Connect with us

বাংলাদেশ

দেশে ফিরেছেন ৫০৯৮৪ জন হাজি

Published

on

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ৫০ হাজার ৯৮৪ জন হাজি।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্কের বুলেটিনে জানানো হয়েছে এ তথ্য ।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গেলো ১৪ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৪১টি ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছেছে হাজিদের নিয়ে । এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৭৭টি, সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ৫৭টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালনা করে ৮টি। আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ফেরত হজযাত্রীদের শেষ ফ্লাইট ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এবার হজে গিয়ে মোট ২৫ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও সাতজন নারী। এরমধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১৯ জন, মদিনায় মারা গেছেন ৪ জন এবং জেদ্দায় মারা গেছেন ২ জন।

উল্লেখ্য, গেলো ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এবার গেলো ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে যান। এরমধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬৩ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩ হাজার ৯১৯ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী সৌদি গিয়েছিলেন। 

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

চীন সফরে ঋণ, বিনিয়োগ ও তিস্তা ইস্যুই প্রাধান্য পাচ্ছে

Published

on

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও

টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসার পর দ্বিপক্ষীয় ভারত সফর শেষে এবার চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর এই ‘হাই ভোল্টেজ’ সফরে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ২০‌টির ম‌তো সম‌ঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ঢাকা-বেইজিংয়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা ঋণ, বিনিয়োগ ও বাংলাদেশের তিস্তা ইস্যুই প্রাধান্য পাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার একাধিক সূত্র বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি বিষয়ক।

ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন, প্রায় একই সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মস্কোর পথে দিল্লি ছাড়ছেন। এবারের চীন সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার ভারত ও চীন সফর হচ্ছে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের।

বেইজিং সফরকালে বুধবার (১০ জুলাই) চী‌নের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের স‌ঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাত হবে। পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপ‌স্থি‌তি‌তে বাংলাদেশ ও চীনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে তিস্তা নিয়ে চীনের প্রস্তাব আছে কিনা বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Advertisement

তবে দুই দেশের ওই ‘হাইভোল্টেজ’ বৈঠকে তিস্তা প্রকল্প ও রোহিঙ্গা সঙ্কট ইস্যুতে চীনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার একাধিক সূত্র বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছে।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেছেন, ‘হাইভোল্ডেটজ বৈঠকে তিস্তা প্রকল্প, রোহিঙ্গা সমস্যা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য চীনের ঋণ নেওয়ার বিষয়টি আলোচিত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তিস্তা প্রকল্পে ভারত নাকি চীন কাকে যুক্ত করা হচ্ছে-এই প্রশ্নটি বেশ কয়েক মাস ধরে আলোচনায় রয়েছে। সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। ওই সফরে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে দিল্লির প্রস্তাব সম্পর্কে ঢাকার কাছে জানতে চাইতে পারে বেইজিং। পাশাপাশি বেইজিং নিজের প্রস্তাবও ঢাকার সামনে তুলে ধরতে পারে।

এক্ষেত্রে চীন ও ভারত উভয় দেশই যাতে চিন্তিত না হয়  বাংলাদেশের সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এগোনো উচিত বলে মনে করেন পেশাদার এই কূটনীতিক। তার মতে তিস্তা প্রকল্পে ভারত ও চীনকে যৌথভাবে যুক্ত করা গেলে সেটাই হয়তো সবচেয়ে ভালো হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।

তবে এবিষয়ে পুরোপুরি একমত হতে পারছেন না  আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। বায়ান্ন টিভিকে তিনি বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বেইজিং কোনো প্রস্তাব দিলে সেটাই ঢাকার গ্রহণ করা উচিত। ভারত যেহেতু বছরের পর বছর বাংলাদেশকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিচ্ছে না, তাই দিল্লির দিকে তাকিয়ে না থেকে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে মহাপরিকল্পনার যে উদ্যোগ ঢাকা  নিয়েছে সেখানে আগ্রহী বেইজিং। একারণে চীনের সেই আগ্রহকে কাজে লাগাতে ঢাকার অবশ্যই কাজ করা উচিত।

তবে তিস্তা প্রকল্পে ভারত ও চীনকে যৌথভাবে যুক্ত করা গেলে বাংলাদেশের জন্য ভাল বলে মুন্সী ফয়েজ আহমেদ যে মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে একমত  অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি  মনে করেন, বাংলাদেশের কোনো একপাক্ষিক অবস্থান নেয়া সঠিক হবে না। বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের যে নীতিতে বিশ্বাসী সেই নীতি মেনে তিস্তা সঙ্কটের সমাধান করতে হবে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বলেছেন-ভারত ও চীনের মধ্যে যার প্রস্তাব ভাল বিবেচনায় আসবে বাংলাদেশ তার প্রস্তাব গ্রহণ করবে।  এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন,  ‘ প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। দেশের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। লাভ-লোকসান বিবেচনায় আনতে হবে। তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ভারতের মতো  চীনকেও গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মহা প্রজেক্ট চীনের টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এবার হয়তো বেইজিংয়ের কাছে প্রচুর ঋণও চাইবে ঢাকা। চীনও ঋণ দেওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া। তবে ঋণ পাওয়ার জন্য তিস্তা প্রকল্পের প্রস্তাব দেশের জন্য মঙ্গলজনক না হলে তা গ্রহণ করা ঠিক হবে না। তিস্তা প্রজেক্টে ভারত-চীনের যৌথ প্রস্তাব আসলে সবচাইতে ভালো হতো। তবে দিল্লি-বেইজিংয়ের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে শীতলতা বিরাজ করায় সেই সুযোগ নাও আসতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের চীন সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক পাড়ার অনেকে।  সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন সরকারের বিরাট প্রত্যাশা, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটা স্মার্ট দেশ হবো। এগুলোর জন্য যে ধরনের বিনিয়োগ দরকার। চীন এই বিনিয়োগের একটা বড় উৎস হতে পারে।’

এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বায়ান্ন টিভিকে বলেছেন, চীন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদার। এটি কিন্তু কোনো ছোটখাটো ব্যাপার নয়। বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতি, উন্নয়ন এবং বাজারই এদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চীনের আগ্রহ বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চারবার ক্ষমতায় থাকাকালে একাধিকবার চীন সফর করেছেন। তাঁর কারণেই চীন আজ বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগি দেশ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্যাপক অর্থ প্রয়োজন। দরকার চীনা বিনিয়োগ। অন্যদিকে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এসব নিয়ে আলোচনার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের সাবেক এই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ বাংলাদেশ-চীনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্র নীতি বিশেষ করে রাজনৈতিক দিক থেকে চীনকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে বাংলাদের অবস্থান কী সেটি তুলে ধরা হতে পারে। এছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে যেহেতু চীনের সম্পর্ক ভালো তাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে  বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের সহযোগিতা বিষয়টি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উঠতে পারে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

দুবাইতে গাড়ি বিস্ফোরণ, দোহার ও নবাবগঞ্জের পাঁচজন নিহত

Published

on

দুবাইতে গাড়ি বিস্ফোরণে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার পাঁচ প্রবাসী নিহত হয়েছেন। তারা দুবাইয়ের আজমান প্রদেশে বসবাস করতেন। তারা একই জায়গায় কাজ করতেন।   তবে কেন গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তদন্ত চলছে দ্রুত দুর্ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় কাজে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুবাই সময় সকাল সাড়ে সাতটায় কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে শহর থেকে আজমান প্রদেশে যাচ্ছিলো। এ সময় রাস্তায় গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়ে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ সময় তিনটার দিকে নিহতের স্বজনরা ঘটনাটি জানতে পারেন।

নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জের বালেঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মো. রানা (৩০), আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. রাশেদ (৩২), শেখ ইরশাদের ছেলে মো. রাজু (২৪), শেখ ইব্রাহীমের ছেলে ইবাদুল ইসলাম (৩৪) এবং দোহার বাজার এলাকার মো. মঞ্জুর ছেলে মো. হিরা মিয়া (২২)।

নিহতের স্বজনরা জানায়, রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে দশটার দিকে কাজে যাওয়ার পথে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা গ্রামের চারজন ও দোহার উপজেলার দোহার বাজার এলাকার একজন রয়েছে। সকালে ওই পাঁচজন একই গাড়িতে করে কাজের স্থানে যাচ্ছিলো। গাড়িটি বিস্ফোরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

নয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তৈয়বুর রহমান তরুন ও নিহত রানার মা রৌশনারা রুসি ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুবাইতে অবস্থানরত নবাবগঞ্জ ও দোহার এলাকার প্রবাসীরা বিষয়টি তাদের জানায়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ ঘটনার সংবাদ পেলে নিহতের স্বজন ও এলাকার বাসিন্দারের মধ্যে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

১৮ জেলায় বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ

Published

on

চলতি বছর দেশের ১৮ জেলায় বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এছাড়া বন্যাদুর্গতদের জন্য তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রোববার (৭ জুলাই) দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যাদুর্গতদের জন্য ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭০০ টন চাল, নগদ পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ৬৫ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, গো-খাদ্য বাবদ ৪০ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট-৩, সুনামগঞ্জ-১ ও মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসনে আড়াই হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী গত একনেক সভায় সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শনিবার বন্ধের দিনেও আমরা অফিস খোলা রেখেছি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছি। এ ছাড়া বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করে সেখানকার খোঁজখবর নিয়েছি।

Advertisement

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একজন মানুষও দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করবেন না। মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজন বিবেচনা করে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে যোগ করেন মন্ত্রী।

মো. মহিববুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অফিস ধারণা দিয়েছে এরপর আরেকটা বন্যা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমি বলতে চাই পর্যপ্ত মজুত আছে। কেউ না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তারপরও যদি কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে আমরা জানার সঙ্গে সমাধান করবো। ১০৯০ এবং ৩৩৩- নম্বরে কল দিলে খাদ্য পৌঁছে দেয়ার সুযোগ আছে। আজও (গতকাল) জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত