Connect with us

জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই : ফিরোজ

Avatar of author

Published

on

জাতীয় পার্টির ওপর মানুষের আস্থা নেই। তারা এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে যেতে পারবে, কিন্তু আস্থার সংকট আছে। বন্দনা করা ছাড়া জাতীয় পার্টির সামনে আর কোনো রাজনীতি নেই। একমাত্র বন্দনা করে সংসদে ঢোকা ও নিজের কিছু আখের গোছানো ছাড়া। বললেন, জাতীয় পার্টির একাংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে  এসব কথা বলেন ফিরোজ রশিদ।

ফিরোজ রশিদ বলেন, অনেক ছোট দলের কথাও গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হয়। কারণ তাদের রাজনীতি আছে। এজন্য জনগণ জাতীয় পার্টির ওপর মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্থানীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেনি। কাউকে করতেও বলে নাই। যদি কারও ইচ্ছা থাকে তারা করবে। তাঁর দল স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে মার্কা দিয়ে কোন হানাহানিতে যেতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বড় রাজনৈতিক দলের বাইরে কেউ টিকতে পারবেনা।  স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার কোন সুযোগ থাকবেনা। একটি দল ছাড়া অন্য দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন।

Advertisement

জাতীয় পার্টির একাংশের এ নেতা বলেন,  আজ অর্থনৈতিক ও ব্যাংক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বড় বড় ব্যাংকগুলো ছোট ছোট ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলোতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল লাগিয়ে তা গিলে খাওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আজ সংসদে কথা হচ্ছে না।

জাপা নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টিই মূল স্রোত।  অচিরেই বুঝতে পারবেন লাঙ্গল কার। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে দাবি করেন এ জাপা নেতা।

প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিলের নির্ধারিত পরিচিত সভা স্থগিত করে আজ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ১০টি স্থানে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মধ্যে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জাপা নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ।

আই/এ

Advertisement
Advertisement

জাতীয় পার্টি

গ্রেপ্তার হলেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ

Published

on

ব্যারিস্টার-আন্দালিব-রহমান-পার্থ

জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবি প্রধান হারুন-উর-রশিদ।

ডিবি প্রধান জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে উসকানি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যারিস্টার পার্থের বিরুদ্ধে। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। এ জন্য তাকে তুলে নেয়া হতে পারে বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য,  সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) ৭৩ মামলায় ১৭৫৮-কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর আজ ১২৮ মামলায় ৪৫১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ২০১ জনকে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

 

এসি//

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় পার্টি

Published

on

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে  নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা  এবং পরিবার পরিজনদের সমবেদনা জানায় দলটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সমর্থন জানান।

ফিরোজ রশীদ বলেন, সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে- এটা জাতীয় পার্টিও মানতে পারছে না। তাহলে মেধার মূল্যায়ন হয় না। ছাত্ররা চেয়েছে কোটা থাকবে। তবে তা বিশেষ ক্ষেত্রে এবং তার হার ৫ শতাংশের বেশি নয়। এসব বিষয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই মীমাংসা করা উচিৎ ছিল।

তিনি বলেন, কোটা যেখানে সরকারই বাতিল করেছিলেন সেটা হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হলো। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে- কোটা থাকবে। তবে কোটার হার কমানো বা বাড়ানোর এখতিয়ার সরকারের হাতে থাকবে। ফলে রায় অনুসারেই সরকারের পক্ষে ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়ার সুযোগ আছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। এই পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোটের শুনানি এগিয়ে নিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তাই জাতীয় পার্টি দাবি জানাচ্ছে কোনোভাবে কালক্ষেপণ না করে আগামী রোববারই সুপ্রিম কোর্টে মেনশন করে- সিভিল আপিলটি দ্রুত শুনানি করা হোক।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

৬ শিক্ষার্থী হত্যায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি : জিএম কাদের

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় অংশ নেয়া ৬ শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে গভীর ক্ষোভ-শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। একইসঙ্গে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিও জানান তিনি।

বুধবার (১৭ জুলাই) এক শোক বার্তায় এ দাবি জানান জিএম কাদের। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং নিহতদের পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে আহ্বান জানান জিএম কাদের।

তিনি বলেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি যৌক্তিক। তাদের এ যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে।

জিএম কাদের বলেন, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ শান্তিপূর্ণভাবে অহিংস প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল। তখন ঠান্ডা মাথায় একের পর এক গুলি করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পুলিশ। এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের ভিডিও বিশ্ববাসী দেখেছে।

তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতিতে নিয়োগ পাওয়া, সরকারি দলের আনুগত্যে অন্ধ ও অনুপযুক্ত আইনশৃখলা বাহিনীর সদস্য এবং সশস্ত্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নির্বিচারে হামলা করেছে আন্দোলনরত নিরিহ ছাত্রদের ওপর। গণমাধ্যমের একাধিক রিপোর্টে প্রকাশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের ওপর গুলি করেছে। কিন্তু অবৈধ অস্ত্রধারীদের বাধা বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Advertisement

রাতের আধারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরিহ ছাত্রীরাও রেহাই পায়নি এইসব নরপশুদের নির্যাতন থেকে— উল্লেখ করে জিএম কাদের।

কাদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় কিছু দিন আগে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দরকারের বেশি শক্তি প্রয়োগ করেনি বোঝা যায়। কেননা, শ্রীলঙ্কায় এতবড় আন্দোলন হলো কিন্তু কোনো মায়ের কোল খালি হয়েছে বলে শুনিনি। আইনের শাসন এবং ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে অন্যায়, অবিচার ও অত্যাচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত