বাংলাদেশ
প্রেমিকাকে যৌনপল্লিতে বিক্রির বদলা নিতে ৩ খু ন, উদ্দেশ্য ছিল আরও
Published
2 years agoon
চলতি বছরের আগস্ট মাসের শুরুর দিকে। খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া যুবক টি সিদ্ধলিঙ্গাপ্পার জেরা চলছিল কর্নাটকের মান্ডিয়া থানায়। ইতোমধ্যেই পুলিশের কাছে তিনটি খুনের কথা স্বীকার করেছে সে। পুলিশকে সে জানিয়েছিল, তিন জনকে খুন করলেও সাত জনকে খুন করার উদ্দেশ্য ছিল তার। কিন্তু তিন জনকে খুন করার পরই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে।
জেরার অন্তিম দিনে এসে বয়ান বদল করে সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা ঠান্ডা গলায় বলে, ‘‘সাত জন নয়, আসলে আট জনকে খুন করতে চেয়েছিলাম।’’ শেষ খুন কাকে করতে চেয়েছিল সে? পুলিশ তা জানতে চাইলে ততোধিক ঠান্ডা গলায় সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা উত্তর দেয়, প্রেমিকা চিত্রকলাকে খুন করতে চেয়েছিল সে। এই কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যায় পুলিশ। কারণ চিত্রকলার জন্যই সাত জন মানুষকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার ছক কষেছিল সে। কিন্তু কেন প্রেমিকাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা?
ঘটনার সূত্রপাত, চলতি বছরের ৮ জুন। মহীশূরের কাছে একটি ছোট্ট গ্রাম মান্ডিয়া। সেই দিনই এই গ্রামের নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার মৃতদেহ। নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক গ্রামবাসী মৃতদেহটি দেখতে পান। মৃতদেহের অবস্থা দেখে আঁতকে উঠে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। কারণ, মৃতদেহটির শরীরের কোমর পর্যন্ত কাটা ছিল। কোমর থেকে নীচের অংশ দেখতে পাওয়া গেলেও উধাও ছিল মৃতদেহটির মুখ-সহ শরীরের উপরের অংশ।
কাটা মৃতদেহ দেখে পালিয়ে যান ওই গ্রামবাসী। পুরো বিষয়টি শুনে পুলিশ এসে উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে। পুলিশ এসে কাটা মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহের বাকি অংশ উদ্ধার করতে ওই এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কিছু পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ২৫ কিলোমিটার দূরে খোঁজ পাওয়া যায় আরও একটি মহিলার মৃতদেহের। কাকতালীয় ভাবে এই মৃতদেহেরও অর্ধেক অংশ গায়েব ছিল। খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রথম মৃতদেহের অর্ধেক অংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ভেবে পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ হতভম্ব হয়ে যায়। কারণ এই মৃতদেহেরও শরীরের কোমর থেকে উপরের অংশ গায়েব ছিল। পড়ে ছিল কোমর থেকে নীচের অংশ।
কর্নাটকের এই ছোট্ট গ্রামের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে দু’টি মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দু’টি মৃতদেহেরই কোমর থেকে উপরের অংশ গায়েব ছিল। ফলে মৃতদেহ দু’টি কার, এ নিয়ে ধন্দে পড়ে পুলিশ। পরিচয় না পাওয়া গেলেও প্রাথমিক তদন্তের পর এবং মৃতদেহ দু’টি অর্ধেক করার ধরন দেখে পুলিশের ধারণা হয়, এই দুই কাণ্ডের পিছনে এক জনেরই হাত আছে।
পুলিশ সবার প্রথম মৃতদের পরিচয় জানতে কর্নাটক এবং আশপাশের রাজ্যগুলিতে নিখোঁজ মহিলাদের খোঁজে নামে। পাশাপাশি মহীশূর এবং কাছের এলাকাগুলিতে প্রায় ১০ হাজার প্রচার পুস্তিকাও বিতরণ করে। ইতোমধ্যেই ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, মৃত দুই মহিলারই বয়স ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে ছিল।
মৃতদেহ শনাক্ত করার কাজে নামে পুলিশের নয় টি আলাদা দল। প্রতিটি দলে পাঁচ জন করে মোট ৪৫ জন পুলিশকর্মী এই ঘটনার তদন্তে নামেন। তদন্তে নামার পর পুলিশ জানতে পারে ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে বয়স, এমন ১,১১৬ জন কর্নাটক থেকে নিখোঁজ।
মৃত্যুর দিনক্ষণ মিলিয়ে সেই তালিকা থেকে অনেক নিখোঁজ মহিলাকেই বাদ দেয়া হয়। বয়স না মেলার কারণেও তালিকা থেকে বাদ যান বহু মহিলা।
ইতিমধ্যেই ঘটনার দু’মাস পেরিয়ে যায়। দুই মহিলার খোঁজে পুলিশের তদন্তকারী একটি দল বেঙ্গালুরুর কাছে একটি বাড়িতে পৌঁছায়। এই বাড়ি থেকে এক জন মহিলা জুন মাসের গোড়ার দিকে নিখোঁজ হয়ে যান। মিলে যায় তার বয়সও। এর পর মৃতদেহ দু’টির গায়ে থাকা কাপড়ের ছবি ওই বাড়ির লোকেদের দেখানোয় তা চিহ্নিত করেন তারা।
পুলিশ আরও নিশ্চিত হতে ওই পরিবারের নিখোঁজ মহিলার ফোন নম্বর নিয়ে ফোনের শেষ লোকেশন ট্র্যাক করার কাজে নামে। পুলিশ দেখে ওই মহিলার ফোন খুনের ঘটনার কাছে মৃতদেহ উদ্ধারের এক দিন আগেও সক্রিয় ছিল। ওই মহিলা ফোনে কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন তা বার করে তিন জনকে সন্দেহের তালিকায় ফেলে পুলিশ।
সন্দেহের তালিকায় থাকা তিন জনের মধ্যে এক জন ছিল সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা। পুলিশ দেখে সিদ্ধলিঙ্গাপ্পার ফোনের লোকেশনও মৃতদেহ উদ্ধারের এক দিন আগে ওই জায়গাতেই ছিল। সিদ্ধলিঙ্গাপ্পার মোবাইল নম্বর থেকে তার ঠিকানা খুঁজে পেতে বিশেষ কষ্ট করতে হয়নি পুলিশকে। সিদ্ধলিঙ্গাপ্পাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরার মুখে প্রথমে খুনের কথা অস্বীকার করলেও পরে সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা জানায় এই খুন সেই করেছে। এমনকি, ২৫ কিলোমিটার দূরে অন্য যে মহিলার অর্ধেক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাকেও সে খুন করেছে বলে জানায়। এ ছাড়া বেঙ্গালুরুতে আরও এক জন মহিলাকে খুন করার কথা স্বীকার করে সে।
পুলিশ খুনের কারণ জানতে চাইলে সে যা জানায়, তা যে কোনও সিনেমার গল্পকে হার মানাবে।
সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা বেঙ্গালুরুর একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করত। বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন সেখানকার এক যৌনপল্লিতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। সেখানেই তার দেখা হয় চিত্রকলা নামে এক যৌনকর্মীর সঙ্গে। কিছু দিন নিয়মিত ভাবে চিত্রকলার সঙ্গে মেলামেশা করার পর তার প্রেমে পড়ে সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা। প্রেমে সাড়া দেন চিত্রকলাও।
চিত্রকলার আচার-ব্যবহার, চলন-বলন দেখে তাকে এই পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা। কী ভাবে চিত্রকলা এখানে এলেন, তা জানার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা।
চিত্রকলা তাকে জানান, বছর দু’য়েক আগে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়। এর পরই চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চাকরির খোঁজে বিভিন্ন মানুষের দ্বারস্থ হয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। এর পরেই পরিচিত কিছু মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা চাকরি দেয়ার নাম করে চিত্রকলাকে যৌনপল্লিতে এনে বিক্রি করে দেন। চিত্রকলা জানান, তাদের এই কাজে সাহায্য করেন চার জন পুরুষও।
চিত্রকলার জীবন বৃত্তান্ত শুনে সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। চিত্রকলার এই পরিণতির জন্য যারা দায়ী, তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন এই যুগল। ঠিক করেন প্রথমে তিন মহিলাকে শেষ করবেন এবং পরে খুন করবেন ওই চার পুরুষকে।
চিত্রকলাকে এই পেশায় নামানোর জন্য দায়ী মহিলারা নিজেরাও যৌনপেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এদের মধ্যে এক মহিলার বাড়ি ছিল বেঙ্গালুরুর কাছে। চিত্রকলার থেকে ওই মহিলার নম্বর নিয়ে তাকে ফোন করে ডেকে পাঠায় সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা। ওই মহিলাকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে আলাদা আলাদা জায়গায় ছড়িয়ে দেয়।
প্রথম খুনের পর বাকিদের খুন করার উদ্দেশ্যে চিত্রকলা এবং সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা মান্ডিয়াতে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করে। বাকি দুই মহিলাকে একই ভাবে ফোন করে ডেকে পর পর দু’দিন দু’জনকে খুন করে সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা। এ বার আর টুকরো টুকরো করে নয়, খুনের পর এই দুই মহিলার মৃতদেহ দু’টুকরো করে তা ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে আলাদা আলাদা জায়গায় রেখে আসে। সেই দুই মৃতদেহেরই কোমর থেকে নীচের অংশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ তদন্ত করতে নেমেছে শুনে বাকিদের খুন করার পরিকল্পনা কিছু দিনের জন্য স্থগিত রাখে যুগল। খুনের প্রায় দু’মাস হতে যাওয়ায় সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা মনে করে তাকে পুলিশ আর ধরতে পারবে না। কিন্তু জুলাইয়ের শেষে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা।
কিছু দিন ধরে পুলিশকে ধীরে ধীরে পুরো ঘটনা শোনানোর পর জিজ্ঞাসাবাদের শেষ দিনে সে পুলিশ আধিকারিকদের জানায়, সে আসলে আট জনকে খুন করার ইচ্ছা ছিল তার। সিদ্ধলিঙ্গাপ্পার ‘হিটলিস্ট’-এর শেষ নাম নাকি ছিল খোদ চিত্রকলার। এই কথা শুনে পুলিশ তাকে এ রকম চিন্তার কারণ জানতে চাইলে তার উত্তর শুনে থ হয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। যাকে ভালবেসে এতগুলি খুন করার এই সিদ্ধান্ত অবশেষে সেই চিত্রকলাকেই না কি খুন করতে চেয়েছিলেন সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা! সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা আরও জানায়, প্রথম এবং দ্বিতীয় খুন করার পর ভয় লাগলেও তৃতীয় খুনের পর সে নিজেকে ‘অপরাজেয় সিরিয়াল কিলার’ বলে মনে করতে শুরু করে।
সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা পুলিশকে জানায়, সে জানত পুলিশ যদি কোনও দিন তার খোঁজ পায় তা হলে তা পেতে পারে চিত্রকলার কাছ থেকেই। তখন আর তার ‘সর্বোৎকৃষ্ট’ সিরিয়াল কিলার হওয়া হবে না। তাই ঠিক করে নেয় ‘নিখুঁত’ সিরিয়াল কিলার হতে হলে ভালবাসাকে জীবন থেকে সরাতে হবে। সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা জানায়, যে দিন সে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়, তার পর দিনই চিত্রকলাকে খুন করার ছক কষেছিল সে। কিন্তু অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচে সিদ্ধলিঙ্গাপ্পা।
প্রাণে বাঁচলেও সিদ্ধলিঙ্গাপ্পার সঙ্গে জেলেই ঠাঁই হয়েছে চিত্রকলার। সিদ্ধলিঙ্গাপার সঙ্গে মিলে এতগুলি খুনের ছক কষার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে মান্ডিয়া থানার পুলিশ।
অন্যরা যা পড়ছেন
ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন নায়েব আলী
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা
রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল
দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের কারণে সুন্দরবনের গহীনে লাগা আগুন আরও এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন গহিন বনে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এদিন সন্ধ্যার পরও অর্ধশতাধিক স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।
খবর পেয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। সন্ধ্যার দিকে বনের মধ্যে আলো না থাকায় পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করতে পারেনি মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে না পারলেও কাজ করছে সুন্দরবন বিভাগের বিটিআরটির সদস্যরা। তারা গণমাধ্যমকে জানান, পানির অভাবে আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত কাজ শুরু করতে না পারলে তীব্র দাবদাহের কারণে আগুন দ্রুত আরও ছড়িয়ে পড়বে।
বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার বিকেলে বনরক্ষী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন দেখতে পায়। এ সময় বন বিভাগের কর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে পানি অনেক দূরে হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত ফায়ার ইউনিটগুলো আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে লাইন স্থাপনের কাজ করছে তারা।’ সকালে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারে বলেও তিনি সংবাদকর্মীদের ইঙ্গিত দেন।
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে আগুন ঠিক কখন, কেন এবং কীভাবে লেগেছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলতে পারেনি বন বিভাগ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোংলা স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যার কারণে আমরা এখন পর্যন্ত আগুন নির্বাপনের কাজ শুরু করতে পারিনি। সন্ধ্যা হওয়ায় আমরা ফিরে এসেছি। রোববার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বনের মধ্যে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করব।’
টাঙ্গাইল শাড়ির পর এবার বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী শাড়ি। জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য আরও অপেক্ষায় রয়েছে সিরাজগঞ্জের গামছা, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, ঢাকার মিরপুরের কাতান, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, টাংগাইলের মধুপুরের আনারস ও মাগুরার হাজরাপুরী লিচু।
বাংলোদেশের জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের অংশ হিসেবে জিআই জার্নালে অনুমোদিত হয়েছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী শাড়িসহ ৭ পণ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুব শিঘ্রই এই জার্নাল প্রকাশ করা হবে।
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কোনো পণ্যের নাম জিআ্ই জার্নালে প্রকাশ করা হয়। এরপর ওই জার্নালে প্রকাশের পর ওই পণ্যের বিষয়ে কারও আপত্তি, মতামত বা চ্যালেঞ্জ আছে কিনা সেটি দেখা হয়। ওই সময়ের মধ্যে কোনো আপত্তি বা চ্যালেঞ্জ না আসলে পরবর্তীতে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। আর একাজটি করে থাকে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ।
জিআই এমন একটি ভৌগোলিক নির্দেশক যা কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপত্তি বা উৎপাদনের খ্যাতিকে নির্দেশ করে। অর্থাৎ পণ্যটি ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়। একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং সেই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি মিলিয়ে জিআই পণ্য তৈরি হয়।
ওয়ার্ল্ড প্রপার্টি রাইটস অরগানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নির্দেশনা অনুযায়ী জিআই সনদ প্রদান করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।
ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩ পাশ হওয়ার পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জিআই পণ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসাবে প্রথম ২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় আমরা এগিয়ে গেছি।’
ডিপিডিটির এই মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘মহাপরিচালক হিসাবে এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব নিয়ে আসি সেপ্টেম্বরে। আমরা নবোদ্যমে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং এখন পর্যন্ত দেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা ৩১। জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদানের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে বাংলাদেশেল বিভিন্ন জেলার আরও ৩০টি পণ্য জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসব পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা, নোয়াখালীর মহিষের দই, দিনাজপুরের বেদানা লিছু, ঝিনাইদহের ল্যাংচা মিষ্টি, খালিশপুরের সাদা চমচম, হরিনাকুণ্ডুর পান, জয়পুরহাটের লতিরাজের কচু, নওগাঁর নাক ফজলী আম, সিরাজগঞ্জের তরল দুধ এবং লুঙ্গি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, ফুটি কার্পাস তুলার বীজ ও গাছ, সুন্দরবনের মধু, পটুয়াখালীর মৃৎশিল্প, গফরগাঁওয়ের লাফা বেগুন, বান্দরবানের থামি ও মুরুংবাশি, শেরপুরের ছানার পায়েস, বরগুনার সোনামুগ ডাল, ঝালকাঠির পেয়ারা, কুমিল্লার খাদি, মানিকগঞ্জের হাজারী গুড়, বরিশালের আমড়া, মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর, পিরোজপুরের মাল্টা, গাজীপুরের কাঁঠাল, মেহেরপুরের সাবিত্রী মিষ্টি ও মৌলভীবাজারের বর্ণির ধুছনির দই।
বাংলাদেশ
ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন নায়েব আলী
Published
4 hours agoon
মে ৪, ২০২৪By
Anik Mahmudঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দারকে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। আসনটিতে ৫ জুন উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই আব্দুল হাই। গেলো ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে শূন্য হয় এ আসন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে দাখিলের শেষ সময় ৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে। ১৭ মে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। ব্যালটের মাধ্যমে এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আই/এ
জাতীয়
সুন্দরবনে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়ছে চারদিক, পুড়তে থাকবে রাতভর
দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের কারণে সুন্দরবনের গহীনে লাগা আগুন আরও এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব...
জিআই স্বীকৃতির অপেক্ষায় মুণিপুরী শাড়ি ও ঢাকার কাতানসহ ৭ পণ্য
টাঙ্গাইল শাড়ির পর এবার বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী শাড়ি। জিআই পণ্য হিসেবে...
ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন নায়েব আলী
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দারকে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগের সংসদীয়...
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ...
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। গেলো শুক্রবার (৩ মে) রাতে পানির...
উত্তরায় লেক থেকে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর উত্তরায় লেকের পানি থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লেকে গোসল করতে নেমে ওই দুজন শিক্ষর্থী নিখোঁজ...
‘ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা গুরুত্বপূর্ণ ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুরের এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গেলো শুক্রবার ওই বৈঠকে...
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
এক শিক্ষিকা দেরি করে স্কুলে আসার দায়ে তাকে ঘুষি মেরেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। এ ঘটনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল...
দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরলো ৪ প্রাণ, আহত ১১ জন
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ট্রাকচাপায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। একইদিনে গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শনিবার...
জাল দলিলে ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ
অভিনব কৌশলে একই ফ্ল্যাট একাধিক ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে লোনের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। বিষয়টি এতদিন...
সুন্দরবনে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়ছে চারদিক, পুড়তে থাকবে রাতভর
জিআই স্বীকৃতির অপেক্ষায় মুণিপুরী শাড়ি ও ঢাকার কাতানসহ ৭ পণ্য
ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন মার্কিন সিনেটর
বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে: কাদের
ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন নায়েব আলী
কলা চুরির ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২৫
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
সুন্দরবনের গহীনে আগুন, কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস
নতুন করে চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি
প্রেমের বিয়ের দুই মাস পর কিশোরীর আত্মহত্যা
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
সন্তানদের নিয়ে মসজিদে ঘুমন্ত ইমামকে পিটিয়ে হত্যা
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- ঢাকা4 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
- অপরাধ3 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক2 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- টুকিটাকি5 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
- দেশজুড়ে3 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
- তথ্য-প্রযুক্তি2 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- ঢালিউড2 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- খুলনা7 days ago
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু