Connect with us

অপরাধ

হবু শিক্ষকদের হাতে আগেই পৌঁছে যায় উত্তরপত্র : ডিবি প্রধান

Avatar of author

Published

on

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডিবি জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এই পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হতো উত্তরপত্র।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী। তারা হলেন, ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মন্ডল (৩০)।

ডিবি প্রধান জানান, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার (তৃতীয় ধাপ) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ডিএমপির রমনা থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি ডিবির সাইবার বিভাগ তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে পরীক্ষার দিন মাদারীপুর জেলার পাঁচটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। টাকার বিনিময়ে চক্রের সঙ্গে জড়িত পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে চক্রের সমাধানকারী গ্রুপের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর তা দ্রুত সমাধান করে টাকা নেয়া বা চুক্তি করা শিক্ষার্থীদের কাছে ডিভাইসের মাধ্যমে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা জ্যোতির্ময় গাইন, সুজন চন্দ্র রায়সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জ্যোতির্ময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ভবনের ২২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র এবং সুজন একই হলের সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের ৯০০৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। এছাড়া গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন, পংকজ গাইন ও লাভলী মন্ডল।

Advertisement

উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৯ মার্চ। তবে পরীক্ষার দিনই প্রশ্ন ফাঁস হয়। এরপরও সেই প্রশ্নেই পরীক্ষা নেয়া হয় এবং ২১ এপ্রিল ফল প্রকাশ করা হয়। ওই পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) ২১ জেলার ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

এএম/

Advertisement

অপরাধ

নারী সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সোনালী আক্তার নামে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‌পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নারী সাংবাদিক সোনালী। ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করেছে ডিবি। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া টিটুর দুই সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন ফতুল্লা থানার বিএনপি নেতা ইকবাল ও মামুন মাহমুদ। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। যদিও ঘটনাস্থল আমাদের এলাকার মধ্যে না। তবে ভুক্তভোগী একজন নারী সাংবাদিক এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করেছেন।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সাংবাদিককে নির্যাতনের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক। একজন সাংবাদিক তার দায়িত্ব পালনের সময় তাকে এভাবে পাশবিক নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। টিটুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, পুলিশের মতোই সাংবাদিকরাও তাদের টার্গেট। কারণ, পুলিশ আর সাংবাদিকরা যদি না থাকে তাহলে তাদের কাছে অত্যন্ত সহজ রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় আসা। তারা ক্ষমতার লোভে বিভোর।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ তার। দুর্বৃত্তরা ম্যাচলাইট জ্বালিয়ে সোনালীর গাল আগুনে ঝলসে দিয়েছে। সোনালী নারায়ণগঞ্জের সোজাসাপটা নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

কারাগার থেকে পালানো আরও এক জঙ্গি গ্রেপ্তার

Published

on

নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে ছিনিয়ে নেয়া নয় জঙ্গির মধ্যে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার বরুয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শটগানসহ এ পর্যন্ত ৪৫টি অস্ত্র, এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান।

গ্রেপ্তার জঙ্গির নাম জুয়েল ভুঁইয়া (২৬)। সে শিবপুর উপজেলার কাজিরচর গ্রামের আবুল ভুঁইয়ার ছেলে।

এ নিয়ে ছিনিয়ে নেয়া নয় জঙ্গির মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে দুই নারী জঙ্গিকে ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং একজনকে নারায়ণঞ্জ থেকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সুপার জানান, নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শটগানসহ এ পর্যন্ত ৪৫টি অস্ত্র, এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পৃথক ১১টি মামলায় ১৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তা ছাড়া এ পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি এবং জেলা পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়া ৪৮১ জন কয়েদি আত্মসমর্পণ করেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

নাশকতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ব্লক রেইড

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হামলা,ভাঙচুর,সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড চালিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, বাড্ডা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজন গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এ ব্লক রেইড চালায় বলে গণয়ামধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি জানান, মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ অধিদপ্তর, এক্সপ্রেসওয়েসহ পুলিশের একাধিক স্থাপনায় সহিংসতা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনায় ডিএমপির একাধিক থানায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।

ডিএমপি জানায়, আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এসব মামলায় গেলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত