Connect with us

বাংলাদেশ

সংসদ চত্বরেই থাকছে স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাড়ি

Published

on

লুই আইকানের নকশার বাইরে সংসদ ভবন চত্বরে থাকছে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাড়ি। বাড়ি দুটি বৈধ বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালে সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হলে ২০০৩ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস নামে দুটি সংগঠন।

রিট আবেদনে বলা হয়, লুই আইকানের মূল নকশা লঙ্ঘন করে সংসদ ভবন এলাকায় এসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে ২০০৪ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট রায় দেন।

Advertisement

রায়ে বলা হয়, সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ কার্যক্রম অবৈধ। একই সঙ্গে রায়ে সংসদ ভবন এলাকাকে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণার নির্দেশ দেয়া হয়।

হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করলে তা মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকা অবস্থায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ শেষ হয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি নিয়ে আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দিলেন।

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, জাতীয় সংসদের মূল নকশার স্থপতি লুই কান। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) আইনসভার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু করে ১৯৬১ সালে। ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম (এবং শেষ) অধিবেশনে প্রথম সংসদ ভবন ব্যবহৃত হয়।

এসি

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হঠাৎ বদলি

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় ঢাকায় হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এডিসি শাহিদুর রহমানকে হঠাৎ বদলি করা হয়েছে। যখন ঘটনার তদন্তে এই কর্মকর্তা নেপাল অবস্থান করছেন, তখনই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে তার বদলির প্রজ্ঞাপন হলো। শনিবার (১ জুন) একই প্রজ্ঞাপনে আরও ২২ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

রোববার (২ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে তাকে বদলি করে বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারি বিভাগের এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এ বিষয় ডিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাহিদুর রহমানের বিচক্ষণতা ও কর্মদক্ষতায় আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তদন্তের কাজে তিনি ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে কলকাতাতেও গিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারসহ তদন্তে সফলতা নিয়ে ফিরে আসেন এই ডিবি কর্মকর্তা। একদিনের ব্যবধানে এ ঘটনার তদন্তে শনিবার (১ জুন) হারুনের সঙ্গে তিনিও গিয়েছেন নেপাল।

এর আগে, মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার তদন্তেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিলেন ডিবি কর্মকর্তা শাহিদুর। বিদেশ থেকে আসামি ধরে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও দিয়েছিলেন দক্ষতার পরিচয়।

Advertisement

আনার হত্যার তদন্ত চলাকালে শাহিদুরের এই বদলিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে ঠিক কী কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এটা নিয়মিত বদলি।

তবে ডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, বদলির এই তালিকা অনেক আগেই করা হয়েছিল। হয়ত সেটিই রোববার পুলিশ প্রধান সই করেছেন। শাহিদুর যে এমপি হত্যার ঘটনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তদন্তে রয়েছেন, তা হয়ত চোখ এড়িয়ে গেছে।

আরেকটি সূত্র বলছে, এমপি আনারের নির্বাচনী এলাকাতেই এডিসি শাহিদুর রহমানের বাড়ি। তার বদলিতে এটি ইস্যু হয়েছে কি না, তাও রয়েছে আলোচনায়।

 

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

যে কারণে সাপ হয়ে ইরানকে ছোবল মারছে সিরিয়া

Published

on

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। সংগৃহীত ছবি

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ক্রমেই উত্তপ্ত ও জটিল আকার ধারণ করছে। গাজা ইস্যুতে আরব দেশগুলোর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি-অবিনতি কিংবা বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।

এক সময় পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনে সৃষ্টি হওয়া আরব বসন্তের ঢেউয়ে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে মিশর, তিউনিশিয়া, ইয়েমেনসহ বেশ কয়েকটি দেশের। তবে  ‘আরব বসন্ত’ মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশকে টলাতে পারেনি তারাই আজ শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে। বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্র। নিজ স্বার্থরক্ষায় বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্রের অকৃত্রিম সহায়তাও ভুলে যাচ্ছে অনেক দেশ। হাত মেলাতে দ্বিধা করছে না এক সময়ের শত্রু  রাষ্ট্রের সঙ্গেও।

‘বন্ধু থেকে শত্রু ’ আর ‘শত্রু থেকে বন্ধু’  দাবার ছকের  এই খেলায় এবার নতুন চাল দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া। প্রায় একযুগ ব্যাকফুটে থাকার পর বাশার আল আসাদ সরকারের এমন প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে মধ্যপ্রাচ্যের সব সমীকরণ বদলে দেবে।

২০১১ সালে আরব বসন্ত শুরু হলে পুরো পশ্চিম বিশ্ব যখন সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছিলো তখনও রাশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো অকৃত্রিম ও বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র ইরান। তবে সময়ের পরিবর্তনে এই বিশ্বস্ত বন্ধুর বুকেই যেনো ছুরি চালাতে চাইছে সিরিয়া।  কয়েক দশকের পুরনো আর বিশ্বস্ত বন্ধু  ইরানকে ধরাশায়ী করতে উঠে পড়ে লেগেছে বাশার আল আসাদ সরকার।

দামেস্ক-তেহরানের কৌশলগত সম্পর্ক বেশ কয়েক দশকের পুরনো। ১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধ শুরু হলে তেহরানের পাশে দাঁড়িয়েছিলো দামেস্ক। টানা আট বছর ইরানকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছিলো সিরিয়া। এর প্রতিদানে ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ‘প্রক্সিযোদ্ধা’ সরবরাহের পাশাপাশি কাড়ি কাড়ি ডলার দিয়ে বাশার আল আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখছে ইরান।

Advertisement

তবে সম্প্রতি দেশ দুটির কয়েক দশকের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বেশ ফাটল ধরেছে। চলতি বছরের মে মাসে বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আরব লিগ সামিটে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই সামিটে ১৩ বছর বহিষ্কার থাকার পর সিরিয়াকে আবারও আরব লিগে ফিরিয়ে আনা হয়।  এর প্রতিদানে আবু মুসা, লেসার তুনব ও গ্রেটার তুনব-এই তিনটি দ্বীপের ওপর আরব আমিরাতের সার্বভৌমত্বের ঘোষণায় সমর্থন জানায় সিরিয়া।

ইরান কখনও ভাবতে পারেনি আরব আমিরাতের দাবিকে সমর্থন জানাবে সিরিয়া।  আরব আমিরাত দীর্ঘিদিন ধরে এই তিনটি দ্বীপের মালিকানা দাবি করে আসলেও ১৯৭১ সাল থেকে দ্বীপগুলোর মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইরানের হাতে। তাই বন্ধুর পক্ষে কথা না বলে শত্রু  শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়া সিরিয়ার এই প্রবণতা ভাল চোখে দেখছে না ইরান।  এনিয়ে দেশটিতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অসন্তোষ।

বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ইরানের সমর্থন ও রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ না থাকলে ক্ষমতায়ই টিকে থাকতে পারতেন না প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। অথচ সেই বাশার আল আসাদের সরকারই এখন সাপ হয়ে ছোবল দিচ্ছে ইরানকে।

তবে এতকিছুর পরও তেহরানের সঙ্গে দামেস্কোর সম্পর্কে ভাটা পড়বে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। তারা বলছেন, সম্পর্কে ভাটা পড়ার কোনো কারণ নেই।  আরব লিগে সিরিয়ার প্রভাব খুব একটা নেই, তাই আমিরাতের হাত ধরলেও তা দামেস্ক-তেহরান সম্পর্কে ক্ষতির কারণ হবে না। আর সেটা ভাল করেই জানেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

শ্যালিকাকে ধর্ষণ, দুলাভাই গ্রেপ্তার

Published

on

রাজধানীর ভাষানটেকে  কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সুমনকে (৩১) ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ভুক্তভোগী তার বোনের বাসা থেকে নানির বাসায় ফেরার পথে দুলাভাই তাকে ধর্ষণ করে।

রোববার (২ জুন) ধর্ষক সুমনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

র‍্যাব জানায়, ভুক্তভোগী তার নানির সঙ্গে ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। দুলাভাই মো. সুমন তাকে একা পেলে প্রায়ই উত্যক্ত করত। লোকলজ্জায় কাউকে বিষয়টি বলতে পারত না।

র‍্যাব আরও জানায়, ঘটনার পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রাজধানীর ভাষানটেক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তার সুমন দুই বছর জেল হাজতে থাকার পর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।

পরে আদালত আসামি পলাতক থাকা অবস্থায় বিচারকার্য শেষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান পূর্বক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আসামিকে ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত