Connect with us

লাইফস্টাইল

খাবার খাওয়ার আগে, মাঝে না পরে, কখন পানি পানে হজম ভালো হবে?

Avatar of author

Published

on

পানি-পান

খেতে খেতে হেঁচকি ওঠার ভয়ে হাতের কাছে পানি রাখেন অনেকেই। কিন্তু প্রয়োজন না হলে মুখে ঠেকান না। খেতে খেতে পানি খাওয়া না কি খারাপ! খাবার খাওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে পানি খেলে না কি হজমের গোলমাল হয়। পানি খাওয়া নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে এমন নানা ধারণা। শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পানি খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে পানি। খেতে খেতে হঠাৎ গলায় খাবার আটকালে বা হেঁচকি উঠলে পানি তো খেতেই হবে। কিন্তু হজমের সমস্যা নিরাময় করতে চাইলে পানি খেতে হবে নিয়ম মেনে।

খাবার খাওয়ার পর পানি খেলে হজম ভাল হয়। বিপাকক্রিয়া ভাল রাখতেও পানির ভূমিকা রয়েছে। তার জন্য সঠিক নিয়ম জেনে পানি খেতে হবে। তবে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা খাবার খাওয়ার অন্তত আধঘণ্টা আগে পানি খাবেন। খেতে খেতে পানি খেলে পরিপাক ক্রিয়া ভাল হয়। খাবারের অংশ পাকস্থলীতে থিতু হতে পারে। আবার যাদের অতিরিক্ত পিত্তরস বা উৎসেচক ক্ষরণ হয়, তাদের খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর পানি খেয়ে নেয়া ভাল।

পানি পান

খাবার খাওয়ার আগে পানি খেলে কী উপকার হয়?

অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, হজম ভাল হয়। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন, তাদের জন্য এই অভ্যাস ভাল। তাছাড়া খাবার খাওয়ার আগে পানি খেলে বিপাকক্রিয়া ভাল হয়। বিপাকহার জনিত সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

খাবার খেতে খেতে পানি খেলে কী উপকার হয়?

খাবার খেতে খেতে সামান্য পানি গ্লাসে চুমুক দিয়ে খেলে গিলতে সুবিধা হয়। খাদ্যনালি থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত খাবার নিয়ে যেতে সাহায্য করে জল। এছাড়া, হজমেও গতি আসে। তবে পানি খাওয়ার পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত থাকা প্রয়োজন।

Advertisement

লাইফস্টাইল

ঘুমের সময়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া বড় বিপদের কারণ হতে পারে

Published

on

মুখ

মুখ হাঁ করে ঘুমনোর অভ্যাস অনেকেরই আছে। ট্রেনে-বাসে অনেককেই দেখবেন মুখ হাঁ করে ঘুমোতে। তখন শ্বাস-প্রশ্বাস নাক দিয়ে নয়, মুখ দিয়ে চলে। চিকিৎসকেরা বলেন, ঘুমের সময়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার অভ্যাস বড় বিপদের কারণ হতে পারে।

ঘুমের সময়ে মুখ হাঁ হয়ে যায় কেন?

স্লিপ অ্যাপনিয়া: ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। তখন দমবন্ধ হয়ে আসতে থাকে। শ্বাসের গতি অনিয়মিত হয়ে যায়। শ্বাস নিতে ও ছাড়তে সমস্যা হয়। আর ঘুমিয়ে পড়ার পর এমনিতেই ঘাড় ও গলার পেশি শিথিল থাকে, সুতরাং হঠাৎ যদি শ্বাস প্রক্রিয়া বাধা পেয়ে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, তা হলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থাকে।

হাঁপানি: অ্যাজমা বা হাঁপানি থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়। সে ক্ষেত্রেও অনেকে মুখ দিয়ে শ্বাস নেন। তখন ঘুমের মধ্যে মুখ হাঁ হয়ে যায়।

সর্দি-কাশি-সর্দি, জ্বর হলে বা গলায় কফ জমলে তখন শ্বাসনালি মিউকাস জমে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রেও মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে দেখা যায় অনেককে।

Advertisement

চিকিৎসকেরা বলছেন, যারা সব সময়েই মুখ হাঁ করে ঘুমোন, তাদের স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা থাকতে পারে। রাতে ঘুমের মধ্যে মনে হয় শ্বাস আটকে গিয়েছে। আসলে শরীরে মেদ বেড়ে গেলে এই রোগের আশঙ্কা বাড়ে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদেরও ভয়ের কারণ আছে। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে, স্থূলত্ব বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকিও বেশি। কারণ, শরীরের ভিতরে জমে ওঠা মেদের বাধায় বাতাস ভাল ভাবে ঢুকতে পারে না। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘুমন্ত অবস্থায় দম বন্ধ হয়ে আসতে থাকে। তখন মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার দরকার হয়। ঘুমের মধ্যে আপনা-আপনিই মুখ হাঁ হয়ে যায়।

কী কী রোগের ঝুঁকি থাকে?

একটানা মুখ দিয়ে শ্বাস নেন যারা, তাদের অনেকেরই ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে যায়। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে বিষম খান অনেকে, বুক ধড়ফড় করে। অনেকে আবার বুকে চাপ অনুভব করেন। এই সবই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে রক্তচাপও বাড়তে থাকে। যদি দেখেন দিনের পর দিন একটানা ঘুম হচ্ছে না, মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হচ্ছে, তখনই বুঝতে হবে, সেটা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। অতিরিক্ত ওজন, অধিক ধূমপান, মদের নেশা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এই ধরনের স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই রোগের লক্ষণ দেখে আগেভাগে সতর্ক হতে হবে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

যে ৫ লক্ষণ দেখা দিলে ‘লিভার ফাংশান টেস্ট’ করানো জরুরি

Published

on

লিভার

লিভার অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। লিভারে যদি কোনো সমস্যা না থেকে থাকে, তা হলে সুস্থ থাকা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। অথচ রোজের জীবনযাত্রা নিঃশব্দে ক্ষতি করে লিভারের। বাইরের খাবার খাওয়া, বাড়ির রান্নাতেও তেল-মশলা মাখামাখি, পানি কম খাওয়া, মদ্যপানের মতো অভ্যাস, এমন নানা অনিয়মের প্রভাব পড়ে লিভারের উপর। লিভারের অসুখ গ্রাস করে জীবন। সেখান থেকেই ঝুঁকি বাড়ে ফ্যাটি লিভারের। যে কোনো বয়সে বাসা বাঁধতে পারে এই রোগ। তাই সাবধানে থাকা জরুরি। লিভার সংক্রান্ত রোগ ধরা পড়ার গোড়াতেই যদি চিকিৎসা শুরু করা যায়, তা হলে জীবনের ঝুঁকি থাকে না।

লিভারে কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, তা নির্ধারণ করতে ‘লিভার ফাংশন টেস্ট (এলএফটি)’ করতে হয়। কিন্তু এই পরীক্ষা তখনই করানো জরুরি, যখন লিভারে সমস্যা হয়েছে সেটা বোঝা যায়। লিভারের অসুখের আঁচ সব সময় বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কিছু লক্ষণ দেখা যায়, যেগুলি লিভারের অসুখের ইঙ্গিতবাহী।

ওজন কমে যাওয়া

খাওদাওয়া নিয়ন্ত্রণ না করে কিংবা কোনও রকম শরীরচর্চা ছাড়াই ওজন কমে যাচ্ছে? তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিনা কারণে ওজন কমে যাওয়া শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

পেট ফাঁপা

Advertisement

অনেক দিন ধরে লিভারের কোনও সমস্যা থাকলে তলপেটে তরল জমা হয়ে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই এই পেট ফাঁপার সমস্যায় মাঝেমাঝেই ভুগে থাকেন। সেই সময় পেট ফুলেও থাকে। কয়েক দিন পর পর এই রকম সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হোন।

পেটে যন্ত্রণা

পেটের উপর দিকে হঠাৎ ব্যথা বা যন্ত্রণা হলে সাবধান হতে হবে। লিভারের আকারে কোনও পরিবর্তন এলে অনেক সময় পেট ফুলেও যায়।

পা এবং পেট ফুলে যাওয়া

লিভার কাজ করা বন্ধ করে দিলে শরীরে তরল জমতে থাকে। পেট ফুলে যায়, ফুলতে শুরু করে পা দু’টিও। বিশেষ করে পায়ের পাতা এবং গোড়ালির দিকে খেয়াল রাখলেই তা বোঝা যাবে।

Advertisement

জন্ডিস

ত্বক, চোখ, নখের রং হঠাৎ হলদেটে হতে আরম্ভ করলে সতর্ক হতে হবে। লিভারের কোনও সমস্যা দেখা দিলে রক্তে ‘বিলিরুবিন’ নামক একটি উৎসেচকের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যার ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

মানসিক চাপে উড়েছে রাতের ঘুম…

Published

on

অবসন্ন,-বিষন্নতা, লাইফ স্টাইল

ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত কাজের চাপ। পেশাগত, ব্যক্তিগত জটিলতাও কম নেই। যে পেশার সঙ্গেই যুক্ত থাকুন না কেন, সর্বত্রই টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সব মিলিয়ে মনের উপরেও চাপ পড়তে শুরু করে।

শুধু কাজই নয়, মাথায় টাক পড়তে শুরু করা, ওজন বেড়ে যাওয়া, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করা—অনেকের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়ার জন্য এই কারণগুলিই যথেষ্ট।

মানসিক চাপ মাত্রাতিরিক্ত হতে শুরু করলে, তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেককেই ওষুধ খেতে হয়। ঘুম না হলে শরীরে উপরেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই সামলে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কী ভাবে মন শান্ত করবেন, উদ্বেগ বশে রাখবেন, রইল তারই টিপস-

রাত জেগে ওয়েব সিরিজ বা সিনেমা দেখার স্বভাব রয়েছে অনেকের। এমন কোনও ছবি, সিনেমা বা সিরিজ দেখবেন না, যা দেখলে আপনি উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারেন। সারা দিনের পর বাড়ি ফিরে পরিবারের ভাল-মন্দ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন অনেকে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন আলোচনার পর্যায়েই থাকে। উত্তেজনা বাড়িয়ে না দেয়।

কর্মজীবী-নারী,-ঘুম,-ক্লান্ত, লাইফ স্টাইল

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিনিট দশেক ধ্যান করার অভ্যাস করতে পারেন। হালকা কোনও বাদ্যযন্ত্র বা মেডিটেশন মিউজিক শুনতে শুনতেও ধ্যান করতে পারেন। নিজের মনকে শান্ত করার এই প্রক্রিয়া এক দিনে রপ্ত করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে হবে।

Advertisement

অনেকেই রাতে ঘুমোনের আগে ডায়েরিতে সারা দিনের যাবতীয় কাজ, কেউ কেউ আবার মনের কথা লিখে রাখেন। মনোবিদরা বলছেন, নিজের ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, ভয়, উদ্বেগের কারণগুলি লিখে রাখতে পারলেও অনেকটা হালকা লাগে। রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোনো যায়। বই পড়ার অভ্যাসও কিন্তু আপনার মনকে শান্ত করতে পারে।

মানসিক চাপ, উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ হল, ডিজিটাল দুনিয়ায় অতিরিক্ত আনাগোনা। কাজ থেকে ফিরে নির্দিষ্ট একটি সময়ের পর থেকে ফোন, ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করার অভ্যাস এবং ডিজিটাল যন্ত্র থেকে প্রতিফলিত নীলচে আলো মেলানিন হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হয়।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা জরুরি। অন্যান্য শরীরচর্চার তুলনায় যোগাসন করলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত