আন্তর্জাতিক
ইসরায়েল-হামাস নতুন যুদ্ধবিরতি! যা আছে প্রস্তাবে
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দী বিনিময় নিশ্চিত করতে আলাপ-আলোচনা চলছে। তিন দফায় একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। সম্প্রতি ওই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির একটি খসড়া লেবাননের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-মায়েদিনের কাছে পৌঁছেছে।
এরই ভিক্তিতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, খসড়া প্রস্তাবে মূলত তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এতে শুধুমাত্র জিম্মি ও বন্দীদের বিনিময়ের কথা বলা হয়নি, গাজাসহ এই অঞ্চলের শান্ত পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ি, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে চলে যাবে। এসময় দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টা ইসরায়েলি সামরিক বা বেসামরিক বিমান গাজার আকাশে উড়বে না। বন্দী-জিম্মি বিনিময়ের দিন অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়বে না।
প্রথম ধাপের ৭ম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী আল-রশীদ স্ট্রিট থেকে আরও পূর্ব দিকে সরে যাবে। এই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।
প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী সেন্ট্রাল গাজা থেকে সরে গিয়ে গাজা-ইসরায়েল বিভক্তকারী সীমানায় চলে যাবে। এই সময়ে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস তাদের হাতে জীবিত থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েলি একজন জিম্মির বিপরীতে ২০ জন করে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে। আর এই মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের আর কখনোই গ্রেপ্তার করবে না মর্মে ইসরায়েলকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
তবে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে বাধ্য থাকবে ইসরায়েল।
খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস এবং পরবর্তীতে প্রতি তিন দিন পরপর ৩ জন করে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে।
এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির ১৪ তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস যোদ্ধাসহ অন্যান্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যই এই ব্যবস্থা। প্রথম ধাপের ১৬ তম দিনে হামাস ও ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে যাতে এই অঞ্চলকে শান্ত রাখা যায়। প্রথম ধাপের প্রতিটি পর্যায়ে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ সবাই গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করবে।
প্রস্তাবিত খসড়া অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, নিজ ভূমিতে বাস্তুচ্যুত হওয়াদের জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও বলা হয়েছে ওই খসড়া চুক্তিতে।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঐক্যমতে পৌঁছবে। এছাড়া, এই ধাপে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়াসহ তা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।
তৃতীয় ধাপের মেয়াদও হবে ৪২ দিন। এসময় উভয় পক্ষের হাতে থাকা নিহত হামাস যোদ্ধা বা ইসরায়েলি সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এসময় ফিলিস্তিনের হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গাজায় কোনো সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকবে বলে খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়।
তৃতীয় ধাপে চলার সময় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন বা পক্ষগুলো যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার কোনো সরঞ্জাম, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপাদান আমদানি করতে পারবে না। আল-মায়েদিনের প্রাপ্ত নথিতে জানা গেছে, এই চুক্তির গ্যারান্টার বা নিশ্চয়তাদানকারী হচ্ছে- কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এমআর
আন্তর্জাতিক
উদ্ধার কাজ চলছে, এখনও খোঁজ মেলেনি ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ঘন কুয়াশার কারণে একটি পার্বত্য এলাকা অতিক্রম করার সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওই এলাকায় উদ্ধারকারী দলগুলো পৌঁছতে চেষ্টা করছে। ইরানের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানের জীবন ‘আশঙ্কাজনক’। প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রতিবেশি দেশ আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ওই হেলিকপ্টারে চড়ে ফিরছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও আশাবাদী তবে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত এলাকা থেকে যেসব খবর আসছে তা খুবই উদ্বেগজনক।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হেলিকপ্টারটি বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে উদ্ধার কাজ চলছে। সেনাবাহিনী ও এলিট রেভ্যুলুশনারি গার্ডের সব শাখাকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতায় অংশগ্রহণের আদেশ দিয়েছেন ইরানের সেনাবাহিনী প্রধান।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, ‘এখন খুব অন্ধকার এবং বৃষ্টি হচ্ছে। তবে অনুসন্ধান তৎপরতা চলছে। উদ্ধারকর্মীরা এলাকাটিতে পৌঁছে গেছে। বৃষ্টির কারণে কাদা হওয়ায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতার কাজ বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।’
এদিকে, বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং অন্যান্যদের অবস্থা সম্পর্কে ওই গণমাধ্যমটি কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইরানের রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পায়ে হেঁটে যান। জায়গাটি এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহরকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সেটি জরুরি ভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। রোববার (১৯ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়।
ইরনার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতিবেশি দেশ আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তার হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। তবে এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইবরাহিম রাইসি বেঁচে আছেন কিনা মারা গেছেন সে ব্যাপারেও সরকারিভাবে কোনো বিৃবতি দেয়নি প্রেসিডেন্টের দপ্তর।
ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বাঁধ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফেরে। ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য কর্মকর্তারা ওই দুই হেলিকপ্টারে নিরাপদে ফিরেছেন।
ইরনা নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দিজমার নামের একটি বন ও পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট কী ধরনের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানার পরই ঘটনাস্থলে কমান্ডো বাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়।
এমআর//
আন্তর্জাতিক
ইরানি প্রেসিডেন্টের ভাগ্যে কী ঘটেছে? বাড়ছে গুজবের ডালপালা
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি। তাঁর বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তর কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোর কারণে প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে ঘিরে দুশ্চিন্তার ডালপালা বাড়ছে। সরকার স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য জানাতে না পারায় খোদ ইরানে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে-প্রেসিডেন্ট রাইসি হয়তোবা আর বেঁচে নেই।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদন অনুযায়ি, প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজেন এর একটি বাঁধের উদ্ধোধন শেষে ফেরার পথে তার হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হচ্ছে। হেলিকপ্টারটির কী অবস্থা তা পরিষ্কারভাবে বলা হয়নি। আর ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।
ওই বাঁধ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসির সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফিরেছে। ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য কর্মকর্তারা ওই দুই হেলিকপ্টারে ছিলেন।
তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়া হেলিকপ্টারে রাইসি ছিলেন কিনা তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। একটি সূত্র বলছে, রাইসি ওই সময় গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র তার হেলিকপ্টারে থাকার বিষয়টিতে জোর দেয়। বিবিসি, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যগুলো ওই হেলিকপ্টারে রাইসির থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন নিয়েও দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের প্রভাবশারী গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল বোলছে-হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সেটি স্থাপন হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
তবে ইরানের তাসনিম নিউজের প্রতিবেদন বোলছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট রাইসির সন্ধান অভিযানে অন্তত ৪০টি অনুসন্ধান দল মোতায়েন করা হয়েছে। এতে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে। এমতাবস্থায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, মাশহাদ শহরে লোকজন জড়ো হয়ে ইবরাহিম রাইসির জন্য প্রার্থনা করছেন। প্রেসিডেন্ট রাইসির দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। পাশাপাশি টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড।
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, দলগুলো হেলিকপ্টারে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। হতে পারে দুর্ঘটনাটি খুব খারাপ ছিল। অথবা এলাকাটিতে নেটওয়ার্ক নাও থাকতে পারে। তাই প্রেসিডেন্ট রাইসির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে গুজবের ডালপালা ক্রমশ বাড়ছে।
এমআর//
আন্তর্জাতিক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি। তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সেটি জরুরি ভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। রোববার (১৯ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়।
ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশি দেশ আজারবাইজানের একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তার হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। তবে এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইবরাহিম রাইসি বেঁচে আছেন কিনা মারা গেছেন সে ব্যাপারেও সরকারিভাবে কোনো বিৃবতি দেয়নি প্রেসিডেন্টের দপ্তর।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দলটি শিগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরও তথ্য জানাবে।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে এখনও উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি।
ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বাঁধ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, এই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফেরে। ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য কর্মকর্তারা ওই দুই হেলিকপ্টারে নিরাপদে ফিরেছেন।
ইরনা নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দিজমার নামের একটি বন ও পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট কী ধরনের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এমআর//
- আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট4 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- খুলনা6 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
- অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- বলিউড2 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- আইন-বিচার3 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা