Connect with us

বাংলাদেশ

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সংকট নিয়ে নয়টি সুনির্দিষ্ট কারণ

Published

on

দেশের বর্তমান জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সংকট নিয়ে নয়টি সুনির্দিষ্ট কারণ প্রকাশ করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। একইসঙ্গে এ পরিস্থিতির জন্য সরকারের ভুলনীতি রয়েছে বলে মনে করছে সংগঠনটি।

আজ রোববার (২৪ জুলাই) তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সংগঠক রুহিন হোসেনের (প্রিন্স) স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কারণ উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দেশি–বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বর্তমান সরকারের ভুলনীতি ও দুর্নীতি এই সংকট তৈরি করেছে। ফলে কমিশনভোগী এজেন্ট ও কিছু দেশি–বিদেশি গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে ও হচ্ছে। উদ্দেশ্যমূলক ভুলনীতি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করছে তারা।

বিবৃতিতে দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ খাতের পরিস্থিতি নিয়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উল্লেখিত নয়টি সুনির্দিষ্ট কারণ-

১. এক দশকের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়নের নামে সরকার বিশেষ জ্বালানি আইনের দায়মুক্তির বিধানের আশ্রয়ে দেশি-বিদেশি বেসরকারি মালিকানায় তেল-কয়লা-এলএনজির মতো আমদানিনির্ভর জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করার কারণেই এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

২. কোনো ধরনের দরপত্র ছাড়াই বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি এমনভাবে করা হয়েছে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও বসিয়ে রাখা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মালিকদের ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভাড়া দিতে হয়। জ্বালানির মূল্য যখন স্বাভাবিক ছিল, তখনও কিন্তু সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে মাত্র ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গত তিন বছর বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের পকেটে গেছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা।

৩. বর্তমানে এলএনজি ও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আরও বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রাখা হচ্ছে। ফলে বসিয়ে রাখা দেশি–বিদেশি বেসরকারি মালিকদের ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভাড়া ঠিকই দিতে হবে।

৪. বর্তমানে গ্যাসের চাহিদার ২০ শতাংশ আমদানি করা তরল গ্যাস বা এলএনজি দিয়ে মেটানো হচ্ছিল। মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকার এলএনজি আমদানি কমিয়ে দিয়েছে, যে কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ আগের চেয়ে কম উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যানেই এলএনজি আমদানি দিনে দিনে বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। তাহলে এখন কেন এলএনজির বেশি দাম বলে আমদানি বন্ধ রাখা হচ্ছে? সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান ২০১৬–এ বলা হয়েছিল, ২০১৯ সালে এলএনজির মাধ্যমে গ্যাসের চাহিদার ১৭ শতাংশ পূরণ করা হবে। এরপর এলএনজি আমদানি বাড়িয়ে ২০২৩ সাল নাগাদ গ্যাসের চাহিদার ৪০ শতাংশ, ২০২৮ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ গ্যাসের চাহিদার ৭০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি দিয়ে পূরণ করা হবে।

৫.তেল, কয়লা ও এলএনজি এসব জ্বালানির দাম যখন বাড়বে, তখন হুট করে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এটা কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনার নমুনা হতে পারে না। সেই জ্বালানি আমদানিনির্ভর পরিকল্পনা করাই তো অপরাধ। উচিত তো ছিল এলএনজি আমদানি আর তেল ও কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচের বদলে সেই টাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি ও দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে সক্ষমতা বৃদ্ধির পেছনে ব্যয় করা, দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে ভারতের ওএনজিসি বা মালয়েশিয়ার পেট্রোনাসের মতো দেশ–বিদেশের বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে অধিগ্রহণ করে সস্তায় গ্যাস আহরণে সক্ষম করা।

৬. ২০১০ সালে দেশের স্থলভাগ ও অগভীর সমুদ্রের গ্যাসের মজুত নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। ফলাফল অনুসারে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। বহু বছর পার হয়ে গেলেও সমুদ্রসীমায় গ্যাসের মজুত অনুসন্ধান ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা উত্তোলনের জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ মিয়ানমার ও ভারত তাদের সমুদ্রসীমায় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করছে বহুদিন ধরে।

Advertisement

৭. ভারতের ওএনজিসির মতো বাপেক্সকে সক্ষম করার কথা জাইকার তৈরি করা পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যানেও বলা হয়েছিল। যেন ভারতের ওএনজিসির মতো বাপেক্সও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় অবদান রাখতে পারে। লক্ষ করার বিষয় হলো, মাস্টারপ্ল্যানের পরিকল্পনামতো এলএনজি আর কয়লা আমদানিনির্ভরতা বাড়ানো হয়েছে। এলএনজি আর কয়লা আমদানির টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু মাস্টারপ্ল্যানেরই আরেকটি অংশে যেখানে বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল, সেটা বাস্তবায়নের জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

৮. জাতীয় কমিটিসহ দেশের স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছেন, জ্বালানিনিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি। আর তার জন্য চাই দেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের স্থলভাগ ও সাগরের গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকাশ। বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লা আর এলএনজির ওপর নির্ভর করে সস্তায় নির্ভরযোগ্য জ্বালানি পাওয়া যায় না, ফলে জ্বালানিনিরাপত্তা অর্জন করা যায় না। তেল, কয়লা বা এলএনজির দামের কোনো স্থিতিশীলতা থাকে না, এগুলোর সরবরাহের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না, পারমাণবিক বিদ্যুতের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের জন্যও বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। কাজেই আমদানি করা তেল-কয়লা-এলএনজি-ইউরেনিয়ামভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে হাজার হাজার মেগাওয়াট ক্যাপাসিটি হয়তো বাড়ানো যায়, কিন্তু তার মাধ্যমে সস্তায় নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না। তা ছাড়া রামপাল, রূপপুরসহ কয়লাভিত্তিক ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ দেশের জন্য ভয়াবহ, আর্থিক ও পরিবেশগত দিক থেকে হুমকিস্বরূপ বিধায় সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য।

৯. দেশি কর্তৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা আমরা সবাই জানি। দেশের স্থলভাগ ও সাগরের গ্যাস উত্তোলনের জন্যও কিন্তু একই মডেলের কথা বলা হচ্ছে বহু বছর ধরে। পদ্মা সেতুর মতো জটিল ও ব্যয়বহুল সেতু নির্মাণের অভিজ্ঞতাও আগে বাংলাদেশের ছিল না কিন্তু দেশি-বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অর্থের বিনিময়ে কাজে লাগিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ। তেল-গ্যাস উত্তোলনের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটির কথা আমরা বলছি বহু বছর ধরে। সাগরের তেল-গ্যাস উত্তোলনে বাংলাদেশের নিজস্ব দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নেই, স্থলভাগে আছে। কিন্তু যাদের সাগরে গ্যাস উত্তোলনে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে, তাদের ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ করে সাগরের গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নিলে পদ্মা সেতুর চেয়ে বহুগুণ কম খরচে মূল্যবান গ্যাস উত্তোলন করা যেত। তাতে করে বিদেশি কোম্পানিকে ঠিকাদারির জন্য অর্থ দিতে হলেও গ্যাসের মালিকানা বা গ্যাসক্ষেত্রের কর্তৃত্ব দিতে হতো না। বিদেশ থেকে ব্যয়বহুল এলএনজিও আমদানি করতে হতো না।

 

বিআ

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

খালেদা জিয়াকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

Avatar of author

Published

on

ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন  বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর অপেক্ষমান সাংবাদিকদের অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কিছু জরুরি পরীক্ষার জন্য ম্যাডামকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে উনাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।’

খালেদা জিয়ার এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক আরও বলেন, ‘উনার কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। রাতেই মেডিকেল বোর্ড বসে চিকিৎসার পরবর্তি বিষয়গুলো ঠিক করবে।’

এর আগে, রাজধানীর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়।  হাসপাতালে নেওয়ার পরই তার বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড তাকে দেখার পর হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে।

এর আগে, গত ৩০ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন। ওই সময় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুইদিন চিকিৎসা দেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার এই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বিভিন্ন ধাপে বাড়ানো হচ্ছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

‘মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে’

Avatar of author

Published

on

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি বেসরকারি  প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ রয়েছে।এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা  প্রধান  অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীতে  ডিবির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডিএমপির ডিবি প্রধান একথা বলেন।

মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আজই(বুধবার) আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে মরদেহ নিয়ে অসঙ্গতি এবং জাল মৃত্যু সনদের অভিযোগটি গুরুতর মনে হয়েছে। ডিবি কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি।

হারুন বলেন, রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এর উত্তরে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে পেটালে এলাকাবাসী তাকে এলাকা ছাড়া করে। সেখান থেকেই মূলত তার উত্থান হয়। পরে শাহবাগে এসে একটা ফার্মেসিতে চাকরি করে। সেখান থেকে ওষুধ চুরি করার কারণে বের করে দেয়। পরে মিতু হালদার নামে এক নার্সকে সে বিয়ে করে।’

Advertisement

ডিএমপির ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘ বিয়ে করার পর মিল্টন সমাদ্দারের স্বপ্ন এলো সে একটা ওল্ড অ্যান্ড কেয়ার স্থাপন করবে। তারপর সে তার স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা  প্রধান  অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘এরপর সে রাস্তা থেকে শিশু এবং বৃদ্ধদের নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়। আপনার দেখেছেন সে ওই সব ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করত। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও তাকে নিয়ে নিউজ করা হয়। সে বলেছে তার অপারেশন থিয়েটার ছিল কিন্তু তার কোনো অনুমোদন ছিল না।’

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

Avatar of author

Published

on

কুমিল্লায় ৯ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেনি পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়লেন  র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা। গেলো ২৯ এপ্রিল বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত মফিজুল ইসলাম মফুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১১।

বুধবার (১ মে) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র‍্যাব-১১ এর সিপিসি-২ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন লেঃ কর্নেল পাশা।

তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে মফু জানায় প্রতিবেশি হওয়ার সুবাদে শিশুকে সে চিনত এবং স্কুল থেকে ফেরার সময় জানত । এই সুযোগে ঘটনার দিন সকালে ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ওত পেতে থাকে। শিশুটি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলে মফু তাকে রাস্তার পাশের ধানি জমিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। কোনো নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে মেয়েটির কানে থাকা দুল ছিঁড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে মফু।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় স্কুলে যান তার মা। সেখানে মেয়ের কোনো হদিস না পেয়ে ফেরার পথে মেয়ের সহপাঠীর কাছে জানতে পারেন সে স্কুল শেষে বাড়ি চলে গেছে। বিকেলে বাড়ির অদূরে ধানক্ষেতে একটি মরদেহ পড়ে আছে বলে তিনি জানতে পারেন। সেখানে গিয়ে তিনি তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, মফিজুল ইসলাম মফুকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখা গেছে। ঘটনার পর র‍্যাবের ছায়া তদন্ত শুরু হয়। পরে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানাধীন ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে মফিজুল ইসলাম মফুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় শিশুর মা  বাদী হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়7 hours ago

খালেদা জিয়াকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির ভাইস...

অপরাধ10 hours ago

‘মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে’

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি বেসরকারি  প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ রয়েছে।এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে রিমান্ডে...

অপরাধ11 hours ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

কুমিল্লায় ৯ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেনি পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়লেন  র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক...

অপরাধ11 hours ago

মিল্টন সমাদ্দারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ...

অপরাধ12 hours ago

ডিবির হাতে আটক মিল্টন সমাদ্দার

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। মিরপুরে দক্ষিণ পাইকপাড়ার আশ্রম থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে...

জাতীয়12 hours ago

সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বৃহস্পতিবার

শুরু হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধান অনুযায়ী গেলো ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশনের আহ্বান করেন।...

বাংলাদেশ13 hours ago

বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল

বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না। বিএনপি হচ্ছে ফিনিক্স পাখির মতো। বিএনপি অতীতেও পরাজিত হয়নি,ভবিষ্যতেও পরাজিত হবে না। আজকে এমন একটি...

জাতীয়14 hours ago

ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সম্মেলনের ১৫তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ইউরোপ সফর শেষ করেই...

দুর্ঘটনা16 hours ago

শিশুসহ নারীকে পিষে দিলো বাস

রাজধানীর মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের সামনের রাস্তায় বাসের ধাক্কায় কোলে থাকা শিশুসহ এক নারী নিহত হয়েছেন। নিহতরা সম্পর্কে ফুপু ও...

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়18 hours ago

প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিলাসিতা কমাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা...

Advertisement
জাতীয়7 hours ago

খালেদা জিয়াকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

ঢালিউড8 hours ago

‘বিয়ে নিয়ে আগে শাকিব স্টেটমেন্টস দিবে, তারপর আমি বলবো’

আন্তর্জাতিক9 hours ago

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে বাইডেনকে ফোন নেতানিয়াহুর

ফুটবল9 hours ago

যে কৌশলে বোকা হলো বায়ার্ন ডিফেন্ডাররা

ঢালিউড9 hours ago

জায়েদ খানের অভিনয় নিয়ে যে কথা বললেন পূজা চেরী

ফুটবল10 hours ago

রোনালদো ও ডি ব্রুইনাদের পাশে ভিনিসিয়াস

অপরাধ10 hours ago

‘মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে’

অপরাধ11 hours ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

অপরাধ11 hours ago

মিল্টন সমাদ্দারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি

বিএনপি11 hours ago

‘আওয়ামী লীগই বাংলাদেশে তাপপ্রবাহ সৃষ্টি করেছে’

উত্তর আমেরিকা7 days ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত