Connect with us

রাজশাহী

সাবেক এমপি মানু মজুমদার আর নেই

Avatar of author

Published

on

নেত্রকোণা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মানু মজুমদার ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ওই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত সরকার সজল।

অসিত সরকার সজল জানান, গেলো মঙ্গলবার ঢাকার বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান,  ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন মানু মজুমদার। পরে তৎকালীন  সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় মানু মজুমদারের।  ১০ বছর জেল খেটে ১৯৮৫ সালে কারামুক্ত হন এই প্রতিরোধযোদ্ধা।

প্রসঙ্গত, বুধবার ২২ মে সাবেক এ সংসদ সদস্যের মরদেহ ভারত থেকে মরদেহ আনা হবে।  অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নের সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।

Advertisement

আই/এ

Advertisement

রাজশাহী

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ,আহত ২০

Published

on

রাজশাহী বাঘায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপেরও ঘটনা ঘটে। একই স্থানে মানববন্ধন ডাকার কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন।

শনিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম।

স্থানীয়রা জানান, বাঘা পৌরসভার দুর্নীতি ও  পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীর স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকে স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলম গ্রুপের নেতাকর্মীরা। অপর পক্ষ পৌর মেয়র আক্কাস আলী গ্রুপের নেতাকর্মীরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির নামে জমির ক্রেতার কাছে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাক দেন।

সকালে দুই পক্ষ উপজেলার সামনে অবস্থান নেয়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুড়ে।

আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরসহ আশপাশের এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আই/এ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

চেয়ারম্যান কন্যার সাথে বাকবিতণ্ডায় প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

Published

on

বগুড়া

রাস্তায় গাড়ি রাখা নিয়ে এক জনপ্রতিনিধির কন্যার সাথে বাকবিতাণ্ডার জেরে বগুড়ায় দুই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু তার লোকজন নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকর পাড়া এলাকায় এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন রাতে বগুড়া শহরের গোয়ালগাড়ি এলাকায় একমুখী সড়কে প্রাইভেটকার দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপুর কন্যা। দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি রাখা নিয়ে টিপু কন্যা ও তার গাড়িচালকের সঙ্গে কয়েকজন যুবকের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে রাত দেড়টার দিকে চেয়ারম্যান টিপু ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে নিশিন্দারা চকরপাড়া এলাকায় যান।

নিহতের স্বজনদের দাবি, তার কন্যার সাথে কথা কাটাকাটি করার কারণে টিপু ওই এলাকার তিন যুবক শরীফ রুমন ও হোসেনের ওপর প্রথমে গুলি চালান। পরে তার সঙ্গে থাকা লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপালে ঘটনাস্থলেই শরীফ ও রুমন প্রাণ হারায়। লোকজন এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ এলাকায় ঢুকেই প্যানেল চেয়ারম্যান টিপু ওই তিন যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে বের করেন। এরপর বাড়ির কাছেই গলির মধ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে তাদের দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার বলেছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দেখি দুইজন তরুণের লাশ পড়ে রয়েছে। তাদের বয়স আনুমানিক ২৪-২৫ হবে। তাদের গায়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের দেহ রক্তাক্ত ছিল।

Advertisement

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের গায়ে গুলির কোনো চিহ্ন ছিল না। এছাড়া প্রাথিমিকভাবে কিছু ব্যক্তিদের নাম পাওয়া গেছে। আমরা যাচাই বাছাই করছি। তদন্ত শুরু করেছি এবং মূল বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।

ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েক রাউত গুলির খোসাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু ওই এলাকার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরও ছিলেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

পাবনায় কলেজ ছাত্র হত্যায় তিনজনের যাবজ্জীবন

Published

on

হত্যা

পাবনার আমিনপুর থানা এলাকার আব্দুল গাফফার মাছুম নামের এক কলেজ ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বেলা ১২টার দিকে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ আদেশ দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার মিনিদিয়ার চর এলাকার নুরাল মেম্বারের ছেলে মো. আজিম (৩৫), চৌহালীর বাউসা এলাকার ওহাব মোল্লার ছেলে মো. শহিদুল (২৮) এবং একই এলাকার মৃত মছলত সরদারের ছেলে ছাবেদ আলী (৩০)। আসামিরা রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত আব্দুল গাফফার মাছুম সুজানগরের দুলাই ডা. জহরুল কামাল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট কলেজে ক্লাস চলাকালীন সময়ে মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের কথা বলে কৌশলে অপহরণ করেন  চাচাতো দুলাভাই মো. আজিম। পরের দিন মাছুমের ফোনে কল করা হলে অজ্ঞাত পরিচয়ে জানান মাছুমকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে দুলাভাই মো. আজিমকে সন্দেহ করে তার নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। পরে আজিমকে জিজ্ঞাসাবাদে মাছুমকে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করে লাশ যমুনা নদীতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। এঘটনা তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর আজিমসহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে রমজান নামের এক আসামির মৃত্যুর পরে তিনজনের বিচার শেষে আজকে রায় ঘোষণা করা হলো।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সরকারি কৌশুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিপক্ষের শুনানি করেন শফিকুল ইসলাম সুমন এবং কামাল আহমেদ। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট হলে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান  আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত