Connect with us

জাতীয়

এমপি আজীমের মৃত্যুর নিশ্চিত তথ্য নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

ভারতে গিয়ে টানা আটদিন নিখোঁজের পর বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ কলকাতার অভিজাত এলাকা নিউটাউন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত তথ্য নেই। বিষয়টি নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত তথ্য নেই আমাদের কাছে। জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (২২ মে) সকালে গণমাধ্যমে তিনি কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের এক ডিআইজির উদ্বৃতি দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশও বলেছে আনোয়ারুল আজিমের মরদেহ পাওয়া গেছে কলকাতায়। বিষয়টি নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত তথ্য নেই আমাদের কাছে। আইজি ডিটেইলস খবর নিচ্ছে। সব নিশ্চিত হয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

আনোয়ারুল আজীমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

গেলো ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার অন্তর্গত ১৭/৩ মণ্ডলপাড়া লেনের বাসিন্দা এমপি আনোয়ারুলের দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন তিনি। মূলত চিকিৎসক দেখানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ওই বন্ধুর বাড়িতে আসেন এমপি আনোয়ারুল।

Advertisement

পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। উল্টো দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে জানান তাকে আর ফোন করতে হবে না, দরকার হলে তিনি ফোন করবেন গোপাল বিশ্বাসকে। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনোভাবেই তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে উৎকণ্ঠা ছাড়ায় তার বাংলাদেশের বাসায়। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপরই কোনো উপায়ান্তর না দেখে গেলো ১৮ মে শনিবার বরানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাস। অভিযোগ পেয়ে বরানগর থানা তদন্তে নামে।

আনোয়ারুল আজিম ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

টিআর/

Advertisement

জাতীয়

হাসিনা-মোদির বৈঠক, ঢাকা-দিল্লির ১০ সমঝোতা স্মারক সই

Published

on

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক। ছবি: এএনআই

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি সই হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার(২২ জুন) সাড়ে ১২টার পর নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে-পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে যৌথ কার্যক্রমের দুটি নথিতে সই।

নতুন পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো-

১. বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সুনীল অর্থনীতি ও সমুদ্র সহযোগিতার বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক;

২.  ভারত মহাসাগরের ওশানোগ্রাফির ওপর যৌথ গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিওআরআই ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক;

Advertisement

৩. বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর সমঝোতা স্মারক;

৪, যৌথ ছোট স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং

৫. কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা।

নবায়ন করা তিন সমঝোতা স্মারক হলো-

১. মৎস্যসম্পদ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক;

Advertisement

২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন এবং

৩.  স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পুরনো খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা নবায়ন।

এছাড়া, ‘ডিজিটাল অংশীদারিত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুই যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে বাংলাদেশ।

এগুলো হলো--বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল অংশীদারিত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারিত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক নথি সই।

প্রসঙ্গত,ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার ভারত সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পর প্রথম বারের মতো দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি গেলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে, গত ৯ জুন নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

রাসেলস ভাইপার নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রবে সচেতনতার লক্ষ্যে সারাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের নানা নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (২২ জুন) সকালে এসব তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাসেলস ভাইপার নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। গুজবে কান দেবেন না।

মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম মজুদ রয়েছে। সাপে কাটলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, এক সময়ের বিলুপ্তপ্রায় রাসেলস ভাইপার সাপ ক্রমেই সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বরেন্দ্র এলাকা ছেড়ে সাপটির দেখা মিলছে বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর এমনকি ঢাকার আশপাশেও।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যশৃঙ্খল নষ্ট হওয়ায় বেড়েছে এ সাপের প্রাদুর্ভাব। রাসেলস ভাইপারের বিষ হেমাটোটক্সিক। যার কারণে ছোবল দিলে আক্রান্ত স্থানে পচন ধরে। ছোবলের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফুলে যায় ক্ষতস্থান। এর বিষ নষ্ট করে দিতে পারে ফুসফুস, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।

বেশিরভাগ সাপ ডিম পাড়লেও রাসেলস ভাইপার বাচ্চা দেয়। গর্ভধারণ শেষে স্ত্রী রাসেলস ভাইপার সাধারণত ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ডও আছে। একদিকে উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা অন্যদিকে বেজি, গুইসাপসহ প্রকৃতি থেকে সাপের শত্রু বিলীন হয়ে যাওয়া। অন্যদিকে ইঁদুর, ব্যাঙ রাসেলস ভাইপারের প্রিয় খাবার, যা ফসলের ক্ষেতে থাকে। ফলে ওইসব জায়গায় সাপের পর্যাপ্ত খাবারের উপস্থিতি থাকায় বাড়ছে রাসেলস ভাইপার।

এ অবস্থায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া মাঠে কাজ করা এবং সাপে কাটার পর গ্রামীণ জনপদ এখনো ঝাড়ফুঁকের মতো কুসংস্কার থেকে মুক্ত না হওয়ার মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

Published

on

ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার (২২ জুন) সকালে ফোরকোর্টের রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে । এ সময় শেখ হাসিনা সশস্ত্র সালাম গ্রহণ ও গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।

সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মসূচি শেষে শেখ হাসিনা ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাট যাবেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

পরে তিনি হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যা ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন। রাত ৯টায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত