Connect with us

আন্তর্জাতিক

গাজায় হামাসের সাফল্য, বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা আটক

Avatar of author

Published

on

গাজায় ইসরায়েলি সেনা। সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অভিযান যত তীব্র হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে চলেছে। অভিযানের মধ্যেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছ থেকে বড় ধরণের দুঃসংবাদ পেয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। দুঃসংবাদটি হলো- হামাসের যোদ্ধারা বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করে নিয়ে গেছে।

হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডের ‍মুখপাত্র আবু উবায়দার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার উত্তর গাজার জাবালিয়াতে এক সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করে কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। তবে কতজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করা হয়েছে তা উল্লেখ করেনি আবু উবায়দা।

কাসসাম ব্রিগেডের নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপলোড করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, এক ইসরায়েলি সেনাকে আহত অবস্থায় গাজার একটি টানেলের ভেতর  টেনে নিয়ে যাচ্ছে যোদ্ধারা। এ সময় ভিডিওতে বন্দি ইসরায়েলি সেনাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র ও নিরাপত্তাসামগ্রীর ছবি দেখানো হয়।এতে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে তিন সেনাকে আটক করেছে কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামাস যোদ্ধারা ফাঁদে ফেলে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি  সেনাকে টানেলের ভেতর নিয়ে যায়।  সেখানে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইসারায়েলি সেনাদলের সব সদস্য নিহত, আহত ও বন্দি হয় বলে জানান তিনি।

তবে হামাসের এমন দাবি সম্পূর্ণরুপে অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, সেনা অপহরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে এক হাজার দুইশো জনের বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা ও প্রায় চারশো নাগরিককে আটক করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় ওইদিনই বড় ধরণের অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অব্যাহত অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ৮০ হাজারের বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এমআর//

Advertisement

আন্তর্জাতিক

ন্যাটোর নতুন মহাসচিব ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে

Published

on

প্রধানমন্ত্রী

মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে। বর্তমান মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

বুধবার (২৬ জুন) প্রকাশিত ন্যাটোর এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্রাসেলসে ৩২ দেশীয় জোটের সদর দপ্তরে এক বৈঠকে উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিল ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটেকে ন্যাটোর পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ জোটের নেতারা আগামী ৯ থেকে ১১ জুলাই ওয়াশিংটনে একটি শীর্ষ সম্মেলনে রুটকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন। এছাড়া আগামী ১ অক্টোবর বর্তমান মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টলটেনবার্গ এক দশকেরও বেশি সময় ন্যাটো জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ধারাবাহিকতা প্রদানের জন্য একাধিক তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে মার্ক রুটের এই নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ এবং তার সাফল্য কামনা করেছেন।

Advertisement

স্টলটেনবার্গ এক্স-এ (টুইটার) লিখেছেন, ‘ আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই, মার্ক একজন সত্যিকারের ট্রান্সঅ্যাটলান্টিসিস্ট, একজন শক্তিশালী নেতা এবং একজন সম্মতি-নির্মাতা। ন্যাটোকে শক্তিশালী করার জন্য আমি তার সাফল্য কামনা করছি। আমি জানি আমি ভালো হাতে ন্যাটো ছেড়ে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত একটি সামরিক সহযোগিতার জোট- উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন বা ন্যাটো। মূলত ন্যাটো একটি যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে এর স্বাধীন সদস্য রাষ্ট্রগুলো কোনো বহিরাগত পক্ষের আক্রমণের জবাবে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য-দেশের সংখ্যা ৩২টি। এদের মধ্যে ৩০টি দেশ ইউরোপের, আর বাকি ২টি দেশ উত্তর আমেরিকার৷

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার পরামর্শ আইএমএফের

Published

on

দুর্নীতি কমাতে সরকারি চাকরিজীবীদের কাছ থেকে প্রতিবছর তাদের সম্পদের তালিকা নিতে  সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাশাপাশি  সেই তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করতে বলেছে  বহুপাক্ষিক ঋণদানকারী সংস্থাটি।

বাংলাদেশকে দেওয়া ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন করে মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফ এর ‘স্টাফ রিপোর্ট’ এ  পরামর্শ দেওয়া হয়।

আইএমএফ বলেছে, উঁচু-স্তরের দুর্নীতিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে, এ বিষয়ে অ-সম্মতি (নন-কমপ্লায়েন্স) দেখা দিলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। সম্পদের পরিমাণ নিয়মিত হালনাগাদের জন্য একটি মানসম্মত পন্থা অবলম্বন করে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদ ঘোষণার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে হবে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির ক্ষেত্রে সুশাসনের উন্নয়ন এবং দুর্নীতি রোধ ব্যাপক অবদান রাখবে। রাজস্ব ও আর্থিক সুশাসনের উন্নতি, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং নীতি কাঠামো শক্তিশালীকরণও উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান ১৯৭৯ সালে চালু হয়। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী আছেন। চাকরিজীবীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আচরণ বিধিমালায় এ নিয়ম যুক্ত করা হয়। তবে চার দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মটি পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ৪ শিশুসহ একই পরিবারের ৯ জনকে গুলি করে হত্যা

Published

on

পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি বাড়িতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের গুলিতে একই পরিবারের অন্তত ৯ জন সদস্য নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। স্থানীয় সময়  মঙ্গলবার ঘটা এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি দেশজুড়ে শোকের ঢেউ তুলেছে।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৃশংস এ ঘটনায় বাদাবের থানার পাশে প্রতিপক্ষের বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রধারীরা নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে চার নারী ও চার শিশুসহ ৯ জন নিহত হয় এবং অন্য আরো কয়েকজন আহত হন।

পুলিশ তাদের প্রাথমিক বিবৃতিতে বলেছে, দুই পরিবারের মধ্যে আর্থিক ও সম্পত্তির বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

তবে সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ (এসএসপি) অপারেশনস কাশিফ জুলফিকার বিবৃতিটির বিরোধিতা করে বলেছেন, উভয় পক্ষের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে কোনো আর্থিক বিরোধ ছিল না। তিনি আরো বলেন, সশস্ত্র হামলার পেছনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের ধরতে দুটি টিম গঠন করা হয়েছে।

উদ্ধারকারী দল ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলোকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজের খালি খোসা ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করে মামলা দায়ের করেছে।  এসএসপি (তদন্ত) সাহেবজাদা সাজ্জাদ জানান, অপরাধীদের ধরতে পুলিশ সুপার (এসপি) সদর সার্কেলের নেতৃত্বে চারটি দল পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য বিস্তারিত তদন্তের পর জানা যাবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত