ঢাকা
নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০
নরসিংদীর সদর উপজেলার পাঁচদোনার কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আধ ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাপ পিরিজ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও আনারস প্রতীকের আব্দুল বাকির গ্রুপের মধ্যে সকাল ১০ টায় এ সংঘর্ষ হয়। উভয় গ্রুপের ধাওয়া ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায় নি।
পাঁচদোনা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আনারস প্রতীকের সমর্থক হুয়মায়ুন কবির লিটন বলেন, ” কাপ পিরিজ প্রতীকের সমর্থক ও স্থানীয় আল আমিনের (৩৪) নেতৃত্বে টিপু (৩১), দুলালসহ (২৭) ১০-১২ জন কেন্দ্রের ভিতরে আমাদের উপর হামলা করে। আমি আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিলাম, আমাকে মারধোর করে রক্তাক্ত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে।
অভিযুক্ত কাপ-পিরিজের সমর্থক আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদেরকে লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন আব্দুল বাকিরের সমর্থক হুমায়ুন ও তার লোকজন। পরে, সামান্য হাতাহাতি হয়েছে এবং আমাদের ১০ জনকে এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা কাউকে আঘাত করিনি। পরে ঘটনাস্থল পুলিশ এসে ঘটনাস্থল এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নরসিংদী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন বলেন, “দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হবার কথা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি, কারা কারা এ ঘটনায় জড়িত। পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ভোট গ্রহণ পুনরায় চলছে। নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ নিশ্চত করতে অতিরিক্ত পুলিশ নিশ্চিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হবারও খবর পেয়েছি। ”
কেএস/
অপরাধ
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
কুমিল্লার তিতাসে ক্লাস চলার সময় আতিকুর রহমান আতিক নামে এক শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল ও ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার (১৯ মে) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম সোলাইমান। সে উপজেলার মজিদপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সে মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক গণমাধ্যমকে জানান, স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির অভিভাবক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সোলাইমানের চাচা জসিম মিয়া সদস্য পদে চতুর্থ স্থান অর্জন করে নির্বাচিত হন। চাচা নির্বাচনে ভোট কম পেয়েছে কেন এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয় অভিযুক্ত ওই ছাত্র। এতে গণিত ক্লাস চলার সময় সহপাঠীদের সঙ্গে যারা ভোট দেয়নি তাদের মারধর করবে এমন বেফাঁস মন্তব্য করছিল। এ সময় কথা বলার কারণে ক্লাস নিতে সমস্যা হওয়ায় শিক্ষক আতিকুর রহমান তাকে কথা না বলার জন্য বলেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সোলাইমান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় শিক্ষক তার চাচাকে ফোন দিতে গেলে সোলাইমান ওঠে এসে শিক্ষককে ঘাড় ধরে টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়ে কিল ঘুষি মারে।
এ ঘটনায় মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজন কুমার সূত্রধর গণমাধ্যমে জানান, এ ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে গেছে। আমরাও থানায় আছি।
এএম/
ঢাকা
মিরপুরে অটোরিকশাচালক-পুলিশ সংঘর্ষ, বাস ভাঙচুর
মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে তিনটি বাস ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা। সকাল থেকে রাজধানীতে অটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে সড়কের এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু করলে বাস ভাঙচুর করে বলে গণমাধ্যমকে জানান মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা । তিনি আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে, চালকদের একটি অংশ আন্দোলন শেষ করে ফিরতে সম্মত হয়।
কিন্তু শেওড়াপাড়া থেকে আসা শ্রমিকদের একাংশ লাঠি হাতে হই-হুল্লোড় করে এসে আবারও অবরোধ শুরু করে। এসময় পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরই মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে থেমে থেমে যান চলাচল শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, সকালে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর অনুমতি চেয়ে লাঠি হাতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন চালকরা। তাদের অবস্থানের ফলে মিরপুরজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।
আই/এ
ঢাকা
রায়পুরায় চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী লাইলা কানিজ
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী লাইলা কানিজ লাকী। তিনি টেলিফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপে ও দ্বিতীয় ধাপে নরসিংদীর ৪ টি উপজেলায় ২৪ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তৎকালীন রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক। পরে উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলে ওই পদে উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী লায়লা কানিজ লাকি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। এর পর তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক পদ পান। তিনি রাজনীতিতে আসার আগে সরকারি তিতুমীর কলেজে শিক্ষকতা করতেন। শিক্ষকতা করা কালীন সময়েই লাইলা কানিজ মানবিক কাজ করে সুনাম ছড়িয়েছেন। ভূমিকা রেখেছেন মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল- কলেজ নির্মাণে। সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের প্রয়োজনে, দূর্বিপাকে তিনি প্রসারিত করেছেন তার হাত। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ নির্বাচনে লাইলা কানিজ লাকীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন পাড়াতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক ফেরদৌস কামাল জুয়েল, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য আলী হোসেন দুলু,রায়পুরা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান পনির ও সোলাইমান খন্দকার। এর মধ্যে জুয়েল আনারস, দুলু কাপপিরিচ, পনির মোটরসাইকেল, সোলাইমান দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন।
মতিউর নগর গ্রামের ভোটার শামসুন্নাহার বলেন,পাঁচজন প্রার্থী থেকে তিনজন প্রার্থী বর্তমানে একই রাজনৈতিক দলের নেতা। যে কারণে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর হাত ধরে লাইলা কানিজ রাজনীতিতে আসেন। সাংসদের ঘনিষ্ঠ আশির্বাদ, সামাজিক কাজে সম্পৃক্ততা, শিক্ষাবান্ধব পরিচিতি তাকে রাজনীতিতে দ্রুতই শক্ত জায়গা করে দেন। রাজু এমপির সমর্থনযোগ্য হওয়ায় সাংসদের অনুসারী সকল দলীয় নেতাকর্মী, সকল ইউনিয়ন পরিষদ এর মেম্বার-চেয়ারম্যান লাইলা কানিজের হয়ে কাজ করছেন। এমপি পুত্র রাজিব আহমেদ পার্থ ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন লাইলা কানিজের হয়ে। এমপিপুত্র পার্থর সক্রিয় ভূমিকা ভোটে পার্থক্য তৈরি করবে বলে জানান ভোটাররা।
লাইলা কানিজ লাকী বলেন, আমাকে মানুষ সব সময়ই কাছে পান। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন, রাজনীতিতে এসেছি মানুষের সেবা করতে। ভোট হলে নিশ্চিত পাস করব। কোনো ষড়যন্ত্র আমাকে হারাতে পারবে না। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
রায়পুরা উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩২জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ৯২৫ জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৩ জন এবং হিজরা ভোটার ১৪ জন।
- আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট4 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- খুলনা6 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
- অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- বলিউড2 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- আইন-বিচার3 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা