Connect with us

বিনোদন

কিংবদন্তি নায়ক ফারুকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Avatar of author

Published

on

মৃত্যুবার্ষিকী

চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২৩ সালের ১৫ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বাংলা চলচ্চিত্রের দাপুটে অভিনেতা ছিলেন ফারুক। খুব অল্প সময়েই গ্রামীণ, সামাজিক ও রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন।

ফারুক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তিনি লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, সারেং বৌ, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে, মিয়া ভাই-সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৬ সালে আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে সফল ও সেরা নায়কদের একজন হিসেবে স্বীকৃত।

তরুণ বয়স থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ফারুক ১৮ আগস্ট ১৯৪৮ সালে মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আজগার হোসেন পাঠান। তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে পুরান ঢাকায়। বর্তমানে বসবাস করছেন উত্তরাতে নিজ বাড়িতে। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

Advertisement

ফারুক ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে কবরী অভিনয় করেন। এর পরে তিনি ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত আবার ‘তোরা মানুষ হ’, ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘আলোর মিছিল’ দুটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭৫ সালে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত সুজন সখী ও লাঠিয়াল দুটি ব্যবসাসফল ও আলোচিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সে বছর লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

এরপর ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত তিনটি ছায়াছবি সূর্যগ্রহণ, মাটির মায়া ও নয়নমনি। চলচ্চিত্র তিনটি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। পরের বছর শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত কালজয়ী উপন্যাস সারেং বৌ অবলম্বনে নির্মিত ‘সারেং বৌ’ ও আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র দুটি নারীকেন্দ্রিক হলেও তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।

১৯৭৯ সালে তার অভিনীত নাগরদোলা, দিন যায় কথা থাকে, কথা দিলাম, মাটির পুতুল, সাহেব, ছোট মা, এতিম, ঘরজামাই চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসাসফল হয়। ১৯৮০ সালে সখী তুমি কার ছায়াছবিতে শাবানার বিপরীতে শহুরে ধনী যুবকের চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে মিয়া ভাই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত ফারুক। চলচ্চিত্রের মানুষের কাছে তিনি সবার প্রিয় ‘মিঞা ভাই’।

কেএস/

Advertisement
Advertisement

বলিউড

‘বিষাক্ত মানুষদের জীবন থেকে ছুঁড়ে ফেলা উচিত’ কেন বললেন পরিণীতি

Published

on

বলিউডে বর্তমানে তার কাজের সংখ্যা হাতেগোনা। মাসখানেক আগেই ‘চমকিলা’ সিনেমায় চমক দেখিয়েছিলেন। তবে এখন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার সঙ্গে সুখের ঘরকন্নায় ব্যস্ত বলিউড অভিনেত্রী। ওদিকে দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যখন মার্কিন মুলুকের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন নিত্যনতুন কাজে, তখন বোন পরিণীতি খানিক থিতু। এবার তাঁ পোস্টে জীবন দর্শনের পাঠ। অভিনেত্রী বলছেন, ‘বিষাক্ত মানুষদের জীবন থেকে ছুঁড়ে ফেলা উচিত! দুনিয়া কী ভাবছে, যায় আসে না।,

একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে আনমনা পরিণীতি চোপড়ার মন্তব্য- ‘‘এই মাসে একটু বিরতি নিয়ে ভেবে দেখলাম, যা কিনা আমার জীবনের ভাবধারাই বদলে দিল। যা বুঝলাম, জীবনে নিজের চিন্তাধারাটাই আসল। গুরুত্বহীন জিনিস বা মানুষকে গুরুত্ব দেবেন না। এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট কোরো না। জীবন একটা ঘড়ি। প্রতিটা মুহূর্ত নিজের পছন্দে বাঁচো। নিজের মতো লোক খোঁজো, আর বিষাক্ত মানুষদের জীবন থেকে ছেঁটে ফেলতে ভয় পেও না। আর দুনিয়া কী ভাবছে, সেটা নিয়ে চিন্তা কোরো না। যে কোনও পরিস্থিতি তুমি কীভাবে নিচ্ছ বা কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছ? সেটা পরিবর্তন করো। জীবন সীমাবদ্ধ। আজ আছে। তাই যেভাবে বাঁচতে চাও, সেভাবেই বাঁচো…।”

আচমকাই কেমন এমন পোস্ট পরিণীতি চোপড়ার? উৎসুক অনুরাগীগের ভিড় কমেন্ট বক্সে। একাংশ আবার অভিনেত্রীর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেউ তো আবার সন্দিহান স্বামী রাঘব চাড্ডার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ বাঁধল কিনা? তবে এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, দিন পাঁচেক আগেই স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন পরিণীতি। যেখানে সাফ লেখা- ‘তোমার মতো কেউ নেই।’ অতঃপর দাম্পত্য অশান্তি যে নয়, এই পোস্টের নিশানা অন্য কেউ, সেটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু কাকে নিশানা করে পরিণীতি চোপড়া এমন জীবনদর্শন শেয়ার করলেন? সেই উত্তর অধরা।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

ঐশ্বরিয়াকে চমকে দিলেন অভিষেক

Published

on

অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনকে নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। কয়েক মাস ধরে এক নাগাড়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ১৭ বছরের দাম্পত্যে নাকি ছেদ পড়তে চলেছে। অনন্ত অম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে দম্পতি একসঙ্গে প্রবেশ না করায় সেই জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়। সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি পোস্টে লাইক দিয়ে সেই জল্পনা কয়েক গুণ উস্কে দিয়েছিলেন জুনিয়র বচ্চন। এ বার তাতে জল ঢাললেন নিজেই।

সম্প্রতি নতুন একটি গাড়ি কেনেন অভিষেক। বুধবার সেই গাড়িতেই চেপেই মুম্বাইয়ে ভাগ্নে অগস্ত্য নন্দা ও তার বান্ধবী সুহানা খানকে নিয়ে সান্ধ্য ভ্রমণে বেরান। সেখানে অগস্ত্য-সুহানা যেমন নজর কাড়েন আলোকচিত্রদের। তেমনই নজরে পড়ে অভিষেকের গাড়ির নম্বর প্লেট। তাতেই যেন পরিষ্কার হয়ে গেল সবটা। এই গাড়ির সঙ্গেই যোগ রয়েছে ঐশ্বরিয়ার। তাতেই বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনায় পানি ঢেলেছেন অভিনেতা, এমনই মনে করছেন অনেকে। অভিষেকের নতুন গাড়ির নম্বর প্লেটে যে চারটি নম্বর জ্বলজ্বল করছে তা হল ৫০৫০। এটি ঐশ্বরিয়ার প্রিয় সংখ্যা।

ঐশ্বরিয়ার একটি সাদা রঙের মার্সেডিজ় গাড়ি ছিল। তার নম্বর প্লেটেও এই চারটি সংখ্যাই ছিল। সম্প্রতি গাড়িটি বিক্রি করে দেন অভিনেত্রী। এবার নিজের নতুন গাড়ি কিনতেই স্ত্রীকে চমকে দিলেন অভিষেক। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে স্ত্রীর সঙ্গে তার দূরত্ব নয় বরং তারা সুখেই রয়েছেন।

অতীতে ঐশ্বরিয়ার সাদা রঙের একটি ‘মার্সিডিজ বেঞ্জ এস ক্লাস’ মডেলের গাড়ি ছিল। সম্প্রতি সেটি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এই গাড়ির নম্বর প্লেটের শেষ চারটি সংখ্যা ছিল ৫০৫০। অভিষেক নতুন গাড়িতে সেই সংখ্যা নিয়েই স্ত্রীকে নতুন গাড়িতে সেই সংখ্যা নিয়েই স্ত্রীকে চমকে দিলেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

তৃপ্তির উত্থানে অস্তিত্বহীনতায় কিয়ারা!

Published

on

১০ বছর আগে ‘ফাগলি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন কিয়ারা আডবাণী। কিন্তু এত বছরেও বক্স অফিস কিংবা দর্শকের মন, কোথাও দাগ কাটতে পারেনি মিষ্টি মুখশ্রীর এই নায়িকা। মাঝে ‘এম এস ধোনি: দি আনটোল্ড স্টোরি’ ও ‘লাস্ট স্টোরিজ’ ছবিতে প্রশংসিত হলেও সেভাবে নিজের জায়গা পাকা করে উঠতে পারেননি তিনি।

২০১৯ সালে ‘কবীর সিং’ ছবিতে জুটি বাঁধেন শাহিদ কাপুরের সঙ্গে। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার এই ছবি উপচে পড়া সাফল্য, জনপ্রিয়তা এনে দেয় কিয়ারাকে। ‘প্রীতি’ চরিত্রে তার অভিনয় জায়গা করে নেয় দর্শক মনে। রাতারাতি ‘ন্যাশনাল ক্রাশ’-এর তকমা পান বলি অভিনেত্রী। এরপরে ‘গুড নিউজ’, ‘ভুল ভুলাইয়া ২’-সহ আরও কয়েকটি ছবির সুযোগ আসে তার ঝুলিতে।

অন্যদিকে, গেল বছর ‘অ্যানিমেল’ ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান নতুন মুখ তৃপ্তি দিমরি। ছবিতে তার সাহসী দৃশ্য, উষ্ণ আবেদন ঝড় তোলে পুরুষ হৃদয়ে। কিয়ারার থেকে ‘ন্যাশনাল ক্রাশ’-এর তকমা ছিনিয়ে নেন এক লহমায়। যদিও এর আগে ‘লায়লা মজনু’, ‘বুলবুল’, ‘কলা’-তে তার অভিনয় খানিক চর্চায় এলেও, তা ছিল ক্ষণস্থায়ী।

‘অ্যানিমেল’ ছবির রেশ কাটতে না কাটতেই ‘ব্যাড নিউজ’ ছবিতে তৃপ্তি জুটি বাঁধেন ভিকি কৌশলের সঙ্গে। ‘জানাম’ গানে ভিকির সঙ্গে সাহসী দৃশ্য রীতিমতো ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই মুহূর্তে আরও কয়েকটি ছবি রয়েছে তাঁর হাতে। এই সবের মধ্যে যে প্রশ্নটি উঁকি দিচ্ছে, তা হল— তৃপ্তির উত্থান কি কিয়ারার অস্তিত্ব কিছুটা হলেও ঝাপসা করে দিচ্ছে?

ধর্মা প্রোডাকশনের ‘গুড নিউজ’ ছবিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন কিয়ারা। কিন্তু একই প্রযোজনা সংস্থার পরের ছবি ‘ব্যাড নিউজ’-এ কিয়ারার পরিবর্তে কাস্ট করা হয়েছে তৃপ্তিকে। এছাড়াও ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ ছবিতে কার্তিক আরিয়ানের বিপরীতে কিয়ারার দেখা মিলেছিল। কিন্তু ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবিতে কার্তিকের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তৃপ্তি। পর পর ছবি হাতছাড়া হয়েছে কিয়ারার। আর সেই ছবির চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তৃপ্তি।

Advertisement

বিটাউনের অন্দরে গুঞ্জন, কিয়ারার পরিবর্তে তৃপ্তিই প্রথম পছন্দ হয়ে উঠছেন পরিচালক-প্রযোজকদের।

অনেকের ধারণা, তৃপ্তির সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ের ভারে ক্রমশ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছেন কিয়ারা। যদিও কিয়ারার হাতেও বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের ছবি রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণী তারকা রাম চরণ, জুনিয়র এনটিআর ও বলি তারকা হৃতিক রোশনের সঙ্গে এক পর্দায় দেখা মিলবে তাঁর। ছবিতে কিয়ারার নতুন চমক কি তাঁকে পুরনো জায়গা ফিরিয়ে দেবে, না কি তৃপ্তিই আপাতত সেই জায়গা দখল করে থাকবেন? সেই প্রশ্নই ঘুরছে ইন্ডাস্ট্রির বাতাসে।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত