Connect with us

আন্তর্জাতিক

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে প্রাণ গেলো ৯জনের

Avatar of author

Published

on

ছবি: এপি

ভূমধ্যসাগরের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ৯ জন মারা গেছেন।  বৃহস্পতিবার(১১ এপ্রিল) ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়া ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ইতালীয় উপকূলরক্ষীদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপ ‘র প্রতিবেদনে এতথ্য জানা গেছে।

জীবিতদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানায়, স্টিল-বটম বোটটি গিনি, বুর্কিনা ফাসো, মালি ও আইভরি কোস্ট থেকে ৪৬ জন মানুষকে নিয়ে রোববার রাতে তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। বুধবার সকালে  ভূমধ্যসাগরের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে নৌকাটি ডুবে যায়।

নৌকাডুবির উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি  

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন বলছে, চলতি বছরের ১১ মার্চ পর্যন্ত ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় পথে ২২৭ জন মারা গেছেন। নতুনভাবে খবর পাওয়া নিখোঁজ ও সম্ভাব্য মৃতদের সংখ্যা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়। ১ জানুয়ারি থেকে ভূমধ্যসাগরে মোট ২৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়কালে ওই সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছেছেন মোট ১৯ হাজার ৫৬২ জন।

ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে বাংলাদেশির সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২১ জুলাই অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের ইতালি যাওয়ার সময় একটি নৌকাডুবির ঘটনায় অভিবাসনপ্রত্যাশী ১৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল জুয়ারা থেকে অভিবাসপ্রত্যাশীদের নিয়ে ওই নৌকাটি ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ভূমধ্যসাগরে তিউনিশিয়ার উপকূলে ডুবে যায়। পরে ওই ডুবে যাওয়া নেীকা থেকে ১৭ বাংলাদেশির মরদেহ ও ৩৮০ জনের বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

এর আগে,গত ০৮ জুলাই অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় আফ্রিকার  তিউনিশিয়ার উপকূলে এবটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ওই নৌকা থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশী ৪৯ জন বাংলাদেশিকে তিউনিশিয়ার কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার করে।

এরও আগে, ২০১৯ সালের মে মাসে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে অন্তত ৪০ বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু ঘটে।

কেন ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ?

অবৈধভাবে ইউরোপের দেশগুলোতে পৌঁছানোর পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনা বেড়েই চলেছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকাতে ভূমধ্যসাগরে নজরদারি বাড়লেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকে সাগর পাড়ি দিচ্ছেন। তবে ভূমধ্যসাগরে নৌকায় করে বহু মানুষের ইউরোপ অভিযাত্রা শেষ হচ্ছে সলিলসমাধিতে।

উন্নত জীবন আর বেকারত্বের অভিশাপ ঘোচাতে অবৈধভাবে যারা ইউরোপের দেশগুলোতে  প্রবেশ করতে চায়, তাদের জন্য সুবিধাজনক জায়গা হচ্ছে আফ্রিকার দেশ লিবিয়া।

Advertisement

দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জীবিকা এবং ভাগ্যান্বেষণের জন্য অভিবাসনপ্রত্যাশীরা  জীবনঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে ইউরোপের দিকে যাওয়ার জন্য এই রুট ব্যবহার করে থাকে। কারণ ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে ইউরোপের প্রাকৃতিক সীমানা থাকায় এবং এখানে নজরদারি রাখা কঠিন হওয়ায়  এই রুটে অভিবাসনের প্রচেষ্টা সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের নাগরিকেরা ভাগ্যের চাকা বদলানোর উদ্দেশ্য নিয়ে নানা উপায়ে লিবিয়া পৌঁছে।সাধারণত গ্রীষ্মের কাছাকাছি সময় আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আসার প্রবণতা বেড়ে যায়

তারপর দেশটির  জুয়ারা উপকূল  থেকে নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অনেকে ইতালি পৌঁছে থাকে। তবে ভূমধ্যসাগরের এরুট পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পথগুলোর একটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বহু মানুষের ইউরোপ অভিযাত্রা শেষ হচ্ছে সলিলসমাধিতে।

লিবিয়ায় সরকার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল থাকায় এবং দেশটির উল্টো দিকে ইউরোপ হওয়ায় মানব পাচারকারীরা রুট হিসাবে লিবিয়ার উপকূলকে বেশি পছন্দ করে। সেখানে অনেক আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে।এসব চক্রের লোকজন জাল কাগজপত্র তৈরি করে,মিথ্যা তথ্য দিয়ে লোকজনকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করে।এজন্য তারা মূলত ইতালিকে বেছে নেয়।

পরিসংখ্যান বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যারা ইউরোপে পৌঁছায় তাদের ৮০ ভাগই জীবিকার সন্ধান পায়। অন্যদের অন্তত পাঁচ বছর নানা সংগ্রাম ও প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করতে হয়। সামান্য কজনই এ দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধরে ইউরোপে জীবিকার সন্ধান করে।

Advertisement
Advertisement

আন্তর্জাতিক

থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পেটাল সেনারা

Published

on

সংগৃহীত ছবি

থানায় প্রবেশ করে পুলিশ সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তিন লেফটেন্যান্ট কর্নেলসহ সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে।  তাদের মারধরের কারণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। মারধরের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার(২৮ মে) ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কুপাওয়াড়ার একটি থানায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যরা অনুমতি ছাড়াই কুপাওয়াড়ার একটি থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশ সদস্যদের বেধড়ক পেটাতে থাকে। এতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি)) পাঁচ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর তিন লেফটেন্যান্ট কর্নেলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, হত্যাচেষ্টা এবং থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া  ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের দিকে সেনারা থানায় প্রবেশ করছেন।তবে পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, এটি একটি ছোট ঘটনা ছিল।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার(২৮ মে) সকালে কুপাওয়াড়ার একটি গ্রামে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য সেনাবাহিনীর এক সদস্যের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এরই জেরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেনাসদস্যরা থানায় গিয়ে পুলিশ সদস্যদের বেধড়ক মারধর করেন। বিষয়টি দ্রুত পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে তারা দ্রুত থানায় ছুটে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

Advertisement

এমআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো উত্তর কোরিয়া, উষ্কানিমূলক বলছে দক্ষিণ কোরিয়া

Published

on

সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘ময়লা ও মলভর্তি’ বেলুন নিক্ষেপের পর আবারও আলোচনায় এসেছে উত্তর কোরিয়া। এবার একের পর এক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাপান সাগরে একের পর এক স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।

এদিকে, এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী। বিবৃতিতে বলা হয়, পিইয়ংইয়ং বৃহস্পতিবার ভোরে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম অন্তত ১০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পূর্বাঞ্চলের উপকূলে ছোড়ে।

উত্তর কোরিয়ার এ আচরণকে উষ্কানিমূলক উল্লেখ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছে দেশটি।

Advertisement

ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি জাপানও নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘জাপানের সমুদ্রসীমার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এ ধরনের উসকানিমূলক আচরণেরও নিন্দা জানান তিনি।

এর আগে, বুধবার ‘ময়লা ও মল’ ভর্তি করে দক্ষিণ কোরিয়ায় অন্তত ২৬০টি বেলুন ফেলে উত্তর কোরিয়া। এ ঘটনার পর সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে সতর্ক করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ।

শুধু তাই নয় সাদা রঙের এসব বেলুন এবং এগুলোর সঙ্গে বেঁধে রাখা প্লাস্টিকের ব্যাগ না ধরতেও বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেশটির সেনাবাহিনী।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

মার্কিন শিক্ষার্থীদের প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার চিঠি

Published

on

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত ফিলস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের অবস্থান সঠিক বলে উল্ল্যেখ করে একটি চিঠি লিখেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি । গাজায় নির্যাতিত নারী ও শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্যই এ চিঠি লিখেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ছাত্রদের উদ্দেশ্যে নিজের টুইটার (এক্স) একাউন্টে  এ চিঠি লিখেন খামেনি।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা চিঠিতে বলেন,

 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

Advertisement

আমি এই চিঠিটি সেই তরুণদের উদ্দেশে লিখছি যাদের জাগ্রত বিবেক তাদেরকে গাজার নির্যাতিত নারী ও শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয় তরুণ শিক্ষার্থীরা! এটি তোমাদের প্রতি আমার সহানুভূতি এবং সংহতির বার্তা। বর্তমানে যে ইতিহাস রচিত হচ্ছে তাতে তোমরা সঠিক পক্ষে অবস্থান নিয়েছ।

তোমরা প্রতিরোধ ফ্রন্টের একটা অংশ গড়ে তুলেছ এবং দখলদার ও নির্দয় ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রকাশ্য সমর্থক মার্কিন সরকারের নিষ্ঠুর চাপের মধ্যে থেকেও একটা সম্মানজনক সংগ্রাম শুরু করেছ।

তোমরা যে উপলব্ধি ও অনুভূতি নিয়ে সংগ্রাম করছ ঠিক সেই উপলব্ধি ও অনুভূতি নিয়েই তোমাদের থেকে অনেক দূরবর্তী অঞ্চলে বিশাল এক প্রতিরোধ ফ্রন্ট বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করছে। এই সংগ্রামের লক্ষ্য হলো- প্রকাশ্য জুলুম বন্ধ করা যা ‘জায়নবাদী’ (ইহুদিবাদী) নামক সন্ত্রাসী ও নির্দয় নেটওয়ার্ক ফিলিস্তিনি জাতির উপর বহু বছর ধরে চালিয়ে আসছে এবং তাদের দেশ দখল করার পর তাদের ওপরই চরম নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে। বর্ণবাদী ইসরাইল আজ যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা গত কয়েক দশক ধরে চলমান চরম জুলুম ও নিষ্ঠুরতারই ধারাবাহিকতা।

মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের নিয়ে গঠিত একটি জাতির স্বাধীন ভূখণ্ড হলো ফিলিস্তিন এবং এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিশ্বযুদ্ধের পর জায়নবাদী নেটওয়ার্কের পুঁজিপতিরা ব্রিটিশ সরকারের সহায়তায় ধীরে ধীরে কয়েক হাজার সন্ত্রাসীকে এই ভূখণ্ডে নিয়ে আসে; তারা শহর ও গ্রামে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা অথবা তাদেরকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যেতে বাধ্য করে। তারা সেখানকার মানুষের কাছ থেকে তাদের বাড়িঘর, বাজার ও ক্ষেত-খামার কেড়ে নেয় এবং দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘ইসরাইল’ নামে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করে।

Advertisement

প্রথম ব্রিটিশ সাহায্যের পরে এই দখলদার সরকারের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যারা দখলদারদেরকে নিরবচ্ছিন্নভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ক্ষমার অযোগ্য অসাবধানতার সাথে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ খুলে দিয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সাহায্য করে যাচ্ছে।

প্রথম দিন থেকেই জায়নবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনের অসহায় জনগণের বিরুদ্ধে ‘লৌহ মুষ্টি’ নীতি অবলম্বন করেছে। তারা সব ধরণের বিবেক-বিবেচনা এবং মানবীয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে দিন দিন বর্বরতা, সন্ত্রাস ও নিপীড়ন বৃদ্ধি করেছে। মার্কিন সরকার ও অন্য সহযোগীরা এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও জুলুমের বিরুদ্ধে ন্যূনতম ভ্রুকুটিও প্রদর্শন করেনি। এখনও গাজায় চলমান ভয়াবহ অপরাধ সম্পর্কে মার্কিন সরকারের কিছু বক্তব্য অবাস্তব এবং ভণ্ডামিপূর্ণ।

এমনি এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ও হতাশাজনক পরিবেশ থেকে প্রতিরোধ ফ্রন্টের উদ্ভব হয় এবং ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র গঠিত হওয়ার পর তা এই ফ্রন্টকে বিস্তৃত ও শক্তিশালী করে তোলে। আন্তর্জাতিক জায়নবাদের নেতারা এই মানবিক ও সাহসী প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ বলে ঘোষণা করেছে। আর এই জায়নবাদী নেতারাই আমেরিকা ও ইউরোপের বেশিরভাগ মিডিয়া কোম্পানির মালিক অথবা এসব কোম্পানিতে তাদের অর্থ ও ঘুষের প্রভাব রয়েছে। যে জাতি ইহুদিবাদী হানাদারদের অপরাধের মোকাবেলায় নিজ ভূমিতে আত্মরক্ষা করে সে কি সন্ত্রাসী?! আর এমন জাতিকে মানবিক সাহায্য দেওয়া এবং তাদের হাতকে শক্তিশালী করা কি সন্ত্রাসবাদের প্রতি সাহায্য বলে বিবেচিত হতে পারে?

বিশ্ব আধিপত্যবাদের বিদ্বেষী নেতারা সবচেয়ে মৌলিক মানবিক ধারণাগুলোকেও বিকৃত করছে। তারা এমন ভান করে যে, নিষ্ঠুর ও সন্ত্রাসী ইসরাইল আত্মরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে; আর স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলা ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাস করছে। তাদেরকে সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে। আমি তোমাদেরকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। পশ্চিম এশিয়ার সংবেদনশীল অঞ্চলের জন্য ভিন্ন রকমের ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিশ্বব্যাপী অনেক বিবেক জাগ্রত হয়েছে এবং সত্য প্রকাশ পাচ্ছে।প্রতিরোধ ফ্রন্ট শক্তিশালী হয়েছে এবং আরও শক্তিশালী হবে। নতুন ইতিহাস রচিত হচ্ছে।

তোমরা অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও জনগণ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। তোমাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সহযোগিতা ও সমর্থন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ঘটনা যা সরকারের পুলিশি পদক্ষেপের তীব্রতা ও চাপের মোকাবেলায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক। আমি তোমাদের প্রতি অর্থাৎ তরুণদের প্রতি সহানুভূতি জানাই এবং তোমাদের দৃঢ়তাকে সম্মান করি। আমাদের অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য এবং বিশ্বের সকল মানুষের জন্য কুরআনের শিক্ষা হলো সত্যের পথে অবিচল থাকা: ‘কাজেই আপনি যেভাবে আদিষ্ট হয়েছেন তাতে অবিচল থাকুন’ (সূরা হুদ, আয়াত ১১২ একাংশ)। আর মানব সম্পর্কের বিষয়ে কোরানের শিক্ষা হলো-‘অত্যাচার করো না এবং অত্যাচারিত হয়ো না’ (সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৯ একাংশ)। এই আদেশসহ এ ধরণের আরও শত শত আদেশ রপ্ত করার পাশাপাশি সেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে প্রতিরোধ ফ্রন্ট এগিয়ে যাচ্ছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় বিজয় অর্জন করবে।

Advertisement

আমি তোমাদেরকে কুরআনের সাথে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত