Connect with us

সিলেট

সিলেটে টিলা ধস: একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

Avatar of author

Published

on

সিলেটে-ভূম-ধসে-মৃত্যু

সিলেটের ইসলামপুরের চামেলিবাগে পাহাড়ধসের ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, তারা একই পরিবারের সদস্য ছিলেন।

সোমবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চামেলিবাগ এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে ভারি বৃষ্টিতে চামেলিবাগের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীসহ দুই বছরের একটি শিশু সন্তান ছিলেন।

জানা যায়, পাহাড়ধসে প্রথমে সাতজন মাটি চাপা পড়েন। এর মধ্যে চারজনকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজন এখনও নিখোঁজ আছেন।

নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। এ সময় উদ্ধার কাজে স্থানীয়রাও সহযোগিতা করেন।

Advertisement

 

Advertisement

সিলেট

ফের বন্যার কবলে পড়তে পারে সিলেট-সুনামগঞ্জ

Published

on

সুনামগঞ্জ,-বন্যা

গেলো কিছুদিন বৃষ্টিপাত কম থাকায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি কমেছিল। তবে আগামী দু-দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও ততটা ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা নেই। জানালেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।

শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বন্যার মধ্যমেয়াদি পূর্বাভাসের পর এ তথ্য জানান তিনি।

পাউবোর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মৌসুমি বায়ু দেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে, দেশের অভ্যন্তরে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অববাহিকার উজানের কিছু স্থানে বিভিন্ন সময়ে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এর আগে, গেলো ১৬ জুন থেকে সৃষ্ট বন্যায় বিপাকে পড়েছিল সুনামগঞ্জের মানুষ। উজানের পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল প্রায় ১০ লাখ মানুষ। বন্যার পানি এখন কমে গেলেও নতুন করে আবারও বন্যার পূর্বাভাসে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

সিলেট-সুনামগঞ্জে ফের বন্যার শঙ্কা

Published

on

বৃষ্টিপাত কমায় গত কিছুদিন ধরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি ক্রমাগতভাবে কমে বন্যা পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। কিন্তু আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারী বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জে ফের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারি এবং আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী সমূহের পানিসমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন-সুরমা, সারিগোয়াইন নদীর পানিসমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

Advertisement

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দেশজুড়ে

বন্যার পানিতে কৃষকের ৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি

Published

on

সুনামগঞ্জ-পাহাড়ি-ঢল

ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জে প্রায় দুই হাজার ২৬৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে জেলার কৃষকদের ৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যারা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছিলেন তাদের মাথায় ঋণের বোঝা যুক্ত হয়ে দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এ বছর জেলায় আউশ আবাদ হয়েছিল ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে এবং গ্রীষ্মকালীন শাক সবজি চাষ হয়েছিল ৩ হাজার ৩শ ৭৭ হেক্টর জমিতে। এর মাঝে ১৭শ হেক্টর আউশ আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং গ্রীষ্মকালীন সবজির ৫৬৭ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী  আউশধানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা এবং গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে ৩৩ কোটি টাকার।

সদর উপজেলার কৃষক মহিবুর রহমান বলেন,  স্ত্রীকে দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ধুন্দল আর পটলের চাষ করেছিলেন। অনেক ফুলও এসেছিল, যে কারণে টাকা ঋণ নিয়েছি তাতে আমি সফল হয়েছেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু বন্যা তাঁর সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিলো। এখন কিস্তি কিভাবে পরিশোধ করবো সে চিন্তা করছেন তিনি।

দোয়ারাবাজার উপজেলার ডাউকেরখারা গ্রামের কৃষক জুবায়ের আহমদ জানান, ৫ একর জমিতে ডাটা, করলা, ধুন্দল, ঝিঙ্গার চাষ করেছিলেন। পাহাড়ি ঢলে  গ্রামের বাধ ভেঙে গিয়ে স্রোতের তোড়ে সব কিছু ভেসে যায়। যে জমিতে  ফসল চাষ করেছিলেন সেখানে কাদা ছাড়া কিছুই নেই।

Advertisement

বিমল চন্দ্র সোম জানান, সুনামগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করা হয়েছে এবং তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান আছে। ভবিষ্যতে সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে সকল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত