Connect with us

চট্টগ্রাম

বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু

Avatar of author

Published

on

খাগড়াছড়ি,-বজ্রপাতে-মৃত্যু

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে বসতবাড়িতে আগুন লেগে মা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, হাসিনা বেগম (৩২) ও তার ৮ বছরের শিশু মো. হানিফ।

রোববার (৫ মে) ভোরে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ির গোরস্তান পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মধ্যবেতছড়ি এলাকার প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন হাছিনা বেগমের বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মা-ছেলেসহ তিন জন একই ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় শেষ রাতের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। পরে তাদের টিনের চালার মাটির ঘরে আগুন লাগলে মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায় আগুন। যাতে মা ও শিশুর মৃত্যু ঘটে। ঘটনার সময় ওই বাড়িতে থাকা আরেক শিশু হাফিজুর রহমান (১০) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে গিয়েছিল। সে প্রাণে বাঁচলেও শেষ হয়ে যায় সবকিছু।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের লাশ এমনভাবে পুড়েছে, যা চেনারও কোনো উপায় নেই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দুটি পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

এদিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে থাকা দুটি গরুসহ গনেজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

রোববার (৫ মে) ভোরে রামগড়ের দুর্গম হাজাছড়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহত গনেজ মারমা দুর্গম হাজাছড়া গ্রামের বাসিন্দা কংজ মারমার ছেলে।

একইদিন মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে সুমিকা ত্রিপুরা (২৭) নামে এক গৃহিণী নিহত হন। এসময় তার দুই ছেলে আহত হয়। এছাড়া তার ঘরে থাকা তিনটি ছাগল মারা যায়। নিহত সুমিকা ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশীকারবারী পাড়ার বাসিন্দা সুশেন ত্রিপুরার স্ত্রী। তার দুই ছেলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, এ মৃত্যু বড়ই মর্মান্তিক। তাদের পরিবারকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

এসি//

Advertisement
Advertisement

চট্টগ্রাম

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে প্রাণ গেলো স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর

Published

on

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে এবার প্রাণ গেলো স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর। শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নজির হোসেনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৫) ও তার স্ত্রী মায়মুনা আক্তার (২০)।

স্থানীয়রা জানান, মায়মুনা ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলেন। রাত ১০ টা থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছিল। পাহাড়ের পাদদেশে তাদের বাড়ি ছিল। পাহাড় ধসে তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহত আনোয়ার হোসেনের মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বাদশাঘোনা ওমর ফারুক (রা.) জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম ছিলেন। রাতে যখন ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল আমি পাশে আমার বাড়িতে চলে আসার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু সে সমস্যা হবে না বলে ঘুম যাওয়ার জন্য চলে যায়। আমি কি জানতাম তার এই ঘুম জীবনের শেষ ঘুম হবে।’

স্থানীয় সংবাদকর্মী নুরুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক। রাত ৪ টার দিকে আমরা কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যায়। গিয়ে দেখা যায় মাটির নিচে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ। এলাকার লোকজন ডেকে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিই।’

Advertisement

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি টিম। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, ‘দুদিন ধরে কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭ মি. মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে গত ১৯ জুন উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজারে একদিনের ব্যবধানে পাহাড় ধসে মোট ১২ জনের নির্মম মৃত্যু হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

পানি নেমে যাওয়ায় টেকনাফে ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষত

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে বন্যা কবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। বাসাবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বন্যায় ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠছে। পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  গেল বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং পাহাড়ি ঢল নেমে না আসার কারণে প্লাবিত এলাকার গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান।

সরজমিনে দেখা যায়,  টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের উপর দিয়ে পানি নেমে গেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ফসলি জমিতে  পানি রয়েছে। প্লাবিত এলাকার বসত ঘর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় অনেকে ঘরে ফিরছেন।

হ্নীলার বাসিন্দা সৈয়দ আলম জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের পানি তার বাড়িতে কোমর সমান পানি ঢুকে পড়েছিল। গতকাল বিকেলের পর থেকে আর বৃষ্টি না হওয়ায় পানি নেমে যাচ্ছে। বাড়ির অধিকাংশ জিনিসপত্র ভিজে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে পাশাপাশি নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী  জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে না পারায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। নাফনদীর কয়েকটি সুইচগেট নির্মাণাধীন থাকায় পানি নিষ্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পরে বাঁধের বিভিন্ন অংশে কেটে দিলে পাহাড়ি ঢলের পানি নাফনদীতে প্রবাহিত হয়। এরমধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের স্ব স্ব ইউনিয়নের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।

Advertisement

হ্নীলার ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, প্লাবিত এলাকার গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসতে শুরু করেছে। তবে নাফনদীর তীরে নির্মাণাধীন সুইচগেট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। গতকাল জোয়ারের পানির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় আরও  ১ জনের মৃত্দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দুজন স্থানীয় বাসিন্দা ও ৮জন রোহিঙ্গা।

বুধবার (১৯ জুন) ভোরে উখিয়ার ৮, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।

নিহতরা হলেন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট মোহাম্মদ হারেস (২), ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট এর ফুতুনী (৩৪),ক্যাম্প-১০ ব্লক এফ/১০ এর মোহাম্মদ কালাম, সেলিনা খাতুন, আবু মেহের, জয়নব বিবি, ক্যাম্প -৯,ব্লক বি/১৪ এর মো. হোসেন আহমেদ ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং স্থানীয় বাঙালি থাইংখালি’ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র আব্দুল করিম ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকার আলী জহুরের ছেলে মো. হোসেন আহমেদ (৫০)।

নিহত আব্দুল করিমের (১২) বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির সবাই ঘুমিয়েছিলাম। মাঝরাতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ভোরে হঠাৎ বাড়ির পাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাহাড় ধসে এসে তাঁদের ঘরের ওপরে পড়ে। তখন তাঁরা কয়েকজন বের হতে পারলেও তাঁর ছেলে বের হতে পারেনি। মাটিচাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তারাও আহত হয়েছেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।

Advertisement

মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে চলমান ভারী বর্ষণে উখিয়ার চারটি পৃথক ক্যাম্পে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় অন্য পাহাড়ধসের শঙ্কা থাকা এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত