রাজশাহী
ইসতিসকার নামাজে অঝোরে কাঁদলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুসল্লিরা
![মুসল্লিরা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/04/News-Image-1-166.jpg)
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টি চেয়ে মহান আল্লাহর কাছে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে মুনাজাত করেন তিন শতাধিক মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের নামোশংকরবাটি ভবনীপুর এলাকায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন তারা।
তালিমুল কোরআন মডেল মাদরাসার আয়োজনে স্থানীয় বিভিন্ন বয়সী মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করে গরম থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা ও বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন তারা। এসময় চোখের পানি ফেলে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করেন তারা।
মুসল্লিরা জানান, সারাদেশের মতো অনাবৃষ্টি ও দাপদাহে পুড়ছে চাঁপাইনাববগঞ্জ। তাই বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে জেলাজুড়ে। বৃষ্টির পানির অভাবে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির অবস্থায় মাঠের ফসল বিনষ্ট হয়ে পড়েছে, আমের গুটি ঝড়ে পরছে। তাই বৃষ্টির পানি চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে সাহায্য চেয়ে ইসতিসকার নামাজের আয়েজন করা হয়।
ইসতিসকার নামাজের ইমামতি করেন হামিদুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, বৃষ্টির জন্য পরপর তিনবার এই সুন্নত নামাজ আদায় করার নিয়ম রয়েছে। যখন অনাবৃষ্টি হতো তখন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। রসুলের এই সুন্নত অনুসরণ করেই নামাজের পর দোয়া করা হয়েছে।
ইমাম আরও জানান, যুগে যুগে মহান আল্লাহ নানারকম বিপদ ও দুর্যোগ দিয়ে পরীক্ষা করেন। অতিরিক্ত পাপের কারনে এমন অনাবৃষ্টি হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে পবিত্র হাদিসে। তবে ইনশাআল্লাহ, মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে শীগ্রই রহমতের এই বৃষ্টি দিয়ে মানবজাতির কল্যাণ করবেন।
রাজশাহী
পুলিশকে কামড় দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/হাবিবা.gif)
রাজশাহীর মোহনপুরে উপজেলায় পুলিশের দুই নারী কনস্টেবলকে কামড় দেয়ার ঘটনায় নব-নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে মোহনপুর উপজেলা চত্ত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেলো সোমবার রাতে বাকশিমইল কাঁচা বাজারে দুই নারী কন্সটেবল সাথী রানী শীল , শান্তনা মহান্ত বাজার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন । এ সময়ে সাথীর হাতে ক্যানুলা দেখে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা জিজ্ঞাসা করেন সাথী রানী শীলের হাতে কী হয়েছে। তারা দুজন কথা না বলে সেখান থেকে চলে আসার চেষ্টা করলে হাবিবা গালাগাল শুরু করেন।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা তাদের বলেন মোহনপুর থানায় চাকরি করতে হলে তার কথার জবাব দিতে হবে। তিনি দুই পুলিশ সদস্যকে তুই সম্বোধন করে কথা বললে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে হাবিবা দুই কনস্টেবলকে লাথি মারেন। এর মধ্যে শান্তনা মহান্তর বাম হাতের কবজিতে কামড় দিয়ে আহত করেন ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা। হাবিবার হামলায় কনস্টেবল সাথী রানী শীল আহত হন।
এ ঘটনায় আহত নারী কনস্টেবল শান্তনা রানী মহন্ত বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে। পুলিশ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হাবিবা বেগমকে আদালতে সোপর্দ করলে, আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আই/এ
রাজশাহী
রাজশাহীতে আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষ, হাতবোমা বিস্ফোরণ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/রাজশাহী.gif)
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। রাজশাহীতে এ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আন্দোলনকারীরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় প্রায় ১০ টি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে রাজশাহী জিরোপয়েন্ট, রাণীবাজার, অলোকার মোড়, নিউমার্কেট সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় ।
জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর জিরো পয়েন্টে এর দিকে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের সামনে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি বড় পিকআপ ভাংচুর করে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের দিকে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে লাঠি চার্জ করে। এতে পুলিশের ৫ সদস্য ছাড়াও লাঠি চার্জে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি বড় পিকআপ গাড়ি ভাংচুর করে। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আই/এ
রাজশাহী
স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীর আত্মহত্যা
![আত্মহত্যা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/Rajshahi.jpg)
রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীও আত্মহত্যা করেছেন। গত তিনদিন আগে স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (১৮) আত্মহত্যার পর আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে স্বামী জারমান আলী (২০) আত্মহত্যা করেন। বাঘার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে এক আম বাগান থেকে সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা-ঘোরলাজ গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ে সাগরিকার সঙ্গে বিয়ে হয় বাঘা উপজেলার আড়ানী ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে জারমান আলীর। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল। জারমান আলী শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যায়। বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা লক করা। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তিনি দেখতে পন সাগরিকা তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় পুলিশ জারমানের পিতা নওশাদ আলী ও ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে।
সাগরিকার পিতা গাফফার আলী বাদি হয়ে জারমান আলী ও তার পিতা নওশাদ আলী, মা সানোয়ারা বেগম এবং ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত শনিবার জারমান আলীর বাবা নওশাদ আলী ও তার সৎ মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। আর জারমান পলাতক ছিলেন।
স্ত্রীর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে মঙ্গলবার নিজ বাড়ির ৪শ’ মিটার দুরে আম বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জারমান। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। তবে এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলছেন, কারণে অকারণে বিয়ের দেড় মাস না হতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন জারমান। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে জারমান আত্মহত্যা করেছেন। মামলার ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন এমন ধারণা করছে থানা পুলিশ।
- অপরাধ3 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়11 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়2 days ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়3 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস18 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়1 day ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয়23 hours ago
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী