বাংলাদেশ
সাড়ে ৯ বছরেও শেষ হয়নি বিচার : বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস
Published
2 years agoon
By
বিপ্লব আহসানচট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন প্রাণ হারায়। দীর্ঘ নয় বছর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিচার কাজ শেষ হয়নি। তবে মামলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বললেন মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।
গেলো রোববারও (১৪ আগস্ট) মামলার সাক্ষীর তারিখ ছিল। সাক্ষী না আসাতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপম চক্রবর্তী বলেন, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার মামলার বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই মামলায় যারা আসামি হয়েছেন তারা যেন সর্বোচ্চ শাস্তি পান আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আগামী ৩ অক্টোবর এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। ৩ তারিখে সাক্ষী হিসেবে চিকিৎসক পুলুক কুমার বিশ্বাসের আসার কথা রয়েছে। তার সাক্ষী হয়ে গেলে মামলাটি ক্লোজ করতে পারতাম।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে চলছিল। ২০২০ সালে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি এসেছে। আদালতে এ পর্যন্ত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ২৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
গেলো সোমবার বিকেলে ঢাকার উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই জন। এ ঘটনার পর দীর্ঘ ৯ বছর পেরেয়ি গেলেও বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারে গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহতের ঘটনার বিচার শেষ না হওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
এ বিষয়ে টিআইবি ও সনাক চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার ধসে যে মানুষগুলো মারা গেছেন তাদের আপনজনরা বিচার না পেয়ে দুঃখ-কষ্ট বুকে চাপা ক্ষোভ নিয়েই চলে যাবেন। হয়তো বিচার কোনদিন তারা দেখে যেতে পারবেন না। দুবৃত্তায়ন যদি সর্বব্যাপী হয়, সর্বগ্রাসী হয় তখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তখন আমাদের বিচার ব্যবস্থাকেও অকার্যকর করে দেয়। শাসনের গণমুখী দিকটাকে অকার্যকর করে দেয়। সবদিকে মিলিয়ে তখন জনগণ আর প্রজাতন্ত্রের মালিকানা উপলব্ধি করতে পারে না।
তিনি বলেন, যখন সমাজে দুর্বৃত্ত বেশি হয়ে যায় তখন আইন-আদালত সবকিছুকে কবজা করে ফেলে তারা। ঢাকার ঘটনায়ও তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি করা হয় জনরোষ স্তিমিত করার জন্য। কাজেই ফ্লাইওভারে ঘটনায় বিচারব্যস্থাকে এই প্রভাবশালী দুর্বৃত্তরা প্রলম্বিত করে। আসলে যে দেশে সাধারণ মানুষ বিচার পায় না, সেদশের মানুষ দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা উপলব্ধি করতে পারে না। এটাও একধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি। এরজন্যই দুর্বৃত্তরা দিন দিন বাড়ছে এবং বেপরোয়া হয়ে গেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই বছরের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন এসআই আবুল কালাম আজাদ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ফ্লাইওভার প্রকল্পের পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
অন্য আসামিদের মধ্যে ছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার অ্যান্ড পারিসা ট্রেড সিস্টেমসের ১০ জন এবং বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটসের ১২ জন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর পুলিশ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে সিডিএর তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিন জন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১৮ জনের নাম বাদ দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আট আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বর্তমানে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন—ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতারের সে সময়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনজুরুল ইসলাম, প্রকল্প প্রকৌশলী আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান, আব্দুল হাই, মো. মোশাররফ হোসেন রিয়াজ, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজান আলী ও রফিকুল ইসলাম। তাদের মধ্যে রফিকুল ইসলামের নাম মামলার এজাহারে ছিল না। তদন্ত শেষে পুলিশ তার নাম অভিযোগপত্রে যুক্ত করেন।
২০১০ সালে এম এ মান্নান (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর ফ্লাইওভারটি কার্যকর না হওয়ায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আরাকান সড়কমুখী র্যাম্প নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ৩২৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৬ দশমিক ৭ মিটার চওড়ার র্যাম্পটি নির্মাণ শেষে ২০১৭ ডিসেম্বরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
বিআ
অন্যরা যা পড়ছেন
ঢাকাসহ সারাদেশের গাছ কাটা বন্ধে রিট
মালয়েশিয়ায় প্রতারিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা দিবে জাতিসংঘ
ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন নায়েব আলী
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা
রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
সাম্প্রতিককালে দেশের তাপমাত্রা অত্যাধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনস্বার্থে এ বিষয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB) আজ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছে।
রোববার (৫ মে) এটি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের আদালতে রিট পিটিশনটি HRPB-এর পক্ষে দায়ের করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সোমবার (৬ মে) রিট পিটিশনটির শুনানি হতে পারে।
রিট পিটিশনে HRPB-এর পক্ষে দাবি করা হয় যে, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে। সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। যার কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
রিটে নিম্ন নির্দেশনাগুলো চাওয়া হয়েছে-
এক. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পরিবেশ বিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর পরিবেশ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবে।
দুই. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।
তিন. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।
চার. কমিটি গঠন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সকল বিবাদীগণ নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল নির্দেশনা চাওয়া হয়।
পাঁচ. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
HRPB-এর পক্ষে রিট পিটিশনার হলেন এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই।
বিবাদীরা হলেন- সচিব কেবিনেট বিভাগ; মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়; সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; ডিরেক্টর জেনারেল পরিবেশ বিভাগ; মেয়র, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন; প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, প্রধান বন সংরক্ষক; প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক মহাসড়ক বিভাগ ও আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ।
আজ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে উক্ত রিটটি দাখিল করে শুনানির আবেদন জানান সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এএম/
আইন-বিচার
আইন মেনে অভিযান পরিচালনা করতে হবে এনবিআরকে হাইকোর্ট
Published
1 hour agoon
মে ৫, ২০২৪By
Anik Mahmudসম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান-১ শাখায় অভিযুক্ত গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকা আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানের প্রেক্ষিতে এনবিআরকে আইন মেনে ব্যাংক চলাকালীন সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত একইসঙ্গে এনবিআরকে তাদের দাবিনামা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উল্কা গেমস ও ভারতীয় কোম্পানি মুনফ্রগের বরাবর পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (৫ মে) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এনবিআর জানায়, সরকারের পাওনা ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় গেলো ৩০ এপ্রিল বিশেষ টিম পাঠায় কর অঞ্চল-১৫। উল্কা গেমস লিমিটেড নামের একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগে দুই বছর আগে তদন্ত শুরু করে এনবিআরের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইসি। টাকা নিয়ে কোম্পানিটি যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য উল্কা গেমসের ব্র্যাক ব্যাংকে থাকা ৫৩ কোটি টাকা ফ্রিজ করে সিআইসি। তদন্তে প্রায় ৫০ কোটি টাকা কর ফাঁকির প্রমাণ পায় সংস্থাটি।
এনবিআর আরও জানায়, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরকারের পাওনা আদায়ে এনবিআরের একটি বিশেষ টিম অভিযানে যায়। কিন্তু ওই কোম্পানির অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে উল্কা গেমস ও ভারতীয় কোম্পানি মুনফ্রগের মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে, এ অজুহাতে টাকা ছাড় করতে রাজি হয়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এনবিআরের পাওনার সঙ্গে ওই মামলার কোনো যোগসাজশ নেই। করের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। সে কারণে এনবিআর চেয়ারম্যানের লিখিত অনুমোদন নিয়েই রাজস্ব আদায় করতে যায় বিশেষ টিম।
এদিকে ব্যাংকের লিগ্যাল এডভাইজার অভিযানের দিন জানিয়েছিলেন, ব্যাংকে থাকা টাকা নিয়ে মামলা চলছে উল্কা গেমস ও ভারতীয় কোম্পানি মুনফ্রগের মধ্যে। মামলার জেরে এই টাকা লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এনবিআর ওই টাকা পাবে কি না, সে বিষয়ে শুনানি হবে আগামী ৫ মে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরই টাকা ছাড় করা হবে।
এদিকে শুনানির পরে , আরও ৪৮ ঘণ্টার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় উল্কা গেমস লিমিটেডের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছেন আদালত।
আই/এ
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে ভয়ংকর ও লোমহর্ষক কাহিনী উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
রোববার (৫ মে) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা গরিব ও অসহায় মানুষকে তুলে এনে আশ্রয় দেয়া হতো ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে। তাদের কারও কারও হাত-পায়ে পচনও ধরেছিল। যখন প্রয়োজন হতো অপারেশন তখন আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার নিজে ব্লেড ছুরি দিয়ে তাদের হাত, আঙুল কেটে ফেলতেন। রক্ত ঝরিয়ে, অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। মাদকাসক্ত মিল্টন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমি মনে করি, দিনের পর দিন রাতের পর রাত বিভিন্ন জায়গা থেকে তিনি কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন। আর্তমানবতার তথাকথিত সেবার নামে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ওইসব রোগীদের দেখিয়ে টাকা কামিয়েছেন। কিন্তু তাদের সেবা দেন নাই, ডাক্তারের কাছে পাঠান নাই। তিনি একজন নিজেও নার্স স্বীকার করেছেন তিনি সেখানে যেতেন। তাহলে যে এই অনিয়মগুলো হয়েছে তিনি তো কোথায় কোনো প্রতিবাদও করেন নাই, থানাকেও অবগত করেন নাই, তিনি কাউকে অবগত করেন নাই। আমি তো মনে করি তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে তার স্বামী যে কাজগুলো করেছে সেখান থেকে তিনি দায় এড়াতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, যে ছেলেটা সেই উজিরপুর থেকে বাবা পিটিয়ে ঢাকায় এসে ঔষধের দোকানে চুরি করেছে, এরপর একটা আশ্রম গড়ে তোলেন। যেখানে তিনি অসহায়, গরিব শিশু, বৃদ্ধ, প্যারালাইজড, বাকপ্রতিবন্ধী, মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে সংগ্রহ করে আশ্রমে নিতেন। তাদের দেখিয়ে তিনি ফেইবুকে ফলোয়ারের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতেন। সেই টাকা আবার তিনি খরচ করতেন না।
ডিবি প্রধান বলেন, মানুষগুলো মারা গেছেন। জানাজা হলো না, রাতের অন্ধকারে কবর দেওয়া হলো, আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হলো না, মিথ্যাভাবে সিল স্বাক্ষর দিয়ে নিজেই ডেথ সার্টিফিকেট দিলেন, বানিয়েও রেকর্ডে রাখলেন না, পরেও স্বজনদের জানালেন না, এসবই আমাদের তদন্তে আসবে।
মিল্টন সমাদ্দার নিজেই বলেন, ৯০০ লোকের প্রাণ নিভে গেল! কীভাবে নিভে গেল? তিনি তো তাদের হাসপাতালে নেননি, ডেথ সার্টিফিকেটও নেননি, থানা পুলিশকে অবহিত করেননি। আবার ৯০০ লোকের প্রাণ যাওয়ার যে কথা তিনি বলেছেন, সেটা আদৌ সত্য কিনা, নাকি এটা টাকা ইনকামের একটা কথার কথা! সত্য হলে কি করেছেন। সব তদন্তে নিয়ে আসব। এই আশ্রমের সঙ্গে আরও যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হারুন বলেন, অটিজম শিশুদের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা লজ্জাজনক। কারণ বঙ্গবন্ধুর নাতনি প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের (ডব্লিউএইচওএসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বৈশ্বিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)। আর সেই দেশে অটিজমের নাম ধারণ করে অসহায়, বাক প্রতিবন্ধী ভারসাম্যহীন মানুষ সংগ্রহ করে ফেইসবুকে প্রচার করে ফলোয়ারদের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে তিনি সেই টাকা খরচও করেননি। এটা তো লজ্জাজনক।
মিল্টন সমাদ্দার জবাবদিহি করতে হবে। তিনি কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন। আমরা তো সেখানে যাতায়াত করা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি বলেছেন, মিল্টন সমাদ্দার তার সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন। যা তিনি জানতেন না। মিল্টন সমাদ্দার নিজেও তা স্বীকার করেছেন। তিনি নাকি মানবতার ফেরিওয়ালা। এসব অপকর্ম করে কীভাবে একজন মানুষ মানবতার ফেরিওয়ালা হয়?
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীর জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হারুন অর রশীদ বলেন, তবে তার স্ত্রী জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনে আসা যত টাকা পয়সা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কোনো কিছুতেই তার নাম নেই।
ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা মিল্টনের স্ত্রীকে তার স্বামীর আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের নানাভাবে নির্যাতন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তার স্ত্রী বলেছেন এটি মোটেও ঠিক হয়নি। এজন্য তার বিচার হওয়া দরকার। মিল্টনের আশ্রমে থাকা অসুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের কোথায় চিকিৎসা দেয়া হতো এবং ডাক্তারের কাছে নেয়া হতো কিনা এ নিয়েও তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে। তিনি জবাবে বলেছেন তার কথা মিল্টন শুনতো না।
মিল্টন সমাদ্দারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এখনো প্রায় ২ কোটি টাকা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তার স্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলেও ডিবিকে তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ফাউন্ডেশনের কোনোটার সাথে তাকে সম্পৃক্ত করেনি তার স্বামী মিল্টন সমাদ্দার। তিনি সরকারি চাকরি করার কারণে এটি করেনি বলেও জানান তার স্ত্রী।
এএম/
জাতীয়
ঢাকাসহ সারাদেশের গাছ কাটা বন্ধে রিট
সাম্প্রতিককালে দেশের তাপমাত্রা অত্যাধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন...
আইন মেনে অভিযান পরিচালনা করতে হবে এনবিআরকে হাইকোর্ট
সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান-১ শাখায় অভিযুক্ত গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকা আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানের...
মিল্টন নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে হাত কাটতেন: ডিবি হারুন
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে ভয়ংকর ও লোমহর্ষক কাহিনী উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত...
মালয়েশিয়ায় প্রতারিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা দিবে জাতিসংঘ
মালয়েশিয়ায় চাকরির জন্য এসে প্রতারণার শিকার হয়ে দুর্ভোগে থাকা বাংলাদেশিদের সাহায্য করবে জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা। শনিবার (৪ মে) মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম...
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে গলা কেটে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভোরে একদল রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারী ওই যুবকের গলা...
সুন্দরবনে আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে বিমান বাহিনী
সুন্দরবনে আগুন নিভানোর কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। সকাল ১২ টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সাথে কাজ শুরু...
৬২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাব পৌরসভা থেকে ৬২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৪৮০ বস্তা ভারতীয়...
৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
মানবপাচার আইনে মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর...
জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
সেনাবাহিনী আজ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে, যা ১৫ আগস্টের পর হারিয়ে ফেলেছিল সাধারণ মানুষ। বললেন প্রধানমন্ত্রী...
মিল্টন সমাদ্দারের আরও ৭ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
মানবপাচার আইনের এক মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন...
শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয়
আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে যারা
গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ
ঢাকাসহ সারাদেশের গাছ কাটা বন্ধে রিট
আইন মেনে অভিযান পরিচালনা করতে হবে এনবিআরকে হাইকোর্ট
মিল্টন নিজেই ব্লেড ছুরি দিয়ে হাত কাটতেন: ডিবি হারুন
অস্ত্রোপচারে কয়েদির পেট থেকে বের করা হলো মোবাইল
সত্য কথায় যুক্তরাষ্ট্রের আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: কাদের
মালয়েশিয়ায় প্রতারিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা দিবে জাতিসংঘ
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- ঢাকা5 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
- আন্তর্জাতিক3 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- অপরাধ4 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
- তথ্য-প্রযুক্তি2 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- দেশজুড়ে4 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
- টুকিটাকি6 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
- ঢালিউড3 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- পরামর্শ3 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’