Connect with us

জনদুর্ভোগ

কুশিয়ারায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত সড়ক ডুবে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

Avatar of author

Published

on

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে, বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে ইতিমধ্যে কুশিয়ারা নদীর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। তীরবর্তী এলাকায় বেড়ীবাঁধের বাহিরে থাকা পাইলগাঁও, রানীগঞ্জ, আশারকান্দি ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ি প্লাবিত হয়। এছাড়াও সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর সাথে সংযোগ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিস্তৃত হাওর এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি।

এদিকে গেলো বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ভোরে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পুরাতন আলাগদী গ্রামে কুশিয়ারা নদীর বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে জালালপুর, ছৈদপুর, সোনাতলা, কদমতলা, গোতগাঁও, খানপুর, আলীপুর, মশাজান ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, আলমপুর, জয়নগর সহ কয়েকটি গ্রামে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করেছে। ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশের ফলে গোতগাঁও, ছৈদপুর, সোনাতলা সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এ সড়ক পথে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে সাঁতার না জানা শিক্ষার্থী ও মহিলাদের জন্য বর্তমানে উপর্যুক্ত সড়কটি চলাচলের জন্য নিরাপদ নয়। এছাড়াও এসব এলাকার অন্য সব রাস্তা তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

শুক্রবার (৭ জুন) থেকে উপরিউক্ত এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে উল্লিখিত এলাকার বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী গ্রাম সমূহের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

শনিবার (৮ জুন) জগন্নাথপুর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা পুরাতন আলা গদি ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ পরিদর্শন করেন। তবে বাঁধ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

এ বিষয় পাইলগাঁও ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান নজম উদ্দিন বলেন, বাঁধটি ভাঙার খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের সাথে যোগাযোগ করেছি, এখন আর বাঁধ দেয়া সম্ভব হবে না। এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ দ্রুত ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ মেরামতের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানান।

Advertisement

এএম/

Advertisement

জনদুর্ভোগ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক এলাকা

Published

on

ভারতে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এ ছাড়া বেড়েই চলেছে জেলার অন্য নদ-নদীর পানি। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক এলাকা।বেশকিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ডুবে গেছে ওইসব এলাকার সবজিখেত।

পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার ধরা হয়।

অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার দুপুরে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলে জানান, পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গংগাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল সূর্যমূখী ক্বারী মাদরাসা, চিলাখাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এ ছাড়া কোলকোন্দ ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ৫ শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। সেখানে নিম্নাঞ্চলে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট।

Advertisement

গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না গণমাধ্যমে বলেন, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতিবছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তিস্তা খনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

সিলেট-সুনামগঞ্জে ফের বন্যার শঙ্কা

Published

on

বৃষ্টিপাত কমায় গত কিছুদিন ধরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি ক্রমাগতভাবে কমে বন্যা পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। কিন্তু আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারী বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জে ফের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারি এবং আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী সমূহের পানিসমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন-সুরমা, সারিগোয়াইন নদীর পানিসমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

Advertisement

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

বৃষ্টিতে ডুবলো সিলেট, ম্লান ঈদ আনন্দ

Published

on

সিলেট নগরীতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে নগরীর উপশহর, সোবহানীঘাট, জামতলা, তালতলাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকা। চৌখিদেখী থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার প্রধান সড়কও পানির নিচে। অনেকের বাসাবাড়ি, দোকানপাটেও পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসীরা। ঈদের আনন্দ পরিণত হয়েছে বিষাদে।

সোমবার (১৭ জুন) ভোর ৪টা থেকে শুরু হয় বর্ষণ; টানা চলে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, শুকনো জায়গা না পেয়ে অনেকেই কোরবানি দিতে পারছেন না। পানির মধ্যে বেঁধে রেখেছেন গরু-ছাগল। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সকাল ৮টায় শাহী ঈদগাহে সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এই জামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। শুধু শাহী ঈদগাহ নয়, প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহের অবস্থা ছিল একই। সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন জামে মসজিদে পানি প্রবেশ করায় একাংশে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের।

একইভাবে মেজরটিলা, কদমতলী, বিমানবন্দর সড়ক, উপশহর, সুবহানিঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঈদগাহ ও মসজিদে পানি প্রবেশ করায় নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটে।

Advertisement

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত