Connect with us

অর্থনীতি

মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ছাড়িয়েছে তিন লাখ টাকা

Avatar of author

Published

on

ফাইল ছবি

এক বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৩৫ ডলার বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা ( ১ ডলার= ১০৯ টাকা ৯৭ পয়সা হিসেবে ধরা হয়েছে।) এর ফলে প্রথমবারের মতো দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তিন লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেলো।

সোমবার (২০ মে) প্রকাশিত এক হিসাবে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএস’র হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রথমবারের মতো টাকার অংকে মাথাপিছু গড় আয় তিন লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। সাময়িক হিসাবে চলতি অর্থবছরের মাথাপিছু গড় আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) চূড়ান্ত হিসেবে টাকায় মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা। অর্থাৎ, এক বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩২ হাজার ৭৮৪ টাকা।

এদিকে, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেশি হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। বিবিএস এর হিসেব অনুযায়ি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরে কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হবে। যেটি আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

বিবিএস’র তথ্যানুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশের জিডিপির আকার বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকায়। গত অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিলো ৪৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। তবে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খাবে বলেও সতর্ক করেছে বিবিএস। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ি শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে। গত অর্থবছরে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ছিলো ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

Advertisement

শিল্পখাতের পাশাপাশি কৃষি খাতেও প্রবৃদ্ধি কমবে বলে জানিয়েছে বিবিএস। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ি, কৃষি খাতে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। গত অর্থবছরে তা ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে আগের বছরের তুলনায় এবার সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে ধারণা দিয়েছে সরকারি এ সংস্থাটি।

বিবিএস বলছে, সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে। আগের বছরে এই প্রবৃদ্ধি ছিলো ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে, বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে এ প্রবৃদ্ধি আরও কম হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫.৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।  বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৮ শতাংশ।

এমআর//

Advertisement

অর্থনীতি

বিশ্বব্যাংকের কথা শুনতে হবে, তাঁরা টাকা দেয় : অর্থমন্ত্রী

Published

on

বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংক কি বলছে সেদিকেও নজর দিয়েন। বিশ্বব্যাংক বলেছে ভালো হয়েছে। আমার টাকা লাগবে, বিশ্বব্যাংকের কথা শুনতে হবে। না হলে আপনারা (সমালোচকরা) টাকা দেন। বললেন, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করার পর বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসছে। সরকার সব প্রতিক্রিয়া আমলে নিচ্ছে। যেগুলো বাস্তবসম্মত এবং বাজেটে বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করা হবে। কারণ এখনো বাজেট পাস হয়নি।

সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধব সরকার। অনেকেই বলে, সরকার শিগগিরই পড়ে যাবে, কই সরকার তো পড়ে না। সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে, দেউলিয়া মানে কি? দেউলিয়া তো হলো না। বিশ্বব্যাংক কিছু বোঝে না, আপনি (সমালোচকরা) সব কিছু বোঝেন?

প্রসঙ্গত, সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি : প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি’   সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াকুন শি, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

টাকা পাচার থেকেই ডলার সংকট: সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

Published

on

বছরে ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৮১ থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। বর্তমানে দেশে টাকা পাচার থেকেই ডলার সংকটের শুরু। তাই জরুরি ভিত্তিতে এটি রোধ করার পদক্ষেপ দরকার। বললেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও কৃষিবিদ শামসুল আলম।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি : প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঋণের ২২ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্যাংকের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর রাশ টানতে হবেই। ব্যাংক কমিশন করলে ভালো, না হলে কমপক্ষে শক্তিশালী একটা কমিটি করা উচিত বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের নিয়ে।

তিনি বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা এডিপি। হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে ধনীদের করহার বাড়ানো, সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে করমুক্ত সুবিধা প্রত্যাহারের মতো প্রস্তাব সাহসী পদক্ষেপ।

ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর ১ শতাংশ কমানো মূল্যস্ফীতি কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।

Advertisement

শামসুল আলম বলেন, কিছু পণ্যের দাম কমছে। বাজেটের পর দাম বাড়েনি। মে পর্যন্ত ১১ মাসে প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হচ্ছে। অফশোর ব্যাংকের মাধ্যমে ৮.৫ সুদে বিদেশি মুদ্রার আমানত আসবে বলে আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেটে সরকার বেশকিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমানোর উদ্দেশ্যে সরকার এবার বাজেট কমিয়েছে। ঘাটতিও কমানো হয়েছে, যা খরচ কমানোর স্বার্থে করা হয়েছে। সেজন্য বলছি, এটি একটি সাহসী বাজেট।

বাজেটে কর্পোরেট কর হার কমানো হয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে বাজেটের ইতিবাচক দিক হলো রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীকে কর আদায়ে জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়ে শামসুল আলম বলেন, এনবিআরকে শুধুমাত্র কর আদায়ে ব্যবহার করুন। তবে ঋণখেলাপি কীভাবে কমানো যায় তা চিন্তা করতে হবে। ব্যাংক একীভূত করার যে উদ্যোগ তার ফল অনিশ্চিত।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ২৯ কোটি

Published

on

পদ্মা-সেতু-টোল-প্লাজা

পদ্মা সেতুতে ঈদযাত্রার ১০ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ২৯ কোটি ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৩৫০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এ ৯ দিনে মোট টোল আদায় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭০০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৫০ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি জানান, ঈদযাত্রার নয় দিনে দুই প্রান্ত দিয়ে ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৯টি যানবাহন পদ্ম সেতু অতিক্রম করেছে। ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি টোল আদায় হয়েছে ১৪ জুন। ওইদিন ৪ কোটি ৮২ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ টাকা টোল আদায় হয়।

১৫ জুন টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা। ১৬ জুন আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ১৫০ টাকা। ১৭ জুন ঈদের দিন টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৬ হাজার ৫৫০ টাকা এবং ১৮ জুন ২ কোটি ৭১ লাখ ২২ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে।

এছাড়া ১০ জুন টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা। ১১ জুন আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। ১২ জুন টোল আসে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫০ টাকা। ১৩ জুন টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৬৮ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত