অপরাধ
উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গেলো বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী নিজেই জানিয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, যেহেতু আমি আবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করছি, সে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত একটি আলোচনা সভা শেষ করি। পরে রাতে হোয়াইক্যংয়ের কম্বনিয়া পাড়া, পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মুরব্বি এবং মেম্বারদের সঙ্গে দেখা করি। এ সময় আমরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনের মতো লোক দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি ও জাফর চেয়ারম্যানসহ ২০ থেকে ৩০ জন লোক আমাকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। চেয়ারম্যান নুরুল আলমের দাবি, আব্দুর রহমান বদি নিজেই তার পিস্তল দিয়ে গুলি করেছেন।
গেলো শুক্রবার (৩ মে) রাতে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বদি।
তিনি বলেন, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আলম চেয়ারম্যান বিভিন্ন কৌশলে আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আহম্মদের সঙ্গে বাহারছড়া ইউনিয়নে প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে জানতে পারি জাফর আহাম্মদের সমর্থক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে নুরুল আলম চেয়ারম্যানের কিছু কর্মী জোরপূর্বক আটকে রেখেছে।
পরে জাফর আহম্মদসহ আমরা হোয়াইক্যং এলাকায় তাকে উদ্ধারের জন্য যাই। এ সময় পাশের একটি বাড়িতে বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আতশবাজি ফোটানো হচ্ছিল। আমরা তাকে উদ্ধার করে চলে আসার পর তারা ওই আতশবাজির আওয়াজকে গুলিতে রূপান্তরিত করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বদি গুলি করেছে মর্মে খবর ছড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম এ বিষয়ে একটি জিডি দায়ের করেছেন। তার জিডি’র অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এএম/
অপরাধ
পার্কিংয়ে স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ, শোয়ার ঘরে স্ত্রীর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন জনতা ব্যাংকের সাবেক গাড়িচালক শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোরে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকার পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলার বাসা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, শফিকুর-ফরিদা দম্পতি পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলায় নতুন একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। তারা দোতলায় থাকতেন। নিচতলার এক পাশ এবং তিন ও চারতলা ভাড়া দেয়া। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন ও তার স্ত্রী একই বাসায় মা–বাবার সঙ্গে থাকেন। গতকাল বুধবার (১৯ জুন) রাতে ইমন তার দাদাবাড়ি ফেনী এবং তার স্ত্রী নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান।
পুলিশ আরও জানায়, আজ সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা বাসার নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের মরদেহ দেখতে পায়। তার গলা ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে দোতলায় গিয়ে শোবার ঘরে মশারির ভেতর স্ত্রী ফরিদার মরদেহ পাওয়া যায়। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘এটি ডাকাতির ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা প্রাথমিকভাবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাসার ভেতর সব আলমারি খোলা পাওয়া গেছে।’
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে। শফিকুর নামাজ পড়ে ফেরার সময় ওত পেতে থাকা খুনিরা তাকে প্রথমে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তারা দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে। বাসার নিচের প্রধান ফটক ও ঘরের দোতলার দরজা খোলা ছিল। শফিকুরের কাছে বাসার প্রধান ফটকের চাবি পাওয়া গেছে। বাসার পেছনের দেয়াল–লাগোয়া একটি ভবন বেয়ে এই ভবনে ওঠা যায়। বাসার ভাড়াটেরা দাবি করেছেন, তারা কেউ বিষয়টি টের পাননি।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসাইন বলেন, নিহত দম্পতির ছেলে ফিরলে তার সঙ্গে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ দল আলামত সংগ্রহের কাজ করছে।
এসি//
অপরাধ
মাদকসহ এক নারী কারবারি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে হ্যাপি গোল্ড ও কিং ফিসার ৭৭ বোতল বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি জান্নাতী বেগমকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে অভিযুক্ত ওই নারীকে কুড়িগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের ভায়ালটারী গ্রামের মাদক কারবারি জান্নাতী বেগমের বসতঘরের খাটের নিচে লুকানো হ্যাপি গোল্ড ও কিং ফিসার নামের ৭৭ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমিন বলেন, গ্রেপ্তার মাদক কারবারির নাগেশ্বরী থানায় একটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা রয়েছে। সেই সাথে কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূল করার লক্ষ্যে আমাদের এই মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এএম/
অপরাধ
পাল্টাপাল্টি আক্রমণে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের টেকনাফে পূর্ব শত্রুতার জেরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টাপাল্টি আক্রমণে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের পাশে সাইফুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ওইদিন সকালে শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
নিহত সাইফুল (২৫) দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। অন্যদিকে নিহত রেজাউল করিম (৩০) উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার হামিদ হোসেনের ছেলে।
নিহত সাইফুলের বড় বোন ফাতেমা বলেন, বানু ও নুরু হাকিম বংশের মধ্যে এক বছর ধরে হামলা ও মামলার ঘটনা চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে দুই পক্ষের হামলায় রেজাউল নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরই প্রতিশোধ হিসেবে অপরপক্ষের (নুর হাকিম) লোকজনকে খুঁজতে গিয়ে আমার ভাইকে দোকানে বসে থাকা অবস্থায় মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মারধরের শিকার আমি নিজেই হয়েছি। পাশাপাশি সাইফুলের স্ত্রী জাহেদাকে তারা মারধর করে আহত করেছে।
নিহতের মামা মোহাম্মদ আয়াস অভিযোগ করে জানান, উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এনামুল হক পেটানোর সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। তিনি সকালে রেজাউল করিম, শাহ এমরান ও নুর করিমকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। শাহপরীর দ্বীপ তিন রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছলে উত্তরপাড়ার এনামুল হক পেটানোর ছেলে মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে কয়েকজন দা, লোহার রড নিয়ে অটোরিকশাটির গতিরোধ করে।
এসময় রেজাউল করিমসহ তারা চারজন পালানোর চেষ্টা করেন। ফরহাদসহ তার লোকজন তখন রেজাউলের হাত, পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে চিকিৎসক রেজাউলকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একইদিনে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষের কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নিহত সাইফুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এএম/
- বাংলাদেশ2 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক2 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- আইন-বিচার5 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
- ক্রিকেট6 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
- বাংলাদেশ6 days ago
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলছে
- বাংলাদেশ5 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
- আন্তর্জাতিক5 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!
- বাংলাদেশ7 days ago
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে তিন শর্ত পুতিনের