Connect with us

আওয়ামী লীগ

প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব খবর আছে : ওবায়দুল কাদের

Avatar of author

Published

on

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার নির্বিকার নয়। আমি মন্ত্রী, আমি যদি কোনো দুর্নীতি করি সেটা কি বিনা বিচারে শেষ হয়ে যাবে? প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব খবর আছে। শাস্তি দিয়েছিল? তখন প্রধানমন্ত্রীর অফিস ছিল দুর্নীতি আখড়া। প্রধানমন্ত্রী অফিসের কিছু লোককেও শাস্তি দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার আমলে তারা কি কাউকে শাস্তি দিয়েছিল? তখন প্রধানমন্ত্রীর অফিস ছিল দুর্নীতি আখড়া। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ (শুক্রবার) সকালে ধানমন্ডিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে বিদেশে পালিয়ে গেছেন কি না তা জানা নেই। যারা দুর্নীতি করেছে সবার তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। দুর্নীতিবাজরা বিচারের আওতায় আসছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দুর্নীতিবাজদের তালিকা করলে প্রথমেই আসবে তাদের নেতাদের নাম। কারণ তাদের অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিবাজ। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, হাওয়া ভবন তৈরি করেছে, বিদ্যুতের খাম্বা লাগিয়ে বিদ্যুৎ দেয়নি। সব টাকা দুর্নীতের মাধ্যমে নিজেদের পকেটে ভরেছে।

তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্রের জন্য কঙ্গো, হেইতি, রোয়ান্ডাকে জবাবদিহি করতে হয় না, প্রশ্ন করে না। আমরা নির্বাচন নিয়মিত করে আসছি। পার্ফেক্ট ডেমোক্রেসি কোথাও নাই। তবে পার্ফেক্ট হওয়ার কাছাকাছি। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক, এটা আমরা প্রমাণ করেছি।

Advertisement

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের নামে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছিল।

তিনি বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা যারা বলে তাদের গণতন্ত্র ছিল হ্যাঁ/না ভোট। গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভুতের মুখে রাম রাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

Advertisement

আওয়ামী লীগ

বিএনপির অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে : কাদের

Published

on

ওবায়দুল-কাদের

বিএনপি কখনোই জনগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারেনি। তাদের অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেছেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসররা তাদের সেই আদর্শগত অবস্থান পরিবর্তন না করায় আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরাজমান সংকটের সমাধান দুরূহ। এই সংকট মোকাবিলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশাসী সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার বিএনপির একমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তাদের মিথ্যাচার ও অপপ্রচার জনগণের সামনে প্রকাশিত হওয়ায় বিএনপি বার বার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করছে। খালেদা জিয়া চিকিৎসাগ্রহণ শেষে বাসায় ফিরে গেছেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। এটা আইনগত বিষয়। আইনগত বিষয়ে বিএনপি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা না করে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক ইস্যু করার অপচেষ্টা করছে। আর বিএনপি যখনই তাদের তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে তখন তারা তাদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে সক্রিয় করে। বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অপচেষ্টা করে। আর এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায়।

Advertisement

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যায়নি। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। গেলো ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি ও তার দোসররা সর্বদা তৎপর থেকেছে। এটা বিএনপির জন্মগত রাজনৈতিক লিগ্যাসি। কারণ অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল কখনো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারে না।

তিনি বলেন, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে সক্ষম হতো বা তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে পারতো তাহলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎ সাহস দেখাতে পারতো। সেটা না থাকার কারণে বরাবরই বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা গণতান্ত্রিক পন্থার ব্যত্যয় ঘটাতে সন্ত্রাস-সহিংসতাকে উস্কে দেয়ার পাঁয়তারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করছে বিএনপি : কাদের

Published

on

সর্বজনীন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এবং সরকারি চাকরিতে কোটা বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের ওপর ভর করে বিএনপি স্বপ্ন দেখছে। বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ।

বিএনপির আন্দোলনকে মরা গাঙের সঙ্গে তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নিজেরা আন্দোলন করতে পারে না, শিক্ষকদের আন্দোলনে, ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলন, কোটা আন্দোলন, গতবারও ছিল, এবারও আছে। অন্যদের আন্দোলনের ওপর ভর করছে বিএনপি৷ অন্যদের ওপর ভর করে আন্দোলন হয়? কোনো দিনও হয় না।’

বিএনপির মনের জোর কমে গেছে এবং গলার জোর বেড়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘একটা কথা আছে, মানুষের শক্তি যত কমে, মুখের বিষ তত উগ্র হয়৷ বিএনপি নেতাদের মুখে কোনো ট্যাক্স নেই। মুখে কোনো লাগাম নেই। লাগাম দিয়ে টেনে কোনো লাভ নাই।’

Advertisement

বিএনপিকে বেপরোয়া চালক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গাড়ির চালক বেপরোয়া হলে যে অবস্থা হয়, রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে বেপরোয়া চালক। কখন কী দুর্ঘটনা ঘটায় বসে!’

বিএনপির নেতৃত্বের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কি চলে নাকি চালায়? বিএনপি চলে লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে।’

কাদের বলেন, ‘মধ্যরাতের ফরমান। নেতাদের দিনের আরাম, রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কখন তারেক রহমানের ডাক আসে। কখন কার চাকরি নট হয়ে যায়। ফখরুলও আতঙ্কে আছে৷ কখন কার গদি চলে যায়! তারেকের ডাক আসে মাঝ রাতে। এজন্য নেতারা রাতে ঘুমায় না।’

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

তিস্তার পানির বিষয়ে মমতাকে ‘হ্যাঁ’ বলাতে হবে : কাদের

Published

on

তিস্তার পানির বিষয়ে মমতাকে রাজি করাতে হবে। তিনি এতদিন না বলে আসছেন। তাকে ‘হ্যাঁ’ বলাতে হবে। না হলে ভারতের সংবিধান এটি অ্যালাও করে না। তাদের রাজ্যকে বাদ দিয়ে ভারত সরকারের এই চুক্তি করার সুযোগ নেই। বললেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায়  এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন,  তিস্তার পানির জন্য মূল সমস্যা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির সরকার। যখন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা চলছিল, তখনই গর্জে উঠেছিলেন মমতা। বলেছিলেন এই পানি তিনি দেবেন না। কোনোদিনও বাংলাদেশকে পানি দেবেন না, এটা তাঁরা দিতে পারে না। এখানে একটা সমস্যা।

তিনি বলেন, তিস্তার পানি নিয়ে সবাই বলে, চুক্তি কেন হলো না। ভারত একটা ফেডারেল রাষ্ট্র। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছা করলে কোনো রাজ্য সরকারের অধীনের পানি অন্য দেশকে দিতে পারে না। এটা ভারতের সংবিধানে লেখা আছে। এর আগে যখন গঙ্গার পানি দিলো, তখনকার পশ্চিমবঙ্গের জ্যোতি বসু সরকার ছিল। তারা রাজি ছিল বলেই বাংলাদেশ পানি পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, যেসব সমস্যা সমাধান হয়নি, ভারতের নতুন সরকার তা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছে। আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।

Advertisement

বিএনপি ভারতের দাসত্ব চেয়েছিল দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, মনে আছে? নরেন্দ্র মোদী যখন ক্ষমতায় আসেন, প্রথমদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বিএনপি নেতারা ভারতের হাইকমিশনের সামনে হাজির। হাইকমিশন বন্ধ, মিষ্টি আর ফুল নিয়ে হাজির। এই হচ্ছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা ভারতবিরোধিতা করে, কিন্তু ভারতের কাছে ওয়াশিংটনের ইচ্ছায় গ্যাস বিক্রি করার অঙ্গীকার করে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত