Connect with us

অপরাধ

অন্তর্বাসে লুকানো থাকতো ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ পরীক্ষা

Avatar of author

Published

on

বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর সরবরাহ করা সংঘবদ্ধ এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মেয়ে পরীক্ষার্থীদের অন্তর্বাসে এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো থাকতো অত্যাধুনিক ওই ডিজিটাল ডিভাইস। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা কানের মধ্যে লুকিয়ে রাখতেন ক্ষুদ্রাকৃতির বল। প্রশ্নপত্রের উত্তর সমাধানের জন্য বাইরে থেকে কাজ করতো একটি চক্র। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর জানিয়ে দেয়া হতো পরীক্ষার্থীদের।

রোববার (১২ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ১০টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, ৭টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড ও একটি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জুয়েল খান (৪০), মো. রাসেল (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো. মাসুম হাওলাদার (২৫)।

তিনি বলেন, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর সাপ্লাই করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি। প্রথমত তারা পরীক্ষা শুরুর ১ থেকে ২ মিনিট আগে পরীক্ষার কোনো না কোনো কেন্দ্র ম্যানেজ করে প্রশ্নের ফটোকপি বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে নিয়ে আসতো। বাইরে তাদের একটা ডিভাইস সংঘ (প্রশ্নপত্র সলভার টিম) পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নের সমাধান করে ফেলতো।

ডিবি প্রধান বলেন, কেন্দ্রের বাইরে থেকে চক্রের সদস্যরা উত্তরগুলো এক এক করে বলতে থাকে। পরীক্ষার্থী তখন কানে থাকা ক্ষুদ্র ডিভাইস, পকেটে থাকা রাউটার আর অন্তর্বাস বা গেঞ্জির ভেতর লুকানো ডিভাইস যুক্ত করে একটা সিম রাখে। এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার্থীরা কথা শুনতে পায় এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সমাধান করে ফেলে।

Advertisement

হারুন অর রশীদ বলেন, দিন দিন এভাবে ক্রাইমের প্যাটার্ন পরিবর্তন হচ্ছে। একসময় আমরা নকল প্রতিরোধে একভাবে কাজ করেছি। তখন পরীক্ষার হলে বই নিয়ে যেত অনেকে। এখন অপরাধের প্যাটার্ন (ধরন) পরিবর্তন হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এসব চক্রের সদস্যদের ধরতে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করছে। সর্বশেষ জানলাম অপরাধীরা ক্ষুদ্রাকৃতির বল ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটা এমন জায়গা রাখছে যেখানে ধরা বা তল্লাশি করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (তৃতীয় ধাপ), বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর (গ্রেড ২) ও বুকিং অ্যাসিসটেন্ট (গ্রেড ২), পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের অফিস সহায়ক, মৎস্য বিভাগের অফিস সহায়ক, গণপূর্তের হিসাব সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপকসহ আরও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় উল্লিখিত পন্থায় অপরাধ কর্ম সংঘটিত করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তাররা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেয়ার জন্য প্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করে। চাকরি ভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দিতে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং লিখিত ও ভাইভাসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, চক্রের মূলহোতা জুয়েল খান বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস সংগ্রহ ও সরবরাহ, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ, সমাধান টিমের সদস্য সংগ্রহ ও চক্রের অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় করতো। রাসেল, শাকিল ও আব্দুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষার্থী সংগ্রহ এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ডিভাইসটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার বিস্তারিত ব্যবহার বিধি শিখিয়ে দিতো।

Advertisement

এএম/

 

Advertisement

অপরাধ

নারী সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সোনালী আক্তার নামে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‌পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নারী সাংবাদিক সোনালী। ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করেছে ডিবি। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া টিটুর দুই সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন ফতুল্লা থানার বিএনপি নেতা ইকবাল ও মামুন মাহমুদ। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। যদিও ঘটনাস্থল আমাদের এলাকার মধ্যে না। তবে ভুক্তভোগী একজন নারী সাংবাদিক এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করেছেন।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সাংবাদিককে নির্যাতনের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক। একজন সাংবাদিক তার দায়িত্ব পালনের সময় তাকে এভাবে পাশবিক নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। টিটুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, পুলিশের মতোই সাংবাদিকরাও তাদের টার্গেট। কারণ, পুলিশ আর সাংবাদিকরা যদি না থাকে তাহলে তাদের কাছে অত্যন্ত সহজ রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় আসা। তারা ক্ষমতার লোভে বিভোর।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ তার। দুর্বৃত্তরা ম্যাচলাইট জ্বালিয়ে সোনালীর গাল আগুনে ঝলসে দিয়েছে। সোনালী নারায়ণগঞ্জের সোজাসাপটা নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

কারাগার থেকে পালানো আরও এক জঙ্গি গ্রেপ্তার

Published

on

নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে ছিনিয়ে নেয়া নয় জঙ্গির মধ্যে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার বরুয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শটগানসহ এ পর্যন্ত ৪৫টি অস্ত্র, এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান।

গ্রেপ্তার জঙ্গির নাম জুয়েল ভুঁইয়া (২৬)। সে শিবপুর উপজেলার কাজিরচর গ্রামের আবুল ভুঁইয়ার ছেলে।

এ নিয়ে ছিনিয়ে নেয়া নয় জঙ্গির মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে দুই নারী জঙ্গিকে ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং একজনকে নারায়ণঞ্জ থেকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সুপার জানান, নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শটগানসহ এ পর্যন্ত ৪৫টি অস্ত্র, এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পৃথক ১১টি মামলায় ১৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তা ছাড়া এ পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি এবং জেলা পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়া ৪৮১ জন কয়েদি আত্মসমর্পণ করেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

নাশকতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ব্লক রেইড

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হামলা,ভাঙচুর,সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড চালিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, বাড্ডা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজন গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এ ব্লক রেইড চালায় বলে গণয়ামধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি জানান, মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ অধিদপ্তর, এক্সপ্রেসওয়েসহ পুলিশের একাধিক স্থাপনায় সহিংসতা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনায় ডিএমপির একাধিক থানায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।

ডিএমপি জানায়, আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এসব মামলায় গেলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত