Connect with us

ঢাকা

নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩

Avatar of author

Published

on

সংঘর্ষ

নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে সরকারী প্রকল্পের বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনজন গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোরে আলোকবালীর খোদাদিলা গ্রামে যুবলীগকর্মী জাকির হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জাকির গ্রুপের নৈপত্যে রয়েছেন ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কাদির মিয়া এবং জয়নাল আবেদিন গ্রুপে রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দীপু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বজলুর রহমান ফাহিম।

আহতরা হলেন, আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে কুতুবউদ্দিন (৩৫), খোদাদিলা গ্রামের হক মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (১৬), ফিরোজ মিয়ার ছেলে তৈয়ব মিয়া (১৮)। এদের মধ্যে কুতুবউদ্দিন হচ্ছে বিএনপি নেতা জয়নালের সমর্থক এবং তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে বাকি দুইজন কোন গ্রুপের তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। আরও কমপক্ষে ৭ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে, তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায় নি।

Advertisement

জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মেঘনা নদী ও তার শাখা নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে নদী থেকে বালু উত্তোলন গেলো দুই মাস আগে শুরু হয়। প্রকল্প অনুযায়ী এসব বালু নদীর পাশে রাখার কথা হলেও প্রভাব বিস্তার করে আলোকবালী ইউনিয়নের সাতপড়া ও খোদাদিলাসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলী জমি, পুকুর, ডুবাসহ বিভিন্নস্থান ভরাট করা হচ্ছে।

আর এসব ভরাট করা বালুর জন্য প্রতি শতাংশ জায়গা ভরাটে জয়নাল আবেদিন ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রুপকে ১০-১৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। ফলে, জাকির গ্রুপ তাদের ভাগ না পাওয়া ও পূর্ব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়াও আধিপত্যকাল বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকির গ্রুপ এলাকার বাহিরে ছিল। পুনরায় গ্রুপটি এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে আজ ভোর ৪ টার দিকে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।

আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদ উল্লাহ বলেন, ‘যুবলীগকর্মী জাকিরসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মীকে বিএনপির ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচিব কাইয়ুম ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিনের লোকজন  অত্যাচার ও নির্যাতন করে ৪ বছর ধরে বাড়িঘর ছাড়া রেখেছে। তারা জোরপূর্বক নিরীহ মানুষের বাড়িতে সরকারি প্রকল্পের বালু দিয়ে ভরাট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মূলত এলাকার নিরীহ মানুষ তাদের অত্যাচারের প্রতিবাদ থেকে এ সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। তবে, এ ঘটনায় আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। এখানে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুর লোকজন ও বিএনপির লোকজন দ্বন্দ্ব জড়িয়েছে।’

ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুর রহমান ফাহিম কল রিসিভ করেন নি।

আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিন বলেন, “জাকির ডাকাতের নির্দেশে ও খোদাদিলা গ্রামের মালেক মেম্বারের ছেলে আল আমিনের অর্থায়নে নিরীহ এলাকাবাসীর ওপর হামলা করেছে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনকে গুলি করে আহত করা হয়। সরকারি বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই, সরকারের লোকজনই নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার ধান্ধা। এটা রাজনৈতক কোনো দ্বন্দ্ব নয়।”

Advertisement

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। জাকির গ্রুপ এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। খোদাদিলা গ্রামটি অনেক বড়। এক দিকে ধাওয়া করলে অন্য দিক দিয়ে পালাচ্ছে। খবর পেয়ে ভোর থেকে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

কেএস/

Advertisement

ঢাকা

প্রস্তুত শোলাকিয়া ময়দান, এবার ইমামতি করবেন না যিনি

Published

on

উপমহাদেশের প্রাচীন ও সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া। ১৯৭তম ঈদুল আজহার জামাত জন্য প্রস্তুত ঈদগাহ ময়দান। এবারের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। জামাতে ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ইমামতি করার কথা ছিল। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় ইমামতি করবেন শহরের বড় বাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শোয়াইব আব্দুর রউফ।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান।

জেলা প্রশাসকের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও র‌্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলিমুজ্জামান।

জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন। তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে অজুর পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুসল্লিদের কোনো শারীরিক সমস্যা হলে এখানে মেডিকেল ক্যাম্প থাকবে তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখানে কাজ করবেন। ওয়াচ টাওয়ার ও মাঠের আশপাশে পর্যাপ্তসংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সদস্যসহ আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

ডিসি আরও বলেন, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১ ভৈরব থেকে ছাড়বে ভোর ৬টায়, কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়। কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায়, ভৈরব পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২ ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে ভোর পৌনে ৬টায়, কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮টায়। কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় এবং ময়মনসিংহে পৌঁছাবে বিকেল ৩টায়।

Advertisement

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকার ফুটেজগুলো আমরা সংগ্রহ করবো। নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো ধরনের সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেকটি গেটে আর্চওয়ে থাকবে। নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে মাঠে প্রবেশ করতে হবে মুসল্লিদের। এছাড়া প্রত্যেককে সার্চ করার জন্য মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আশপাশে যেসব স্থাপনা রয়েছে, প্রত্যেকটিতে পুলিশ ডিউটিতে থাকবে। এরইমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন। আশপাশের যে হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে, সেগুলোকেও নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। এবার কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই।

র‌্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ঈদগাহে আসা-যাওয়ার গেটগুলোতে র‌্যাব সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। ওয়াচ টাওয়ারে স্বয়ংক্রিয় স্নাইপার রাইফেল থাকবে, যাতে যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধ করা যায়। বেশকিছু প্যাট্রোল কার থাকবে। সেগুলো শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে।

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সমাগমে। এ মাঠে ২৬৫টি কাতার আছে। প্রতিটি কাতারে ৫০০ মুসল্লি নামাজের জন্য দাঁড়াতে পারেন। মুসল্লির উপস্থিতির দিক থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের জামাতই এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জামাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

Published

on

গাজীপুরে বকেয়া পরিশোধ ও লে-অফ প্রত্যাহার করে কারখানা চালুর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শ্রমিকরা পুনরায় কারখানার গেটের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা দুপুরে দেড়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ী এলাকায় ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ী এলাকায় ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নামের কারখানাটিতে শ্রমিকদের চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও গত বছরের বাৎসরিক ছুটির টাকা ও ২ মাস ১৯ দিনের বেতন, ঈদ বোনাস ও লে-অফ প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই কারখানার গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে প্রায় ২০ মিনিট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করছে।

শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে কারখানাটির মালিক এমএনএইচ বুলুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। কারখানার একটি সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক সংকট ও বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে কারখানাটিতে লে-অফ রয়েছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে ১০ মিনিটের মতো যানচলাচল বন্ধ ছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

গরু-মহিষ বোঝাই দু’টি ট্রলার ডুবি

Published

on

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় দু’টি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০টি গরু ও ২টি মহিষ নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ট্রলারে থাকা ২টি গরু নিখোঁজ থাকলেও বাকি গরু-মহিষসহ ট্রলার চালক ও ব্যাপারীরা সবাই জীবিত উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল রউফ সরকার। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার আরিচা লঞ্চ ঘাটের দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে যমুনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে মো. আফজাল হোসেন তার ট্রলারে ২০টি গরু ২টি মহিষ নিয়ে কাজিরহাট থেকে আরিচায় নদীপথে রওনা করেন। নদীর মাঝ পথে হঠাৎ গরু বোঝাই ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। সে কারণে নদীর স্রোতের সঙ্গে ট্রলারটিকে চালিয়ে কিনারে আসতে থাকে। আরিচা লঞ্চ ঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে যমুনা নদীতে হঠাৎ সামনের দিক থেকে আসা আরেকটি খালি ট্রলার রাতের অন্ধকারে গরু বোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সজোরে সংঘর্ষ হয়। এবং খালি ট্রলারের সামনের অংশের বেশি পরিমাণ গরু বোঝাই করা ট্রলারের ওপর উঠে যায়।

সংবাদ পেয়ে শিবালয় থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, গরু-মহিষ ও ট্রলারে থাকা মানুষদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ২টি গরু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান ব্যাপারীরা।

শিবালয় থানার (ওসি) আব্দুল রউফ সরকার বলেন, নিখোঁজ দু’টি গরুর সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারছে না ব্যাপারীরা। আমরা তাদের কথা অনুযায়ী গরু ২টির উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত