Connect with us

সিলেট

ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

Avatar of author

Published

on

সড়ক দুর্ঘটনা

মাছবোঝাই পিকআপ ও সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন দুইজন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তগলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পিকআপ চালক চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারী গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৬) ও হেলপার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং (পূর্ব নোয়াগাও) গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে রিপন মিয়া (২৪)।

পুলিশ জানায়, ফজরের নামাজের পর সুতাং বাজার থেকে মাছবোঝাই পিকআপটি (ঢাকা মেট্রো ন ১৯-২৩২১) বাহুবল বাজারে কিছু মাছ পৌঁছে দেয়। পরে বাকি মাছ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল হয়ে জুড়ী যাওয়ার জন্য রওনা হয়। পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তগলী এলাকায় পৌঁছালে সিলেটগামী সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো শ ১৩-০৫৭৩) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় পিকআপটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালক ও হেলপার মারা যান।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল করীম দুর্ঘটনার বিষয়টির নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।

 

Advertisement
Advertisement

সিলেট

কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বাদাম চাষ বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

Published

on

বাদাম

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর চরসহ চাষের উপযোগী মাটিতে অন্যতম লাভজনক ফসল চিনা বাদাম চাষাবাদ হচ্ছে। রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ইউনিয়ন সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্য বছর গুলোর তুলনায় এ বছর অধিক জমিতে বাদাম চাষ করতে দেখা গেছে। বিস্তীর্ণ কুশিয়ারা নদীর চর ও তীরবর্তী  এলাকায় বাদামের  সবুজ পাতা বাতাসে দোল খাচ্ছে। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছেন এসব এলাকার কৃষকরা।

এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বাদামের মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদী স্থানীয় কৃষি অফিস।

রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মুজিবুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে কুশিয়ারা নদীর চরে উপযোগী মাটিতে এবার ১০ বিঘা জমিতে  বাদাম চাষ করেছি, বোনা থেকে নিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা, ৬০ থেকে ৭০ মন ফলন হবে।

একই ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের কৃষক মশাহীদ আলী বলেন, গতবছর ৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে লাভবান হয়েছি, এবছর প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি, লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে, ১৫০ থেকে ১৬০ মন বাদাম উৎপাদন হবে।

পাইলগাঁও ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের কৃষক ফয়জুর রহমান শাহীন বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সরকারি প্রণোদনায় প্রথমবার দুই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি, প্রায় ১৮ হাজার টাকা  খরচ হয়েছে, ১২ থেকে ১৪ মন উৎপাদন হবে। রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী হরিণা কান্দি গ্রামের শতাধিক কৃষকেরা সরকারি প্রণোদনা ও নিজ উদ্যোগে চলতি বছর প্রায় ৩৮ হেক্টর অনাবাদি জমিতে বাদাম চাষ করেছন।

Advertisement

এলাকার এসব কৃষকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী আমাদের শতশত একর অনাবাদি জমি রয়েছে, জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ও সরকারি সহযোগিতায় এবছর আমরা অনাবাদি গুলো চাষের আওতায় নিয়ে এসেছি।

হরিণা কান্দি গ্রামের কৃষক দুলেন দাশ বলেন, আমরা গতবছর কয়েক জন কৃষক মিলে ২০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে লাভবান হয়ে এবছর আমাদের গ্রামের শতাধিক নিজ উদ্যোগে প্রায় ৩৮ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, আমরা বাদামের সঠিক বাজারদর পাওয়ার প্রত্যাশা করি। রৌয়াইল গ্রামের কৃষক আজির উদ্দিন বলেন, এবার আমি ৩ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে সামনে আরও বেশি করে আবাদ করবো। চাহিদা বেশি থাকায় কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় সবজির পাশাপাশি বাদাম চাষে কৃষকদের  দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় অনাবাদি পতিত জমি রয়েছে, এসব জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রধান মন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জায়গা যেন খালি না থাকে, এসব জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে  আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদ বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনাবাদি জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়   উপজেলার রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায়  কৃষকদের বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। পরিত্যক্ত অনাবাদি জমিতে লাভজনক ফসল চিনা বাদাম, ভূট্রা, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু সহ মৌসুমি সবজি চাষাবাদ হচ্ছে।

 

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

আধিপত্য বিস্তার : সংঘর্ষে ৩ ভাইসহ ৫ জন নিহত

Published

on

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুর্বের বিরোধর জের।  তারপর কথা কাটাকাটি-ঝগড়া। শুরু সংঘর্ষ। পরে তা ছড়িয়ে পরে দুই গ্রামের মধ্যে। এ ঘটনায় প্রাণ হরালেন তিন ভাইসহ পাঁচজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিন জন মারা যান। এ ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, আগোয়া গ্রামের আব্দুল কাদির (২৫), সিরাজ মিয়া (৫০) লিলু মিয়া (৪০) তার ভাই জিলু মিয়া (৪২) ও আনু মিয়া। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, উপজেলায় মন্দরী ইউনিয়নের আগোয়া গ্রামে ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার সঙ্গে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী বদির মিয়ার মধ্যে পুর্বের বিরোধর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুইজনের সমর্থক অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদির ও স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও শতাধিক মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মধ্যে লিলু নামের আরো একজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরবর্তীতে সিলেটে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় লিলুর ভাই জিলু মিয়া ও আনু মিয়ার ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দুই দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় সংঘর্ষকারীরা একে অন্যের বসতঘরও ভাঙচুর করেছে। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন গ্রামের সামর্থ্যবান পুরুষরা।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

জিতলেন বাবা, হারলেন ছেলে

Published

on

মৌলভীবাজার

ভোটের মাঠে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন এক পরিবারের দুই সদস্য। সম্পর্কে বাবা ও ছেলে তারা। ফলাফলে বাবা আজির উদ্দিনের কাছে ভোটের মাঠে হেরে গেছেন ছেলে মাসুম আহমদ হাসান। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের।

বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আজির উদ্দিন ৩২ হাজার ৯১৬ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট।

এছাড়াও চেয়ারম্যান পদের অন্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর আনারস প্রতীকে ১৯ হাজার ৬৩৫ ভোট এবং আজির উদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম আহমদ হাসান উট প্রতীকে ৯১৪ ভোট পেয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একই পদে তার পুত্র দক্ষিণভাগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমদ হাসানও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

Advertisement

মাসুম আহমদ হাসান জানান, তার বাবা আজির উদ্দিনের নির্বাচন করা নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলে। তার (মাসুম) প্রার্থী হওয়া একটি নির্বাচনী কৌশল ছিল।

প্রসঙ্গত, একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত বড়লেখা উপজেলায় মোট ভোটার দুই লাখ তিন হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ দুই হাজার ৮৫৬ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭১০ জন।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত