাঁকিলা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মুরাদের সঙ্গে একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের পরিবার বিষয়টি জানার পর সম্পর্ক মেনে নেয়নি।
পুলিশ আরও জানায়, পরে মুরাদের পরিবার তাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদের পর দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল মুরাদের। এরপর দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে গেলো ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে বিষপান করেন। এরপর তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা বাড়ি ফিরে আসেন।
গেলো ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়। প্রেমিক মারা যাওয়ার খবরে প্রেমিকা তাজমিনও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে তাজমিনও মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপান করেছে। প্রেমিক মুরাদ আগেই মারা গেছেন। এর প্রায় একদিন পর হাসপাতালে মেয়েটিও মারা গেলেন। এ ঘটনায় মুরাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে তার দাফন হয়েছে। আর মেয়েটির মরদেহ বগুড়াতে আছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রাজশাহী
পুলিশকে কামড় দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/হাবিবা.gif)
রাজশাহীর মোহনপুরে উপজেলায় পুলিশের দুই নারী কনস্টেবলকে কামড় দেয়ার ঘটনায় নব-নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে মোহনপুর উপজেলা চত্ত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেলো সোমবার রাতে বাকশিমইল কাঁচা বাজারে দুই নারী কন্সটেবল সাথী রানী শীল , শান্তনা মহান্ত বাজার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন । এ সময়ে সাথীর হাতে ক্যানুলা দেখে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা জিজ্ঞাসা করেন সাথী রানী শীলের হাতে কী হয়েছে। তারা দুজন কথা না বলে সেখান থেকে চলে আসার চেষ্টা করলে হাবিবা গালাগাল শুরু করেন।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা তাদের বলেন মোহনপুর থানায় চাকরি করতে হলে তার কথার জবাব দিতে হবে। তিনি দুই পুলিশ সদস্যকে তুই সম্বোধন করে কথা বললে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে হাবিবা দুই কনস্টেবলকে লাথি মারেন। এর মধ্যে শান্তনা মহান্তর বাম হাতের কবজিতে কামড় দিয়ে আহত করেন ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা। হাবিবার হামলায় কনস্টেবল সাথী রানী শীল আহত হন।
এ ঘটনায় আহত নারী কনস্টেবল শান্তনা রানী মহন্ত বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে। পুলিশ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হাবিবা বেগমকে আদালতে সোপর্দ করলে, আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আই/এ
রাজশাহী
রাজশাহীতে আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষ, হাতবোমা বিস্ফোরণ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/রাজশাহী.gif)
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। রাজশাহীতে এ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আন্দোলনকারীরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় প্রায় ১০ টি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে রাজশাহী জিরোপয়েন্ট, রাণীবাজার, অলোকার মোড়, নিউমার্কেট সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় ।
জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর জিরো পয়েন্টে এর দিকে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের সামনে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি বড় পিকআপ ভাংচুর করে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের দিকে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে লাঠি চার্জ করে। এতে পুলিশের ৫ সদস্য ছাড়াও লাঠি চার্জে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি বড় পিকআপ গাড়ি ভাংচুর করে। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আই/এ
রাজশাহী
স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীর আত্মহত্যা
![আত্মহত্যা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/Rajshahi.jpg)
রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীও আত্মহত্যা করেছেন। গত তিনদিন আগে স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (১৮) আত্মহত্যার পর আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে স্বামী জারমান আলী (২০) আত্মহত্যা করেন। বাঘার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে এক আম বাগান থেকে সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা-ঘোরলাজ গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ে সাগরিকার সঙ্গে বিয়ে হয় বাঘা উপজেলার আড়ানী ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে জারমান আলীর। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল। জারমান আলী শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যায়। বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা লক করা। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তিনি দেখতে পন সাগরিকা তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় পুলিশ জারমানের পিতা নওশাদ আলী ও ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে।
সাগরিকার পিতা গাফফার আলী বাদি হয়ে জারমান আলী ও তার পিতা নওশাদ আলী, মা সানোয়ারা বেগম এবং ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত শনিবার জারমান আলীর বাবা নওশাদ আলী ও তার সৎ মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। আর জারমান পলাতক ছিলেন।
স্ত্রীর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে মঙ্গলবার নিজ বাড়ির ৪শ’ মিটার দুরে আম বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জারমান। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। তবে এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলছেন, কারণে অকারণে বিয়ের দেড় মাস না হতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন জারমান। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে জারমান আত্মহত্যা করেছেন। মামলার ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন এমন ধারণা করছে থানা পুলিশ।
- অপরাধ3 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়8 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়1 day ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়2 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস15 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়23 hours ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়20 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী