দেশজুড়ে
বিদ্যালয়ের এক রুমে গিয়ে একে একে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/05/News-Image-1-94.gif)
বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গিয়ে একে একে ৩৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে কেউ জ্ঞান হারিয়েছেন, আবার কেউ কেউ করছেন অস্বাভাবিক আচরণ। এ ঘটনার পরে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গেলো মঙ্গলবার (১৪ মে) উপজেলার ওই স্কুলের স্কুলের নন্দিনী হাইজিন কর্নারে প্রবেশ করার পর ছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পরার ঘটনা শুরু হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হোসনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নান্না মিয়া।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, শুরুতে ৮ জন ছাত্রী রুমে ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁরা অভিভাবকদের স্কুলে অসুস্থ ছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু গেলো ১৫ মে একই হাইজিন কক্ষে প্রবেশ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও ২৫ জন ছাত্রী। এদের মধ্যে অসুস্থ ছাত্রীদের সেবা শুশ্রূষা করতে তাদের সংস্পর্শে গিয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম জানান, প্রতিটি বিদ্যালয়েই এ ধরনের হাইজিন রুম থাকে। যতদিন ধরে স্কুলে মেয়েদের জন্য এ রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে এর মধ্যে আর কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার প্রথম দিন ওই রুমে প্রবেশের পর অসুস্থ হয়ে পড়া মেয়েদের চিৎকার শুনে তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন একেকজন একেকরকমের কথা বলেছে। কেউ বলেছে দেয়ালে লাল দাগ দেখা গেছে আবার কেউ বলছে কালো বিড়াল দেখা গেছে। পরে অসুস্থ মেয়েদের শিক্ষকদের রুমে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে অভিভাবকদের খবর দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর হোসেন জানান, ভৌতিক কিংবা অশরীরী উপদ্রবের কোনো কারণে স্কুলের ছাত্রীরা আক্রান্ত হয়নি। ম্যাস হিস্টিরিয়া বা গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এটি তেমন কোনো জটিল কিছু না। চিকিৎসার পাশাপাশি আক্রান্তদের কাউন্সেলিং করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পরেই তাঁরা স্কুলের সাথে যোগাযোগ করেছেন। যে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাদের চিকিৎসা ও যে ধরনের ভয়ভীতি রয়েছে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিভাবক ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুল শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে।
আই/এ
ঢাকা
রাসেলস ভাইপার জমা দিয়ে পুরস্কার পেলেন ৩ জন
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-Recovered-6.gif)
নাটকিয়তার পরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া জমা দিয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদপুরের ৩ জন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী এ পুরস্কার তুলে দেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই তিন ব্যক্তির হাতে পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ইশতিয়াক।
পুরস্কার পাওয়া আজাদ শেখ বলেন,তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। কথা রাখার জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ।
রেজাউল করিম বলেন, এই ৫০ হাজার টাকা তাঁর পরিবারে খুব কাজে লাগবে। পাশাপাশি সাপুড়ে না হয়েও সাপ ধরে যে টাকা পেলেন এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী ওই তিন ব্যক্তিকে পুরস্কারের ৫০ হাজার করে মোট দেড় লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের কথা রেখেছে। পাশাপাশি সাপ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এর আগে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে গেলো ২০ জুন রাসেল ভাইপার মারতে পারলে তার বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরে একদিনের মাথায় সে ঘোষণা পরিবর্তন করে নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরে বন বিভাগে জমা দিলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।
নাটকিয়তার এখানেই শেষ নয়, গেলো ২৪ জুন সন্ধ্যায় আগের সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে নেয় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। তবে এর আগেই পুরস্কারের আশায় জীবিত তিনটি রাসেলস ভাইপার নিয়ে যান ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম, আজাদ শেখ ও শাহজাহান খান। সে সময় বনবিভাগ থেকে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র না থাকায় তাদেরকে পুরস্কারের টাকা দেয়া হয়নি।
এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক জানান, পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করার আগে যারা জীবিত সাপ জমা দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, জীবন্ত ৩টি রাসেলস ভাইপার ফরিদপুর বন বিভাগের প্রহরী মো. জাহিদুল ইসলাম আজ বিকেলে খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে পৌঁছে দেন।
আই/এ
দেশজুড়ে
সুস্থ হয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে এলেন সেই কৃষক
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-Recovered-3.gif)
গেলো ৩১ মে রাজশাহীর চারঘাটের কৃষক হেফজুল ইসলাম (৪৫) চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন। সাপটিকে মেরে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) আইসিউতে ভর্তি হন তিনি। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে কৃতজ্ঞতা জানাতে সপরিবারে রামেকে এসেছিলেন এই কৃষক।
গেলো রোববার (২৩ জুন) রামেক আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কৃষক হেফজুল। বিষয়টি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেই জানিয়েছেন ডা. আবু হেনা।
জানা যায়, গেলো ৩১ মে জমিতে ঘাস কাটার সময় একটি সাপ দেখতে পেয়ে কৃষক হেফজুল ইসলাম নিজেই কাচি দিয়ে সাপটিকে আক্রমণ করে বসেন। নিচু অবস্থায় থাকায় রাসেলস ভাইপার সাপটি তার ডান চোয়ালে কামড় দেয়।
পরে তিনি সাপটিকে মেরে পলিথিন ব্যাগে ভরে একজনের মোটরসাইকেল যোগে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসিইউতে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে ডা. আবু হেনা তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানান, সাপের কামড়সহ আইসিইউতে আাসতে হেফজুলের সময় লেগেছিল দেড় ঘন্টা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দয়ায় এবং দ্রুত সময়ে আইসিইউতে আমরা নিয়ম মাফিক চিকিৎসা দেয়ায় তিনি সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে যায়।
তিনি জানান, ২০১২ সাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে প্রতি বছর রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ানো অসংখ্য রোগি চিকিৎসা পেয়েছেন। যারা সাপে কামড়ানোর ২ ঘন্টার মধ্যে রামেক হাসপাতালে আসতে পেরেছেন তাদের প্রায় সবাই সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে গেছে। তবে দেরিতে চিকিৎসা পাওয়া রোগিদের প্রায় সবার ডায়ালাইসিস লেগেছে। আক্রান্ত স্থানে পচন ধরেছে।
আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সঙ্গে সপরিবারে কৃষক হেফজুল
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এ চিকিৎসক আরও জানান, রাসেল ভাইপার নিজে আক্রান্ত না হলে সে সাধারণত কাউকে কামড় দেয় না। আইসিইউতে এ সাপে কাটা ভর্তি রোগিরা এ তথ্য তাকে দিয়েছেন।
জনগনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভয় বা ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সাপে কামড়ানো রোগিকে দ্রুত হাসপাতালে আনুন। নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের কৃষক ভাইদের গামবুট পায়ে মাঠে কাজ করতে উৎসাহিত করুন। রাসেল ভাইপারকে নিজে থেকে আক্রমণ-বিরক্ত করবেন না।
আই/এ
রাজশাহী
বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেলো বৃদ্ধের
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-Recovered-2.gif)
জয়পুরহাটে বাসের ধাক্কায় হাবিবুর রহমান (৭০) নামে এক বৃদ্ধ পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত পথচারী বামনপুর চারমাথা গ্রামের মৃত মঞ্চের আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বামনপুর এলাকার পুরানাপৈল-হিলি বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ূন কবির।
ওসি জানান, ওই বৃদ্ধ সকালে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে বামনপুর চারমাথায় চা খেতে যাচ্ছিলেন। পথে বামনপুর চারমাথা এলাকায় দিনাজপুরগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
আই/এ
- বলিউড6 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
- বাংলাদেশ7 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক7 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- বাংলাদেশ2 days ago
টাক মাথায় দেশ ছাড়ার গুঞ্জন ছাগলকাণ্ডের মতিউরের
- বাংলাদেশ5 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
- টুকিটাকি3 days ago
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি
- বাংলাদেশ3 days ago
জমিকাণ্ডে আলোচিত ডিআইজি জামিলকে বদলি
- অপরাধ20 hours ago
পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্যতামূলক অবসরে সেই পুলিশ কর্মকর্তা