Connect with us

বরিশাল

পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে ছাড়াই ৩ মাস সংসার, অতঃপর আত্মহত্যা

Avatar of author

Published

on

আত্মহত্যা

পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে ছাড়াই তিন মাস সংসার করার পর বিষপানে আত্মহত্যা করেছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। নিহতের নাম মোসা. মরিয়ম আক্তার। সে বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী ছিল। ঘটনাটি বরগুনার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় স্কুলছাত্রীর নিজ বাড়িতেই ঘটনাটি ঘটে। তবে আত্মত্যার তিন দিন পার হলেও বিষয়টি জানতেন না স্কুলের কোনো সহপাঠী কিংবা স্থানীয় থানা পুলিশ। ফলে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। তবে পরিবারের প্রাথমিক ভাষ্য— খালাতো ভাইকে বিয়ে করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে মরিয়ম। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ দুই পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে মরিয়মের খালাতো ভাই পার্শ্ববর্তী গ্রেদ লক্ষ্মীপুরা গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহাজানের ছেলে ইমরান হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেয়ে ও তার পরিবার বিয়ের কথা বললে ইমরানের পরিবার শর্তজুড়ে দেন মরিয়মের পরিবারকে। যেহেতু মরিয়ম প্রাপ্তবয়স্ক না, তাই বিয়ের আগে তিন মাস সংসার করতে হবে ছেলের সঙ্গে। বিষয়টি সামাজিকভাবে একদমই বেমানান হলেও আপন খালার সংসারে থাকবে বলে রাজি হয় মরিয়মের পরিবার।

পরে গেলো জানুয়ারি মাসে খালার বাড়িতে বিয়ে ছাড়াই সাংসারিক জীবনে পা রাখে দশম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম। শর্তানুযায়ী সাংসারিক সময় তিন মাস পার হলে বিয়ের কথা বলেন মরিয়ম ও তার পরিবার। কিন্তু কোনোভাবেই বিয়েতে রাজি হয়নি খালাতো ভাই ইমরান ও তার পরিবার। একপর্যায়ে খালার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয় মরিয়মকে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশিরা জানান, বিয়ে ছাড়া তিন মাস ইমরানের বাড়িতে সংসার করায় মরিয়মকে প্রায় সময়ই আশপাশের লোকজনের নোংরা কথা শুনতে হতো। সামাজিকভাবে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে যায় মেয়েটি। ফলে লোকলজ্জা থেকে মুক্তি পেতে বাধ্য হয়েই বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ।

Advertisement

তারা আরও বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে আমরা জানতে পারি মরিয়ম খুবই অসুস্থ, তাকে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শেরেবাংলা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে বরিশাল থেকে মৃত অবস্থায় নিয়ে এলে তাড়াহুড়ো করেই মরিয়মের লাশ দাফন সম্পন্ন করে পরিবার। তখন পরিবার জানায়, বিষপানে আত্মহত্যা করেছে মরিয়ম এবং ময়নাতদন্ত হওয়ায় দাফনে বিলম্ব করেননি তারা।

তার একাধিক সহপাঠী বলে, আমরাও জানতাম মরিয়মের খালাতো ভাইয়ের সঙ্গেই বিয়ে হবে ওর। তাই খালাতো ভাইয়ের বাড়িতে আগে থেকেই থাকত মরিয়ম।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মনির সিকদার বলেন, বিষয়টি সত্য যে খালাতো ভাইয়ের বাড়িতে বিয়ের আগে থেকেই থাকত মরিয়ম। পরে ছেলের পরিবার বিয়েতে রাজি না হলে এ ঘটনায় একাধিকবার সালিশবৈঠকও হয়েছে। যেহেতু তারা দুই পরিবারই আত্মীয়। তাই আমরা স্থানীয়রাও সালিশিতে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। ফলে সামাজিক লজ্জা এড়াতেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।

বেতাগী থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত না, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Advertisement

এসি//

Advertisement

দেশজুড়ে

বিদ্যালয়ের এক রুমে গিয়ে একে একে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ

Published

on

বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গিয়ে একে একে ৩৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে কেউ জ্ঞান হারিয়েছেন, আবার কেউ কেউ করছেন অস্বাভাবিক আচরণ। এ ঘটনার পরে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গেলো মঙ্গলবার (১৪ মে) উপজেলার ওই স্কুলের স্কুলের নন্দিনী হাইজিন কর্নারে প্রবেশ করার পর ছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পরার ঘটনা শুরু হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হোসনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নান্না মিয়া।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, শুরুতে ৮ জন ছাত্রী রুমে ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁরা অভিভাবকদের স্কুলে অসুস্থ ছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু গেলো ১৫ মে একই হাইজিন কক্ষে প্রবেশ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও ২৫ জন ছাত্রী। এদের মধ্যে অসুস্থ ছাত্রীদের সেবা শুশ্রূষা করতে তাদের সংস্পর্শে গিয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম জানান,  প্রতিটি বিদ্যালয়েই এ ধরনের হাইজিন রুম থাকে। যতদিন ধরে  স্কুলে মেয়েদের জন্য এ রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে এর মধ্যে আর কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার প্রথম দিন ওই রুমে প্রবেশের পর অসুস্থ হয়ে পড়া মেয়েদের চিৎকার শুনে তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন একেকজন একেকরকমের কথা বলেছে। কেউ বলেছে দেয়ালে লাল দাগ দেখা গেছে আবার কেউ বলছে কালো বিড়াল দেখা গেছে। পরে অসুস্থ মেয়েদের শিক্ষকদের রুমে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে অভিভাবকদের খবর দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর হোসেন জানান, ভৌতিক কিংবা অশরীরী উপদ্রবের কোনো কারণে স্কুলের ছাত্রীরা আক্রান্ত হয়নি। ম্যাস হিস্টিরিয়া বা গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এটি তেমন কোনো জটিল কিছু না। চিকিৎসার পাশাপাশি আক্রান্তদের কাউন্সেলিং করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

Advertisement

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পরেই তাঁরা স্কুলের সাথে যোগাযোগ করেছেন। যে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাদের চিকিৎসা ও যে ধরনের ভয়ভীতি রয়েছে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিভাবক ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে  দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুল শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দেশজুড়ে

প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারণা, প্রার্থীকে শোকজ

Published

on

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাসেদ সরদার প্রতীক বরাদ্দের আগেই জনসমাগম করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাসেদ সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ  দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান খান।

স্থানীয়রা জানান, সুকৌশলে  নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে বাশেদ সরদারের ফুফাতো ভাই হিমেল মাহমুদের বাবা-মায়ের নামে দোয়া মিলাদের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষের দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। এর আগে এধরনের অনুষ্ঠানে এত মানুষের সমাগম ছিল না। ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, তাঁর যাওয়ার খবর পেয়ে দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠান থেকে প্রার্থী সটকে পড়ে। প্রার্থী চলে যাওয়ার ফলে প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারে নাই। এ বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২০ মে দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

শিশুকে ধর্ষণের পরে হত্যা, খালাতো ভাইসহ গ্রেপ্তার ২

Published

on

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর এলাকায়  তামান্না আক্তার (৯) নামে এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেপ্তার দুইজন হলেন নিহত শিশুর খালু সুলতান হাওলাদার (৫০) ও খালাতো ভাই তাওহীদ হাওলাদার (৩০)।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার চুনাঘাট বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন র‌্যাব ৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী জুবায়ের আলম শোভন।

র‍্যাব জানায়, গেলো ২ মে নিহতের মা তাঁর ফুফাতো ভাই ও গ্রেপ্তারকৃত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সুলতান হাওলাদারের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে যান। এরপর গেলো ৩ মে দুপুরে সুলতান হাওলাদারের ভবনের ছাদ থেকে তামান্না আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে সুলতান হাওলাদারসহ তার পরিবারের পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

তদন্তে নেমে র‍্যাব জানতে পারে, সুলতান হাওলাদারের ছেলে তাওহীদ হাওলাদার তামান্নাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। তামান্না চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যার পর ভবনের সিঁড়ির রুমে টিনের চালার রুয়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। তাওহিদের পরিবারের লোকজন পরিকল্পিত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য আত্মহত্যার গল্প সাজায়।

প্রসঙ্গত, নিহত তামান্না স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থী ছিলেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত