Connect with us

আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে তীব্র খরায় জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরোনো শহর

Avatar of author

Published

on

ফিলিপাইনে চলমান অতি তাপপ্রবাহে সেখানকার একটি বিশালাকার কৃত্রিম জলাধার শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে তীব্র খরার মধ্যে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শহরের ধ্বংসাবশেষ জেগে উঠেছে।  তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ঐতিহ্যবাহী শহরটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক।

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) দেশটির বাঁধ পরিচালনাকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রকৌশলী মারলন প্যালাডিন গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে পানি সংরক্ষণের জন্য বাঁধ তৈরি করার কারনে পাশের ঐতিহ্যবাহী পান্তাবঙ্গন শহরটি তলিয়ে যায়। সম্প্রতি অতি খরায় ধ্বংসাবশেষটি মানুষের নজরে আসে।

ফিলিপাইনের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাস দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে সবচেয়ে উষ্ণ এবং শুষ্কতম আবহাওয়া বিরাজ করে। তবে এ বছর এল নিনোর প্রভাবে পরিস্থিতি আরো বেশী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, এশিয়ার এই দেশটির অর্ধেকের বেশি জায়গায় এখন তীব্র খরা চলছে। কয়েকটি শহরে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ২৪ এপ্রিল চরম তাপদাহে দেশটির রাজধানী ম্যানিলাসহ ৩০টি শহরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। নাগরিকদের বাইরে সময় কাটানোর পরিমাণ সীমিত করতে সতর্কতা জারি করা হয়।

Advertisement

জেড/এস

Advertisement

আন্তর্জাতিক

রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের-প্রতিরক্ষামন্ত্রী-লয়েড-অস্টি

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর গতকাল সোমবার (২০ মে) শোক পালন করেছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে দেশটি বলছে রাইসির মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক নিরাপত্তার কোনো প্রভাব পড়েনি।

মঙ্গলবার (২১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এছাড়া এ দুর্ঘটনার কোনো কারণও জানা নেই বলে জানান তিনি।

গতকাল তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন, যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল কিংবা আরও কিছু হতে পারে।

অস্টিন বলেন, ইরানের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আমাদের কোনো অন্তর্দৃষ্টি নেই।

Advertisement

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি ওয়াশিংটন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে।

ওই বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশটির জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই কারীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করছি।

রোববার (১৯ মে) রাইসি ও আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সাতজনকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ইরানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় একটি দুর্গম এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

এ ঘটনায় ইরানের সামরিক বাহিনী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহু ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় আইসিসি

Published

on

আন্তর্জাতিক-অপরাধ-আদালত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা ও এর জেরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ মে)  আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,  আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু, গাল্যান্ট, সিনাওয়ার ছাড়াও হামাসের কাসেম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল মাছরি (মোহাম্মদ দায়িফ নামেও পরিচিত) ও সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাচ্ছেন। এরই মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আইসিসির বিচারক প্যানেলের কাছে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই প্যানেল তার আবেদনটি যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।

বেনিয়ামিন-নেতানিয়াহু,-প্রতিরক্ষামন্ত্রী-ইয়োভ-গ্যালান্ট,-হামাস-নেতা-ইয়াহিয়া-সিনাওয়ার

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এ আবেদনের বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসির বিচারকদের একটি প্যানেল সিদ্ধান্ত দেবে। করিম খান জানান, গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় সিনাওয়ার, হানিয়া ও দায়েফের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, হত্যা, লোকজন জিম্মি হিসেবে নেয়া, ধর্ষণ এবং বন্দীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ কৌসুলি জানান, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করা, মানবিক ত্রাণ সরবরাহ করতে না দেয়াসহ ক্ষুধাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, যুদ্ধে বেসামরিক লোকজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা।

Advertisement

এদিকে করিম খানের আবেদনের পর ফ্রান্স জানিয়েছে, দেশটি সিনাওয়ার ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদনের পক্ষে আছে। সোমবার  (২০ মে) এক বিবৃতিতে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অবস্থান ব্যক্ত করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্রান্স আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও এর স্বাধীনতা এবং সব পরিস্থিতিতে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের পক্ষে বাইডেনের জোরালো অবস্থান

Published

on

বাইডেন, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

গাজায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার শিকার হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনবাসী। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমনকি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। তবে ইসরায়েলের পক্ষে জোরালোভাবে অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা করছে না এবং গাজায় যা হচ্ছে তা গণহত্যা নয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার (২০ মে) ইসরায়েলের পক্ষে জোরালোভাবে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় তাদের সামরিক অভিযানে গণহত্যা চালাচ্ছে না।

এমনকি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও গণহত্যার বিষয়ে ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীদের সমালোচনাও প্রত্যাখ্যান করেছেন বাইডেন। হোয়াইট হাউসে ইহুদি আমেরিকান হেরিটেজ মান্থ ইভেন্টে তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা এটি প্রত্যাখ্যান করছি।’

Advertisement

মূলত গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনিপন্থিদের কাছ থেকে প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছেন বাইডেন।

এসব বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের প্রতি তার অবিচল সমর্থনের জন্য বাইডেনকে ‘জেনোসাইড জো’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।

রয়টার্স বলছে, সোমবার হোয়াইট হাউসের ওই ইভেন্টে বাইডেন গেলো বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার কথা সামনে এনে ইসরায়েল নিজেই ‘ভিকটিম’ বলে জোর দেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলিদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ‘লোহার আবরণের মতো দৃঢ়’।

তিনি বলেন, ‘আমরা (হামাস নেতা ইয়াহিয়া) সিনওয়ার এবং হামাসের বাকী কসাইদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলের সাথে আছি। আমরা হামাসকে পরাজিত করতে চাই। আমরা ইসরায়েলের সাথে কাজ করছি যাতে হামাসকে পরাজিত করা যেতে পারে।’

এছাড়া প্রেসিডেন্ট বাইডেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। গেলো রোববার (১৯ মে) মোরহাউস কলেজে নিজের প্রারম্ভিক বক্তৃতায়ও বাইডেন এটির পুনরাবৃত্তি করেন।

Advertisement

এদিকে গাজায় যুদ্ধাপরাধের পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জমা পড়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি)।

আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের (করিম খান) দপ্তর থেকে করা হয়েছে এই আবেদন। তবে বাইডেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সোমবার আইসিসির প্রসিকিউটর আরও বলেছেন, তিনি হামাস প্রধান সিনওয়ার এবং হামাসের অন্য দুই নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

Advertisement

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৫৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত