Connect with us

বাংলাদেশ

স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণে শিকার গ্রেপ্তার ২

Published

on

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে ১৫ বছরের স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।   

ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ি জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পানিহারা এলাকায়। সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী।

এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে প্রতারক প্রেমিক হাসান আলী সহ ৭ জনের নামে রবিবার (৭ আগষ্ট )রাতে আটোয়ারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ রবিবার রাতে হাসানের বন্ধু আটোয়ারী উপজেলার মালগোবা গ্রামের সমিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলাম (২০) ও পুরাতন আটোয়ারীর মৃত গিয়াসউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলামকে (৪৮) আটক করেছে।

মামলার এজহার ও  ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেলো এক বছর আগে রং নম্বরে মুঠোফোনে পরিচয় হয় আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের মালগোবা এলাকার হাসান আলীর (২৫) সাথে। পরে গেলো শনিবার ওই স্কুল ছাত্রীকে হাসান বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে পঞ্চগড়ে ডেকে নিয়ে আসে। পরে তাকে নিয়ে হাসান মটর সাইকেল যোগে আটোয়ারীতে বেড়াতে নিয়ে যায়। পরে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে হাসান তার বন্ধু রাজু ইসলাম সহ আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের বন্দরপাড়া এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের ডাকে সেখানে আরও পাঁচজন সেখানে এসে আবারও ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

এ সময় ধর্ষকদের মধ্যে একজন ওই কিশোরীকে ঘটনাস্থল থেকে এনে সড়কের উপর রেখে পালিয়ে যায়। পরে ওই স্কুল ছাত্রী গ্রামের সড়ক থেকে পাঁকা সড়কে উঠে এলে রাতে স্থানীয় আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যাক্তির সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নায়েব আলী নামে এক স্থানীয়  ব্যাক্তির বাড়িতে রাখা হয়। পরে ওই কিশোরীর মামা মুসা আলমকে খবর দেয়া হলে তিনি ওই স্কুল ছাত্রীকে রাতেই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রবিবার  রাতেই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement

ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, হাসানের সাথে ১ বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিচয় ঘটে। ঘটনার দিন সে দেখা করতে বললে সে পঞ্চগড়ে এসে তার সাথে দেখা করে। বেড়াতে যাওয়ার নাম করে সে তার এক বন্ধুসহ আমাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।পরে আরও পাঁচজন সেখানে এসে আমাকে ধর্ষণ করে।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, ধর্ষিতা ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে আমরা দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

Advertisement

জাতীয়

কোটাবিরোধীদের যে পরামর্শ দিলেন আইনমন্ত্রী

Published

on

আন্দোলনকারীরা একজন আইনজীবী রেখে আদালতে তাদের বক্তব্যে উপস্থাপন করলে নিশ্চই আদালত তাদের ন্যায্য রায় দেবেন। তবে আন্দোলনরত চাকরি প্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীদের রাস্তায় আন্দোলন করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (8 জুলাই) বিকেলে সমকালকে তিনি এ কথা বলেন। আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ পাঁচজন মন্ত্রী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বাকিরা হলেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আরাফাত ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা।

এ বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বৈঠকে কোটাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। কোটা একটা বার্নিং ইস্যু। পার্টির সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে বলেছেন। আমার বক্তব্যে হচ্ছে, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় তখন কিন্তু কোটার বিপক্ষে যারা তাদের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তারা আদালতে তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেননি। এখন মামলাটা আপিল বিভাগে গেছে, আমার বিশ্বাস আপিল বিভাগে তারা একজন আইনজীবী রেখে তাদের বক্তব্যে যদি উপস্থাপন করেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আপিল বিভাগ একটা ন্যায্য রায় দেবেন।

তিনি বলেন, যারা এই আন্দোলন করছেন এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, বিষয়টা আদালতের। অবরোধ করে বক্তব্য দিয়ে বা চিৎকার করে কোনো লাভ নেই। বক্তব্য দিতে হবে আদালতে গিয়ে। আমার মনে হয়, আদালতে যদি এটা উপস্থাপন করা হয়, তাহলে নিশ্চয়ই একটা যৌক্তিক রায় পাবেন।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাব মোড় ও গুলিস্তান জিরো পয়েন্টসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

Advertisement

এএম/

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ড. ইউনূস ইস্যুতে পিটার হাসকে বাংলাদেশি-আমেরিকান প্লাটফর্ম’র চিঠি

Published

on

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনি জটিলতা নিয়ে ঢাকায়  নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের অলাভজনক প্ল্যাটফর্ম-দ্য কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেআইনিভাবে বকেয়া অর্থ আটকে রাখার অভিযোগে ড. ইউনূসের কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়, নিম্নআদালত দেখেছে ড. ইউনূস নিজের করও পরিশোধ করছেন না। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ড. ইউনূস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ড. ইউনূস এখনও তার পরিণতির জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করছেন।

ড. ইউনূস সম্পর্কে প্ল্যাটফর্মটির মতামত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে উপস্থাপনের জন্য পিটার হাসকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই চিঠি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিটিক্যাল ডেস্ককেও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থনের সুবিধাভোগী বলে দাবি করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, তার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং গ্রামীণফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অন্যান্য উদ্যোগের লাইসেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দিয়েছে। এর প্রাথমিক মূলধনের জন্য ৫০০ কোটি টাকাও দিয়েছে।

কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মটির পক্ষে চিঠিতে আহ্বায়ক খালিদ হাসান লিখেছেন,  ড. ইউনূসের  শক্তিশালী আমেরিকান লবি দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিভূত হয়েছিলেন বলে আমি মনে করি। আমার মতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণাধীন সব উদ্যোগের জাতিসংঘের নিরীক্ষা চাওয়া উচিত। শেখ হাসিনাকে হত্যার ৪৩টি প্রচেষ্টার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সিআইএকে অবশ্যই জানতে হবে।

Advertisement

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো গ্রেনেড হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

চিঠিতে বলা হয়, বিএনপি নেতা তারেক রহমান বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংগঠকদের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র ও বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন।

ওই হামলায় আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ৩১ জন নিহত হন। বেঁচে যাওয়া বেশিরভাগই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতেই এ হামলা চালানো হয়েছিল বলেও  চিঠিতে দাবি করা হয়।

এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরও সমালোচনা করা হয়েছে চিঠিতে।  ওই সময় ড. ইউনূসের নিরবতারও সমালোচনা করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, দুঃখজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওইসময় তারা বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়নি। বিস্ময়কর ছিল শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নীরবতাও। তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার নিন্দা করেননি। এমনকি নিহতের পরিবার বা আওয়ামী লীগের নেতাদেরও সান্ত্বনা দেননি।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে পিএসসির উপপরিচালক ও গাড়িচালকসহ গ্রেপ্তার ১৭

Published

on

গেলো ১২ বছরে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ২ উপপরিচালক ও পিএসসির সাবেক চেয়াম্যানের গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করলো সিআইডি।

গেলো রোববার (৭ জুলাই) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির সাইবার বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি তৌহিদুল ইসলাম।

এদিকে বেসরকারি ওই  টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে ব্যাপক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গাড়ি চালক আবেদের অঢেল সম্পদ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

জানা যায়, সৈয়দ আবেদ আলীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার  ঢাকায় ও গ্রামে একাধিক বাড়ি, গরুর খামার ও সম্পদের তথ্য মিলেছে তারই ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে। যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিত্তবৈভব বানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত