দেশজুড়ে

আবারও সেন্টমার্টিন রুটে ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমারের গুলি

আবারও সেন্টমার্টিন রুটে  ট্রলার  লক্ষ্য করে মিয়ানমারের গুলি
সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফগামী দুটি ট্রলার ও কয়েকটি স্পিডবোট লক্ষ্য করে মিয়ানমারের ওপার থেকে আবারও গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। এর ফলে টেকনাফ গামী ট্রলার ও স্পিড বোটগুলো পুনরায় সেন্টমার্টিনে ফিরে যায়। গেলো ৫ দিন ধরে বন্ধ আছে এ রুটের নৌযান চলাচল। ফলে দ্বীপে খাদ্য সংকটের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাফনদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফগামী দুটি ট্রলার ও কয়েকটি স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে আবারও গুলি করা হয়। এতে ওই নৌযানগুলো টেকনাফ না গিয়ে আবারও সেন্টমার্টিনে ফিরে আসে। গত সাত দিন ধরে মিয়ানমার থেকে এভাবে গুলি ছোড়া হচ্ছে। এতে আতঙ্কে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা চরম সংকটে রয়েছেন। দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহিম জিহাদী বলেন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদীর মোহনা শেষে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা দিয়ে পার হওয়ার সময় মিয়ানমারের থেকে দ্বীপে যাতায়াত করা বোটগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। যার কারণে মানুষ প্রাণের ভয়ে পারাপার হতে চায় না। সেন্টমার্টিন স্পিড বোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, বোটে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখে মানুষ ভয়ে আর এ রুটে যাচ্ছেন না। তাছাড়া, ওই পথ ছাড়া সেন্টমার্টিনে আসার বিকল্প কোনও ব্যবস্থা বা রুটও নেই। প্রতিদিন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ রুটে ৪টি ট্রলার ও ৬টি স্পিড বোটের মাধ্যমে শতাধিক মানুষ আসা-যাওয়া করার পাশাপাশি খাদ্য ও নিত্যপণ্য বহন করা হতো। প্রসঙ্গত, মিয়ানমরের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলছে সংঘর্ষ। নাফ নদীর ওপার থেকে কয়েকদিন ধরে কারা টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন রুটে চলাচালকারী নৌযানে গুলি করছে সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন। আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আবারও | সেন্টমার্টিন | রুটে | | ট্রলার | | লক্ষ্য | করে | মিয়ানমারের | গুলি