লাইফস্টাইল
গরমে শিশুকে চাঙ্গা রাখতে যে খাবারগুলি খাওয়াবেন
সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরম যত বাড়ছে, অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মৌসুমে বাড়ির খুদে সদস্যের বাড়তি যত্ন নেয়াটা ভীষণ জরুরি। স্বাভাবিক ভাবেই নিজের খেয়াল রাখার মতো পরিণত নয় তারা। তাই শিশুদের সুস্থ রাখার দায়িত্ব অভিভাবকদেরই। প্রচন্ড গরমেও যেতে হচ্ছে স্কুলে। এই গরমে সন্তানকে সুস্থ রাখতে তাকে কয়েকটি খাবার বেশি করে খাওয়ানো জরুরি।
গরমে বেলের মতো উপকারী আর কিছু নেই। বেল ভিটামিন এ, সি এবং বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। অনেক শিশুই বেল খেতে চায় না। বাচ্চাদের যাতে পছন্দ হয়, এমন কোনও উপকরণ দিয়ে বেলের শরবত বানিয়ে দিতে পারেন। ভিটামিন সি থাকায় বেল ভিতর থেকে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে সক্ষম।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে টক দইয়ের বিকল্প নেই। বাচ্চার পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে রোজ টক দই খাওয়ান। ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন সমৃদ্ধ টক দই হাড় ভাল রাখতেও সাহায্য করে। টক দই শুধু খেতে না চাইলে তা দিয়ে বানিয়ে দিন লস্যি, রায়তা কিংবা স্যালাড।
গরমে শরীরের যত্ন নিতে ডাবের পানি খুবই উপকারী। প্রচণ্ড গরমে শিশুর প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এই পানীয়। শরীর আর্দ্র রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রমণ জাতীয় রোগবালাই থেকে শিশুকে দূরে রাখবে।
লাইফস্টাইল
ফুরফুরে থাকুন জাপানি টোটকায়
দিনের বড় একটা অংশ কর্মজীবীদের অফিসেই কাটাতে হয়। ব্যক্তিগত সমস্যা, কর্মক্ষেত্রের নানা জটিলতা, সহকর্মীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, আত্মবিশ্বাসের অভাব ইত্যাদি কারণ মনের ওপর চাপ বাড়ায়। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে একসময় ক্লান্তি আর অবসাদ গ্রাস করে নেয়।
মনে একবার ক্লান্তি জেঁকে বসলে তা আর সহজে যেতে চায় না। অনেকে এই অবসাদ দূর করতে মুঠো মুঠো ওষুধ খান। এতে সাময়িক সমাধান পাওয়া গেলেও ক্ষতি হয় শরীরের। তার চেয়ে বরং মন ফুরফুরে রাখতে পারেন জাপানি কিছু পদ্ধতিতে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
মেডিটেশন বা ধ্যান
আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় হাঁটু মুড়ে পদ্মাসনে বসে চোখ বন্ধ করে ধ্যান করুন। জাপানি সংস্কৃতিতে এই পদ্ধতিকে ‘জাজেন’ বলে। প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যানমগ্ন থাকলে মন আর মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত থাকবে। ভালো থাকবে মন।
ইকেবানা
বাড়িতে অতিথি এলে কিংবা বিশেষ উৎসবের দিন অনেকেই ফুল দিয়ে ঘর সাজান। অন্দরে প্রবেশ করেই যদি এক গোছা ফুলে চোখ পড়ে তাহলে মন ভালো হয়ে যায়। পছন্দের ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। জাপানিরা একে ‘ইকেবানা’ বলেন।
ওনসেন
মনের গোপনে জমা মেঘ দূর করতে ভরসা রাখুন জাপানি ‘ওনসেন’ পদ্ধতিতে। উষ্ণ পানিতে গোসল করে মন ভালো করার এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় দেশটিতে। হালকা গরম পানি দেহের পেশিগুলোকে শিথিল করে, রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। এই পদ্ধতি উদ্বেগ দূর করে।
কিনহিন
হাঁটার সময় মন চঞ্চল হতে দেয়া যাবে না। মনকে স্থির রেখে হাঁটতে হবে। জাপানি ভাষায় এই অনুশীলনকে ‘কিনহিন’ বলা হয়। ধীরে ধীরে পথ হাঁটলে মন শান্ত হয়। স্থির থাকে। সুফল পেতে নিয়মিত কাজটি করতে হবে, নয়তো সুফল মিলবে না।
শিনরিন-ইয়োকু
জঙ্গল ভালবাসেন? তাহলে মন খারাপ লাগলে কদিন জঙ্গলে বেড়িয়ে আসুন। বুনো গাছের গন্ধ আর জঙ্গলের আলো-আঁধারিতে মন শান্ত হতে বাধ্য। জাপানি ভাষায় এই টোটকাকে ‘শিনরিন-ইয়োকু’ বলা হয়। গবেষকদের মতে,সবুজ গাছপালার মধ্যে বেশিক্ষণ থাকলে কর্টিসল হরমোন কম ক্ষরিত হয়। অবসাদের কারণ এই হরমোন।
এসি//
লাইফস্টাইল
মশা তাড়াবার ৫টি কৌশল জেনে নিন
একে গরম, তার উপর ঘন ঘন লোডশেডিং। তার উপর মশার উপদ্রব! মশা তাড়ানো ধূপ কিংবা স্প্রে ব্যবহার করাই যায়। কিন্তু রাসায়নিক দেয়া এই সব জিনিস শরীরের জন্য ভাল নয়। অনেকে আবার ধূপ বা স্প্রে-র গন্ধই সহ্য করতে পারেন না। তাদের দম শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শিশুদের জন্যেও এই ধরনের জিনিস নিরাপদ নয়। তা হলে উপায়? গরমে মশার হাত থেকে রক্ষা পাবেন কী ভাবে?
১. কর্পূর
মশার ধূপের গন্ধে অনেকেরই কষ্ট হয়। তার বদলে ঘরে কর্পূর জ্বালাতে পারেন। কর্পূর জ্বালালে ঘরে তেমন ধোঁয়াও হয় না। যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যেও কর্পূর নিরাপদ।
২. পোশাক
মশাকে বোকা বানাতে পারেন হালকা রঙের, গা-ঢাকা পোশাক পরে। গাঢ় রঙে মশা আকৃষ্ট হয়। শরীরের অনাবৃত অংশে মশা কামড়ায় বেশি। তাই গা ঢাকা পোশাক পরলেই ভাল।
৩. বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা
বাড়ি আশপাশে গাছপালা থাকলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই সময় করে আগাছা ছেঁটে ফেলাই ভাল। চার পাশে কোথাও যেন জল না জমে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। জমা জলে মশা বংশ বিস্তার করে। তাই সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
৪. আলোর সঠিক ব্যবহার
ঘরে সাদা আলো ভাল লাগে না বলে সর্বত্র হলুদ ‘মুড’ লাইট লাগিয়েছেন। কাজ থেকে ফিরে সেই হলুদ আলোতে ভেসে যেতে মন্দ লাগে না। এই হলদে আলো মশাদের বড়ই প্রিয়। তাদের দাপট কমাতে চাইলে সাদা আলো ব্যবহার করাই ভাল।
৫. প্রাকৃতিক উপায়
প্রাকৃতিক বেশ কিছু অয়েল যেমন ইউক্যালিপটাস, নিম, ল্যাভেন্ডার, সিনামন, থাইমের গন্ধে মশা পালিয়ে যায়। গায়ে, পোশাকে কিংবা ঘরের কোণে এই অয়েল ছড়িয়ে রাখতে পারেন।
কেএস/
লাইফস্টাইল
দিনের যে সময়ে মিষ্টি খেলে শর্করা বাড়বে না
বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে কোন সময়ে কি খাচ্ছেন সেই দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালে চিনি দেয়া চা, কফি থেকে দুপুরে কাপকেক কিংবা বিকেলে আইসক্রিম— যাই খান না কেন, তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ভাল না। তা জেনেও এই ধরনের খাবার খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। তবে, ক্ষতি এড়াতে চাইলে জানতে হবে মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময়।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মিষ্টি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খালি পেটে একেবারেই খাওয়া যাবে না। খালি পেটে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে দুম করে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে। তাকে কোনও মতেই সামাল দেয়া যাবে না। তবে সকলের ক্ষেত্রেই যে এই নিয়ম কাজ করবে, এমন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারের মতো খাবারের সঙ্গে মিষ্টি খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম।
তবে, শুধু যে রসগোল্লা, কেক, পেস্ট্রির মধ্যেই চিনি থাকে, এমন তো নয়। নরম ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটজাত কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যেও চিনি থাকে। তাই সারা দিন কী খাচ্ছেন এবং কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন, তার উপরেও রক্তে শর্করার ওঠা-নামা অনেকটাই নির্ভর করে। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর যদি মিষ্টি খান, সে ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা কম। কারণ, এই সময়ে বিপাকক্রিয়া ভাল থাকে। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। তাই খুব যদি ইচ্ছে হয়, দিনের বেলাতেই মিষ্টি খেয়ে নিন। রাতে শেষপাতে মিষ্টিমুখ না করাই ভাল। সকালের দিকে মিষ্টি খেলেও খেয়াল রাখবেন যেন, পেট খালি না থাকে।
কেএস/
- ঢালিউড6 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
- আন্তর্জাতিক6 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- তথ্য-প্রযুক্তি5 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- ঢালিউড6 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- পরামর্শ6 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
- জাতীয়2 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বাংলাদেশ4 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা2 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা