তেলের দাম কেন বাড়লো জানালেন প্রতিমন্ত্রী

বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার বাধ্য হয়েই জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। তবে চিন্তার কারণ নেই, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে বাংলাদেশেও কমানো হবে। বললেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ শনিবার(৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে শুক্রবার দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়। এরপরই জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে কথা বলেন নসরুল হাসিদ।

নসরুল হামিদবলেন, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লিটারে ডিজেল ৩৪ টাকা, পেট্রোল ৪৪ এবং অকটেনের দাম বেড়েছে ৪৬ টাকা। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা হয়েছে।

এদিকে, তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। সাভারে একটি পাম্পে তেল না পেয়ে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে রাজধানীতে এ চিত্র আরও ভয়াবহ। এ অবস্থায় দ্রুত বাস ভাড়া সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।

পরিবহন মালিকরা বলছেন, যে হারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, সে হারে ভাড়া না বাড়ালে গাড়ি রাস্তায় নামানো সম্ভব হবে না।

Recommended For You