Connect with us

চট্টগ্রাম

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে নাফ নদীর ওপাড়ে রোহিঙ্গাদের ঢল

Avatar of author

Published

on

ভিডও কল থেকে ধারণকৃত ছবি

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তুমুল লড়াইয়ের ফলে গ্রাম ছাড়া হচ্ছে রোহিঙ্গারা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে মিয়ানমারের নাফনদীর তীরে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা। এপাড়ে থাকা রোহিঙ্গাদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলে ওখানকার চলমান সংঘাতের বর্ণনা করেছেন রোহিঙ্গাদের স্বজনেরা।এদিকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড।

রোববার (২১ এপ্রিল) রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিয়মিত মনিটরিং ও কঠোর অবস্থানের কথা জানান টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের পর পরই শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় এসে আশ্রয় নিয়ে বেশ কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের স্বজনদের কাছে চলে গেছেন।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা যুবক ছৈয়দুল্লাহ বলেন, এবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মগদের সশস্ত্র বাহিনী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইনে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চড়াও হয়েছে। সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় তারা এপাড়ে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। কত নম্বর ক্যাম্পে বা কোন আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেছেন জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরও জানান, ১৭ এপ্রিল মংডুর উত্তরের গ্রাম মাঙ্গালায় জান্তা বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা করে আরাকান আর্মি। একপর্যায়ে যোগ দেয় আরও একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আর এ ত্রিমুখী সংঘর্ষের ফল ভোগ করতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। একের পর এক গোলা পড়ায়, মাঙ্গালা ছেড়ে পেরাংপুর, বাজারপাড়া, শলাকা গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। যার কারনে রোহিঙ্গারা দলে দলে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক রোহিঙ্গা যুবক বলেন, দুই গ্রুপ যখন হামলা করে তখন তাদের গোলাবারুদ তাঁর বাড়িতে এসে পড়ে। তাই  ভয়ে তিনি পালিয়ে এসেছেন।

রোহিঙ্গা সংগঠন এফডিএমএন আরসির বোর্ড সদস্য ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, আমরা বার বার তাদেরকে বলেছি এ দেশে না আসতে। প্রয়োজনে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পালিয়ে থাকুক, তবু যেনো এপাড়ে না আসে। কারণ আমরা সাত বছরেও মায়ানমার ফেরত যেতে পারিনি। যদি বাকিরাও চলে আসে তাহলে আরাকানে রোহিঙ্গাদের শেকড় হারিয়ে যাবে।

স্থানীয়রা জানান, কোনোভাবে রোহিঙ্গাদের আর এদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া ঠিক হবে না। তাই যার যার অবস্থান থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

আই/এ

Advertisement
Advertisement

চট্টগ্রাম

কাপ্তাই হ্রদে নেমে প্রাণ গেলো দুই কিশোরের

Published

on

সংগৃহীত ছবি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে গোসল করতে নেমে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আরেক কিশোরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলেন রাঙামাটির শাহবহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্নব চৌধুরী (১৫) ও এডিশন সাহা (১৬)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে কাপ্তাই হ্রদের তবলছড়ির স্বর্ণটিলা নামক এলাকায়  ঘটনাটি ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তিশা চাকমা।

স্থানীয়রা জানান,  তিন বন্ধু দুপুরে হ্রদে গোসল করতে নামে। এসময় লাইফ জ্যাকেটের মতো কিছু একটা নিয়ে ভেসে দুই বন্ধু ঘাট থেকে দূরে যায়। পরে সেটি হাত থেকে ছুটে গেলে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। অপর বন্ধু সাহায্য করতে গিয়ে সেও ডুবে যায়। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন হ্রদ থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই দুই কিশোরের মৃত্যু হয়।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

সিএনজি-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে নিহত ২

Published

on

সড়ক দুর্ঘটনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- জাহিদ হাসান (২৫) ও অপু মিয়া (১৭)।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

বুধবার ( ২৪ জুলাই ) কসবা উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কালিয়ারা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার সান্যাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কালিয়ারায় অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহিদ মারা যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কুটি-চৌমুহনী দমকল বাহিনীর সদস্যরা ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে অপুকে কুমিল্লা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হলে সেখানে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।

আহতরা হলেন- জেলার রামরাইল এলাকার সিএনজিচালক সাইফুল ইসলাম (৪০) এবং কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দইখলা গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী তসলিমা বেগম। তারা সবাই সিএনজি অটোরিকশায় ছিলেন।

Advertisement

জেডএস/

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্যাম্পাস

পুলিশ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক রণক্ষেত্র

Published

on

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে দেশব্যাপি চলছে “কমপ্লিট শাট ডাউন” কর্মসূচি। কর্মসূচি পালনকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।  এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজনকে আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মহাসড়কে পৌঁছলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

সরেজমিনে  দেখা যায়, মহাসড়কে শিক্ষার্থী এবং পুলিশ সদস্যরা শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান নিলেও । হঠাৎই শুরু হয় সংঘর্ষ, এসময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে থাকে পুলিশ। এরপর শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট,পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। এতে একজন পুলিশ সদস্য ও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত হতে দেখা গেলেও মোট কতজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে শহর থেকে  আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোটবাড়ি অভিমুখে রওনা করলে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সদস্যরা পথে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ও কুমিল্লা জিলা স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েকহাজার শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছে।

আই/এ

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত