ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার পাশে শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে (২০) হত্যা মামলায় কনস্টেবল মো. আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গেলো শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা।
আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ছয়জন পুলিশ ওই যুবককে ধরে নিয়ে পাশের গলিতে নিয়ে যান। পরে তাঁরা তাঁকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেন। এর মধ্যে থেকে এক পুলিশ সদস্য হৃদয়ের মুখে চড়থাপ্পড় মারেন। এরপর পুলিশের মধ্য থেকে এক সদস্য তাঁর পেটে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে তাৎক্ষণিক তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং আশপাশে রক্তে ছেয়ে যায়। এ সময় ভিডিওতে দেখা যায়, আরও পাঁচজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসে। লাশ সেখানে কিছু সময় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনোবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন হৃদয়। এ সময় কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। ওই সময় শিল্প পুলিশে কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্য কোনাবাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল আকরাম অতি উৎসাহী হয়ে তার পেছন দিক থেকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায়, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ ৫৭ জনের নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
আই/এ